<p>প্রচুর খেলা; কিন্তু যথাসময়ে এর সব শেষ করা সম্ভব হয়নি। নানা কারণে সূচি পিছিয়ে দিতে বাধ্যও হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাতে যত খেলা জমে গেছে, সেগুলো শেষ করার মতো যথেষ্ট মাঠ নেই দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট প্রশাসনের।</p> <p>উপায় না থাকলে যেমন একটি উপায় ঠিক বেরিয়ে যায়, সেভাবেই তারাও বের করেছে। মাঠ ভাড়া করে ২০২৩-২৪ ক্রিকেট মৌসুমের খেলা আগামী মে মাসের মধ্যে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। যে সিদ্ধান্তের কথা আজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির প্রধান মাহবুবুল আনাম।</p> <p>বিপিএল শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ দলের আন্তর্জাতিক ব্যস্ততাও আছে। ব্যস্ততা বাড়ছে নারী জাতীয় দলেরও। এর সঙ্গে ছেলে ও মেয়েদের ঘরোয়া একাধিক আসর থেকে শুরু করে বয়সভিত্তিক পর্যায়ের এত খেলা যে মাঠ ভাড়া করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্পও দেখেননি মাহবুব, ‘মেয়েদের এফটিপি এসেছে। তার মানে ওদের খেলা বেড়েছে। অস্ট্রেলিয়া আসছে কিছুদিনের মধ্যে। একই সময়ে শ্রীলঙ্কা থাকবে বাংলাদেশে। সুতরাং আন্তর্জাতিক খেলা অনেক থাকবে। অনূর্ধ্ব-১৯-এর খেলা আছে। এর বাইরে বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে মেয়েদের অনেক টুর্নামেন্ট এবং জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ মিলিয়ে অনেক, অনেক খেলা। এই সবগুলো খেলাই আমরা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ভেন্যুতে করা সূচি করেছি। যেভাবে করেছি, তার সঙ্গে একটি জিনিস জানিয়ে রাখি, আমরা বেশ কিছু ভেন্যু চিহ্নিতও করেছি। যেগুলো ব্যক্তিমালিকানাধীন। বিসিবির তরফ থেকে সেই ভেন্যুগুলো আমরা ভাড়া নিয়ে এবার কিছু খেলা পরিচালনা করতে হবে। এটি না করলে এবার যে পরিমাণ খেলা আছে, বিসিবির কাছে সেই পরিমাণে মাঠ নেই।’</p> <p>ভাড়া করার পরও সবচেয়ে বেশি চাপ ঢাকার ওপরই থাকবে, ‘চাপ সবচেয়ে বেশি ঢাকায়। মার্চ-এপ্রিলে অনেক ভেন্যুতে খেলা চলতে থাকবে একসঙ্গে। বিভিন্ন টুর্নামেন্ট মিলিয়ে একসঙ্গে ৪০টি ভেন্যুতে খেলা পরিচালিত হবে।’</p>