দীর্ঘদিন ধরেই তুরস্কের সমাজ, রাজনীতি ও সংস্কৃতিতে রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের ভূমিকা ছিল দৃঢ়। ফলে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরদোয়ানবিরোধী প্রচারের চেয়ে তাঁর দলের মাঠের রাজনীতি বেশি শক্তিশালী। এটি সত্যি, এরদোয়ানকে এবারের নির্বাচনের মতো কঠিন রাজনৈতিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়নি। এর পেছনের কারণ সব বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির এরদোয়ানবিরোধী জোট।
বিশেষ লেখা
এরদোয়ানের জয়ের পেছনে জাতীয়তাবাদ
- মো. নাজমুল ইসলাম, তুরস্ক থেকে

তুরস্কের সর্বশেষ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতির শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ ছিল রাষ্ট্রপতির শাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এরদোয়ান তাঁদের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার ক্ষুণ্ন করেছেন। ফলে বিরোধী জোটের লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্রপতি পদে জয় এবং সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের মাধ্যমে সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা। অথবা এমন কোনো ব্যবস্থা প্রণয়ন যেখানে রাষ্ট্রপতির নিরঙ্কুশ ক্ষমতা কমানো যায়।
এমন প্রেক্ষাপটে এরদোয়ান তাঁর নির্বাচনী প্রচার সাজিয়েছিলেন প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে জাতীয়তাবাদী প্রচারের মাধ্যমে।
এরদোয়ানের প্রচারণায় প্রাধান্য পেয়েছে তুরস্কের বিরোধী দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (এইচডিপি) সঙ্গে সীমান্তবর্তী বিচ্ছিন্নতাবাদী পিকেকে এবং সিরিয়াভিত্তিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী ওয়াইপিজের সম্পর্কও।
এবারের নির্বাচনে পশ্চিমারা খোলাখুলিই বিরোধী জোটকে সমর্থন দিয়েছেন। এটি একটি ঐতিহাসিক বিষয় হয়ে থাকবে।
এদিকে লিবিয়ায় বর্তমানে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারকে তুরস্কের বায়রাখতার ড্রোনসহ সামরিক সাহায্যের বিষয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে এরদোয়ানের বিরোধ রয়েছে। এ ছাড়া পশ্চিমাদের উদ্বেগ আছে মধ্য এশিয়া ও আফ্রিকায় তুরস্কের নিজস্ব নীতির বিষয়ে। মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষত ইরান, সংযুক্ত আরব-আমিরাত এবং কাতারের সঙ্গে কূটনীতিতে অভিন্ন নীতি অনুসরণ না করায় পশ্চিমাদের বিরাগভাজন হয়েছেন এরদোয়ান। এর ফলে বিগত নির্বাচনগুলোতে সরাসরি বিরোধিতা না করলেও এবারের নির্বাচনে এরদোয়ানের বিরোধিতায় কোনো রাখঢাক করেনি পশ্চিমারা।
তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনায় এরদোয়ানের পুনর্নির্বাচিত হওয়া পশ্চিমাদের ওপর তেমন প্রভাব ফেলেনি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই ইউক্রেনকে আধুনিক অস্ত্র সহায়তা এবং ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক বিপণন নিশ্চিতে চুক্তির জন্য এরদোয়ান ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প পশ্চিমাদের কাছে নেই।
