<p>ভারত গম রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পরই আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে যায় এই অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্যের দাম। যদিও বৈশ্বিক রপ্তানি বাজারে ভারতের হিস্যা খুব বেশি নয়। তবে রপ্তানি বন্ধের পর সীমান্তে বিপুলসংখ্যক গম আটকা পড়ায় দেশটি আরো ১২ লাখ টন রপ্তানির অনুমোদন দেবে বলে জানা গেছে। গতকাল দেশটির সরকার ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস পত্রিকা।</p> <p>দিল্লিভিত্তিক একটি কম্পানি জানিয়েছে, খাদ্যপণ্যটির বেশির ভাগ বাংলাদেশে যাবে। তা ছাড়া নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কায়ও গুরুত্বপূর্ণ পণ্যটি রপ্তানি করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, রপ্তানিতে নয়াদিল্লি অনুমতি দিলেও এখনো প্রায় পাঁচ লাখ টন গম বন্দরগুলোতে আটকা থাকতে পারে। কারণ কিছু ব্যবসায়ী এখনো রপ্তানির অনুমোদন পায়নি।</p> <p>গত ১৪ মে হঠাৎ করে বিশ্বজুড়ে গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করে দেশটির সরকার। তবে জানানো হয়, যেসব দেশ এর আগে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) ইস্যু করেছে এবং খাদ্য নিরাপত্তায় রপ্তানি অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেছে, সেসব দেশে গম রপ্তানি করা হবে।</p> <p>রপ্তানি নিষিদ্ধের পর ভারত মোট চার লাখ ৬৯ হাজার টন গম রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু এখনো কমপক্ষে ১৭ লাখ টন গম বন্দরগুলোতে আটকা রয়েছে। তাই বর্ষাকালকে সামনে রেখে উদ্বেগ বাড়ছে। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, যাদের কাছে বৈধ এলসি রয়েছে, শুধু তারা পণ্যটি রপ্তানি করতে পারবে। সূত্র : ইকোনমিক টাইমস</p>