<p>পৃথিবীতে এমন কিছু স্থান রয়েছে যেগুলোর নাম শুনলেই শিহরণ জাগে। এরকমই একটি ভয়ংকর দ্বীপ হলো ‘ইলহা দ্য কুয়েইমাডা গ্র্যান্ডে’। পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম। এই দ্বীপটি সাধারণত স্নেক আইল্যান্ড বা সাপের দ্বীপ নামে পরিচিত। এখানে এত বেশি বিষাক্ত সাপের বাস যে কেউ সেখানে যাওয়ার সাহস দেখায় না।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সাপের মাথায় কি মণি থাকে?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/18/1726655343-5bfe7e43d59ee5c30de376606f06e499.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সাপের মাথায় কি মণি থাকে?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/18/1426585" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এটা আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলবর্তী একটি ছোট দ্বীপ। ব্রাজিলের বৃহত্তম শহর সাও পাওলো থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপটি। আয়ত প্রায় ৪৩০,০০০ বর্গমিটার। হাজার হাজার বছর আগে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা হয়ে যায়। সময়ের সাথে সাথে এই বিচ্ছিন্ন দ্বীপে সাপের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় এবং সাপের রাজত্ব কায়েম হয়।</p> <p>এই দ্বীপের প্রধান আকর্ষণ এবং ভয়ের কারণ হলো গোল্ডেন ল্যান্সহেড ভাইপার (Bothrops insularis) নামের এক প্রজাতির সাপ। এই সাপটি পৃথিবীর অন্যতম বিষাক্ত সাপ হিসেবে পরিচিত। গোল্ডেন ল্যান্সহেডের বিষ এতটাই শক্তিশালী যে, এটি কামড়ালে মানুষ মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে মারা যেতে পারে। এরা শিকারকে মুহূর্তেই বিষ প্রয়োগে পঙ্গু করতে সক্ষম।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সাপ কি মানুষকে তাড়া করে কামড়ায়?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/17/1726559293-af42203ff21973f5d49662b8e7d7fa95.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সাপ কি মানুষকে তাড়া করে কামড়ায়?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/17/1426218" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এই সাপগুলো মূলত পাখি শিকার করে বেঁচে থাকে, কারণ দ্বীপে স্থলজ প্রাণীর সংখ্যা খুবই কম। দ্বীপে প্রায় ৪১ প্রজাতির পাখি রয়েছে। এগুলো সাপগুলোর প্রধান খাদ্য। এই বিশেষ প্রজাতির সাপ ব্রাজিলের মূল ভূখণ্ডে নেই।<br /> এই দ্বীপে সাপের সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কিছু সূত্র মতে, প্রতি বর্গমিটারে একটি সাপ রয়েছে, অর্থাৎ প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার সাপ। যদিও এ সংখ্যা কিছুটা অতিরঞ্জিত হতে পারে, তবে এ কথা নিশ্চিত যে সাপের সংখ্যা বিপুল এবং ভয়াবহ।</p> <p>১৯০৯ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত এই দ্বীপে একটি লাইটহাউস পরিচালনা করা হতো। সেই সময় একটি পরিবার সেখানে বসবাস করত। কিন্তু শোনা যায় সাপের আক্রমণে সেই পরিবাররের সবাই মারা যায়। এরপর থেকে দ্বীপটি জনমানবহীন হয়ে পড়ে এবং সরকার জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। তবে গবেষকরা মাঝে মাঝে বিশেষ অনুমতি নিয়ে দ্বীপে প্রবেশ করেন সাপ এবং পরিবেশ নিয়ে গবেষণা করার জন্য।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মৃত মানুষের গ্রাম" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/02/1727862351-ff56bd62ae15c9381aea4cf1aac17847.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মৃত মানুষের গ্রাম</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/02/1431068" target="_blank"> </a></div> </div> <p>স্নেক আইল্যান্ডে প্রাপ্ত গোল্ডেন ল্যান্সহেড ভাইপার একটি বিরল প্রজাতি এবং এটি শুধুমাত্র এই দ্বীপেই পাওয়া যায়। সাপের এই প্রজাতি সংরক্ষণ করার জন্য ব্রাজিল সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। সাপের সংখ্যা ও পরিবেশগত অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে যাতে দ্বীপের জীববৈচিত্র্য বজায় থাকে।</p> <p>গোল্ডেন ল্যান্সহেডের বিষ চিকিৎসা বিজ্ঞানেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর বিষ থেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরি করা যায়। তাই গবেষকরা সাপের সংরক্ষণে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছেন। </p> <p>সূত্র: নেচার</p>