তুরস্কের রাজনীতিতে পশ্চিমাদের প্রভাব ঐতিহাসিকভাবেই। ভোটের হিসেবে তুরস্কের ৪৭-৪৮ শতাংশ মানুষ এরদোয়ানের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। সংখ্যার হিসাবে যা প্রায় দুই কোটি ৪০ লাখ। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের বরাবরের মতোই পশ্চিমাদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তুরস্ক নিজেই ন্যাটো সদস্য। বিভিন্ন সময় তুরস্ক ন্যাটো জোটের মাধ্যমে উপকৃত হওয়ায় দেশটি এই সামরিক জোট থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাইবে না। ভবিষ্যতে কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে রাশিয়ার সঙ্গে বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে ন্যাটো জোট তুরস্কের ট্রাম্প কার্ড।
এদিকে তুরস্কের অর্থনীতির ৪০ থেকে ৫০ শতাংশই পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে জড়িত। আমদানি-রপ্তানির জন্য তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপরই নির্ভরশীল। ফলে শিগগিরই এরদোয়ান পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পূর্ণ বৈরী সম্পর্ক করবেন এমন ধারণা করা কঠিন।
এদিকে তুরস্কের নাগরিকদের অর্ধেক পশ্চিমা সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত। তারা পশ্চিমা উদারনৈতিক সংস্কৃতির আলোকেই নিজস্ব ভবিষ্যৎ দেখতে চায়। পশ্চিমা দেশগুলোর অনুরূপ ভোগবিলাসী ও গণতন্ত্রপরায়ণ জীবনব্যবস্থার জন্য তুরস্কে পশ্চিমা প্রভাব চলতেই থাকবে।
তুরস্কের বিরোধী দলগুলো এরই মধ্যে ফলাফল মেনে নিয়েছে। প্রধান বিরোধী প্রার্থী কিরিচদারগলু ফলাফল মেনে নিয়ে ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন।
তুরস্কের ভোটপ্রক্রিয়া স্পষ্ট। এর ফলে নির্বাচনে কারচুপির সুযোগ নেই। গত ২৫ বছরে যত ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে, সবই ছিল স্বচ্ছ। ভোট কারচুপির অভিযোগ তুরস্কে বিরল।
এরদোয়ান দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষমতায় আছেন। তাঁর বিরোধীরাও দীর্ঘদিন নিজেদের রাজনৈতিক সংগ্রাম পরিচালনা করে আসছেন। তাই ঐকমত্যের বিষয়টি সময়সাপেক্ষ।
এরদোয়ানের সামনে চ্যালেঞ্জটি অর্থনৈতিক। তাঁকে এটি দৃঢ়ভাবে সামাল দিতে হবে। অনেক বিশ্লেষকই আগাম নির্বাচনের বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। তবে সেটি সময়সাপেক্ষ।
আট মাস পরে তুরস্কের বড় শহরগুলোতে স্থানীয় নির্বাচন। আপাতত বিরোধীরা ওই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তুরস্কের বেশির ভাগ বড় শহরে বিরোধীরা ক্ষমতায়। সুতরাং তুরস্কে গণতন্ত্রহীনতার যে ঢালাও অভিযোগ করা হয়, সেটির সত্যতা ততটা নেই।
অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে এরদোয়ান এখনই বিরোধীদের কোনো পদক্ষেপের সম্মুখীন হবেন না বলে ধারণা করা হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি এখন এরদোয়ানের চ্যালেঞ্জ। তাঁকে দ্রুতই একটি কার্যকর অর্থনৈতিক নীতি নিতে হবে। বিরোধীদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ সিরিয়া, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের শরণার্থীদের নিয়ে। বিরোধীরা, এমনকি সাধারণ জনগণও শরণার্থীদের মেনে নিতে পারছে না। এটি বর্ণবাদে পরিণত হয়েছে। ফলে এটি এরদোয়ানের বিরুদ্ধে নতুন রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের উদ্ভব ঘটাতে পারে।
ভূমিকম্প ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এরদোয়ান। এখন তাঁকে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
মো. নাজমুল ইসলাম : তুরস্কের আংকারা ইলদিমির বেয়েজিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘তুর্কিয়ে, এশিয়া ও ইন্দো-প্যাসিফিক স্টাডিজের’ প্রধান সহকারী অধ্যাপক।
সম্পর্কিত খবর

