<p>সম্প্রতি চীনের সাংহাইয়ে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১১তম বৈশ্বিক মোবাইল ব্রডব্যান্ড ফোরাম। ফাইভজির সম্ভাবনা এবং এই শিল্প খাতের প্রবণতা নিয়ে নিজেদের ভাবনা তুলে ধরার পাশাপাশি ইন্টেলিজেন্ট বিশ্ব তৈরিতে প্রযুক্তি খাতে উদ্ভাবন কিভাবে সহায়তা করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। বৈশ্বিক ক্যারিয়ার, ইন্ডাস্ট্রি চেইন পার্টনার, শীর্ষস্থানীয় নেতা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে উন্মুক্ত এই ফোরাম আয়োজন করে শীর্ষস্থানীয় আইসিটি পণ্য ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে।</p> <p>ফোরামের প্রথম দিন ‘ম্যাক্সিমাইজিং ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক ভ্যালু ফর আ গোল্ডেন ডেকেড অব ফাইভজি’ শীর্ষক মূল বক্তব্য প্রদান করেন হুয়াওয়ের নির্বাহী পরিচালক এবং ক্যারিয়ার বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট রায়ান ডিং। তিনি বলেন, ‘আগামী দশক বিশ্বজুড়েই ফাইভজির উন্নয়নে সোনালি যুগ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং পুরো শিল্প খাতকেই ফাইভজির ওপর আস্থা রাখতে হবে এবং সর্বোত্তম ফাইভজি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি সবার সুবিধার জন্য এর উপযোগিতা নিয়ে কাজ করতে হবে।’ </p> <p>বিগত প্রজন্মের চেয়ে ফাইভজির বিকাশ এখন দ্রুতগতিতে হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ১০০টির বেশি বাণিজ্যিক ফাইভজি সেবাদানকারী নেটওয়ার্ক অপারেটর রয়েছে এবং শীর্ষস্থানীয় ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো এরই মধ্যে ফাইভজি ডাটা প্ল্যান থেকে উপকৃত হচ্ছে। তাই ফাইভজির উন্নয়নে এবং মানুষদের ফাইভজি সেবা ব্যবহারে উৎসাহিত করতে ক্যারিয়ারগুলোকে সেরা নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। তাদের সব ক্ষেত্রে, সব জায়গায় কাভারেজ দিতে হবে। এর মধ্যে থাকবে জনবহুল এলাকা, শহর এবং বাসার ভেতরেও যাতে ব্যবহারকারীরা সব সময় ফাইভজি সেবা পেতে পারে।</p> <p>টেলিযোগাযোগ খাতকেও নেটওয়ার্ক পরিকল্পনা, বিনির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং কার্যক্রম সহজ করাসহ এন্ড-টু-এন্ডের নানা পর্যায়ে উন্নয়ন করতে হবে, যা ইন্ডাস্ট্রি অ্যাপ্লিকেশন স্থাপনের ব্যয় হ্রাস করবে। ডিং বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইভজি অ্যাপ্লিকেশনের উন্নয়নে খাতসংশ্লিষ্ট সবার প্রচেষ্টা প্রয়োজন।</p>