<p><span style="color:#008080"><span style="font-size:18px"><strong>কবিতা</strong></span></span></p> <p><span style="color:#FF0000"><strong>ফেব্রুয়ারির গান</strong></span></p> <p>১।        নিচের কবিতাংশটুকু পড়ে প্রশ্নের উত্তর লেখো :</p> <p>      সাগর নদীর ঊর্মিমালার</p> <p>            মন ভোলানো সুর</p> <p>            নদী হচ্ছে স্রোতস্বিনী</p> <p>            সাগর সমুদ্দুর।</p> <p>            ছড়ায় পাহাড় সুরের বাহার</p> <p>            ঝরনা-প্রকৃতিতে</p> <p>            বাতাসে তার প্রতিধ্বনি</p> <p>            গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীতে।</p> <p>            বাংলা আমার মায়ের ভাষা</p> <p>            শহিদ ছেলের দান</p> <p>            আমার ভাইয়ের রক্তে লেখা</p> <p>            ফেব্রুয়ারির গান।</p> <p> </p> <p>ক)        কবি কোন ‘মন ভোলানো সুর’ সম্পর্কে বলেছেন?</p> <p>খ)        গ্রীষ্ম-বর্ষা শীতের বাতাসে কিসের প্রতিধ্বনি ছড়ায়?</p> <p>গ)        আমরা কোন ভাষায় আমাদের মনের কথা বলি?</p> <p>ঘ)        শহীদ ছেলের দান হিসেবে আমরা কী পেয়েছি?</p> <p> </p> <p><span style="color:#FF0000"><strong>            উত্তর</strong></span></p> <p>ক)        আমাদের এই বাংলাদেশ অপরূপ সৌন্দর্যের দেশ। এ দেশের সৌন্দর্যের কোনো তুলনা নেই। এ দেশে রয়েছে কত শত নদ-নদী আর সমুদ্দুর। নদ-নদী আর ঊর্মিমালা যখন ঢেউ তুলে তখন সুরের আবেগে আমাদের মন কেড়ে নেয়। সাগর আর নদীর ঢেউয়ের মাঝে এই মন ভোলানো সুর সম্পর্কেই কবি বলেছেন।</p> <p> </p> <p>খ)        আমাদের দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে রয়েছে অসংখ্য পাহাড়। আর পাহাড়ঘেরা আমাদের এই বাংলায় রয়েছে অনেক ঝরনা। এ ঝরনার পানি ঝরে পড়ার শব্দ আমরা গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীতে শুনতে পাই। আমাদের মন তখন আনন্দে ভরে ওঠে। পাহাড় আর ঝরনা প্রকৃতিতে সুরের বাহার ছড়িয়ে দেয়। গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীতে বাতাসে তারই প্রতিধ্বনি ছড়ায়।</p> <p> </p> <p>গ)        মায়ের মুখের মধুর ভাষা বাংলায় আমরা আমাদের মনের কথা বলি। ১৯৫২ সালে বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে এবং অনেক ত্যাগের পর আমরা এ ভাষা পেয়েছি। ১৯৫২ সালে ভাষার দাবিতে ঢাকায় তীব্র আন্দোলন শুরু করে ছাত্রসমাজ। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজপথে নেমে পড়ে তাঁরা।  তাঁদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের আজকের বাংলা ভাষা।</p> <p> </p> <p>ঘ)        শহীদ ছেলের দান হিসেবে আমরা পেয়েছি আমাদের মায়ের ভাষা বাংলা। আমাদের এ মাতৃভাষার স্বীকৃতি এক দিনে আসেনি। এ জন্য করতে হয়েছে অনেক আন্দোলন এবং ঢেলে দিতে হয়েছে অনেক তাজা বুকের রক্ত। ১৯৫২ সালে ভাষার দাবিতে ঢাকায় তীব্র আন্দোলন শুরু করে ছাত্রসমাজ। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজপথে নেমে পড়েন তাঁরা। পাকিস্তান সরকারের মদদপুষ্ট পুলিশ ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালায়। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সালাম, বরকত, শফিক, জব্বারসহ আরো অনেকে। তাঁদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের আজকের বাংলা ভাষা।</p> <p> </p> <p>২।         যুক্তবর্ণ ভেঙে লেখো এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে শব্দ তৈরি করো : </p> <p>            ঙ্গ (ঙ্+গ)— মঙ্গল</p> <p>            ষ্ঠ (ষ্+ ঠ)— শ্রেষ্ঠ</p> <p>            ত্ব (ৎ+ ব)— ত্বক</p> <p>            গ্ধ (গ্+ ধ)— মুগ্ধ </p> <p>            স্ব (স্+ ব)— স্বাধীন</p> <p>            দ্দ (দ্+ দ)—  উদ্দীপনা</p> <p>            ধ্ব (ধ্+ ব)— ধ্বংস</p> <p>            ষ্ম (ষ্+ ম)—  গ্রীষ্ম</p> <p>            ক্ত (ক্+ ত)— ভক্ত</p> <p>            ন্ত (ন্ +ত)— পান্তা</p> <p> </p> <p>৩।        বিপরীত শব্দ লেখো :</p> <p>            সকাল—বিকাল</p> <p>            আগ্রহ—অনাগ্রহ</p> <p>            সুর—বেসুর</p> <p>            মুগ্ধ—বিরক্ত</p> <p>            মধুর—তিক্ত</p> <p>            ছেলে—মেয়ে      </p> <p> </p> <p>৪।        সমার্থক শব্দ লেখো :</p> <p>            মুগ্ধ—বিমোহিত, আনন্দিত</p> <p>            সমুদ্দুর—সমুদ্র, সাগর</p> <p>            কথা—বচন, উক্তি</p> <p>            কোকিল—পিক, পরভৃৎ</p> <p>            ঊর্মি—ঢেঊ, তরঙ্গ।</p>