আজ রাজপথে নামছে বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ‘অপপ্রচার ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে আজ থেকে রাজপথে থাকবে বিএনপি। বিএনপি মনে করছে, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে জামায়াতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজপথ দখল করার চেষ্টা করছে বলে মনে করছে বিএনপি। এ জন্য রাজপথে বিএনপিও শক্তি ও জনসমর্থন দেখাবে।
এখন পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দিচ্ছে না দলটি।
মাঠে নামছে ছাত্রদল : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, গোপন তৎপরতায় দীর্ঘদিন ধরে অভ্যস্ত গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আজ রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে। গুপ্ত সংগঠন বলতে ইসলামী ছাত্রশিবির ও তাদের সহযোগী সংগঠনকে বোঝানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
ছাত্রদলের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শাহবাগ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সারা দেশের সব জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
কর্মসূচির বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘গুপ্ত সংগঠন হিসেবে সেসব সংগঠনকেই বোঝানো হয়েছে, যারা প্রকাশ্যে নিজেদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বদলে গোপনে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। গত ৫ আগস্টের পর একটি মুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও তাদের এহেন গুপ্ত কার্যক্রম এ দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে অসহনশীল করে তুলছে এবং রাজনৈতিক বিষয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে তুলছে। এ রকম কুচক্রী কার্যক্রমের বিরুদ্ধেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যেন দেশবাসীকে এসব বিভ্রান্তিকর বিষয়ে সচেতন করে তোলা যায়।’
গুপ্ত সংগঠন বলতে কাদের বোঝানো হচ্ছে জানতে চাইলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘ছত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর যারা ক্যাম্পাসগুলোতে মব সৃষ্টি করে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ নামে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করছে, তারাই গুপ্ত সংগঠন। ছাত্রশিবির এবং গুপ্তভাবে সংগঠন পরিচালনা করতে ছাত্রশিবিরকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে, আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় তারা।’

সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির মেয়াদ আরো দুই মাস বাড়ল
বিশেষ প্রতিনিধি

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরো দুই মাস (৬০ দিন) বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল রবিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে গত ১৩ মে থেকে তাঁদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতার মেয়াদ দুই মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ গতকাল শেষ হয় ।
মেয়াদ বাড়ানোর আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের (কোস্ট গার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারাসহ) ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’-এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। এর মেয়াদ হবে ১৪ মার্চ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত। সারা দেশে তাঁরা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারি কার্যবিধি-১৮৯৮’-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন।
প্রথমে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের (সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তা) এই ক্ষমতা দেওয়া হয়। অর্থাৎ শুধু সেনাবাহিনী নয়, বিমান ও নৌবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদেরও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। তখন ৬০ দিনের জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।

শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ বিএনপির
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক পুলিশপ্রধান (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে গুমের অভিযোগ দিয়েছে বিএনপি।
গতকাল রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে এই অভিযোগ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য এবং তথ্য সেলের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন খান।
অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গুমের ঘটনায় ১১ জন ভুক্তভোগীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে লিখিত অভিযোগে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় এসব ভুক্তভোগীকে অপহরণের পর আয়নাঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। গত বছর ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পলায়নের পর মোহাম্মদ আলীকে হাত ও চোখ বেঁধে পূর্বাচলের শেষ প্রান্তে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফেলে আসা হয়। পাঁচ বছর তিন মাস ১৩ দিন পর তিনি মুক্তি পান।
তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১১ জন ভুক্তভোগীর নাম উল্লেখ করে আবেদনটি করা হয় বলে জানান সালাহউদ্দিন খান।
সালাহউদ্দিন খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা শেখ হাসিনাসহ ১৬ জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০ থেকে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে ন্যায়বিচারের আশায় আবেদন করেছেন। ভুক্তভোগীরা বলেছেন, শুধু বিএনপি করার অপরাধে বিগত সরকারের নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাঁদের।

সোহাগের পরিবারের পাশে তারেক রহমান
বরগুনা প্রতিনিধি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে পুরান ঢাকায় নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মনি। গতকাল রবিবার বিকেলে তিনি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের সোহাগের গ্রামের বাড়িতে যান। তিনি স্থানীয় কাকচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তিনি নিহত সোহাগের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।