<p>যুদ্ধ, নিপীড়ন, সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে গত সেপ্টেম্বর নাগাদ বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১১ কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল বুধবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এই তথ্য দিয়ে জানিয়েছে, ১৯৭৫ সালে তথ্য সংগ্রহ শুরুর পর থেকে এটাই এযাবৎকালের সর্বোচ্চ সংখ্যা। এক বিবৃতিতে ইউএনএইচসিআর বলেছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে বাস্তুচ্যুতির অন্যতম কারণ ছিল—ইউক্রেন, সুদান, মিয়ানমার ও কঙ্গোর সংঘাত; আফগানিস্তানে দীর্ঘায়িত মানবিক সংকট এবং সোমালিয়ার খরা, বন্যা ও নিরাপত্তাহীনতা। সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্দি বলেন, বিশ্ববাসীর মনোযোগ এখন গাজার মানবিক বিপর্যয়ের দিকে।</p> <p>কিন্তু বিশ্বব্যাপী আরো অনেক সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। এতে নিরীহ লোকজন বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ছে। ইউএনএইচসিআর প্রধান আরো বলেন, সংঘাতের সমাধান বা নতুন সংঘাত ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতা বাস্তুচ্যুতির অন্যতম কারণ। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ইউএনএইচসিআর দেখতে পেয়েছে, জুন মাস নাগাদ বিশ্বজুড়ে ১১ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।</p> <p>২০২২ সাল শেষে সংখ্যাটি ছিল ৯ কোটি ৪০ লাখ। অর্থাৎ চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ বলেছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে চলতি মাসে আরো ১৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া লোকজনের এক-তৃতীয়াংশই আফগানিস্তান, সিরিয়া ও ইউক্রেনের।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>