<p>আমার ক্যামেরায় (Nikon P900) তোলা দুটি গ্রহণের ছবি কোলাজ করলাম। প্রথমটি ৮ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে তোলা পূর্ণ সূর্যগ্রহণের ছবি। দ্বিতীয়টি ২৬ মে ২০২১ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা থেকে তোলা পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের ছবি। দুটি ছবিরই ফোকাল লেংথ প্রায় কাছাকাছি ছিল। </p> <p>প্রথম ছবিতে, পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলেছে। চাঁদের বলয়ের পেছনে সূর্যের করোনার ছটা দেখা যাচ্ছে। <br /> দ্বিতীয় ছবিতে, পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়েছে। এর ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে সূর্যের প্রতিসরিত আলো পড়ে চাঁদকে রক্তিম দেখাচ্ছে। মনে রাখতে হবে, চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই, সূর্যের আলোয় চাঁদ আলোকিত হয়। </p> <p>সূর্যগ্রহণ শুধুমাত্র অমাবস্যার সময় হওয়া সম্ভব। অন্যদিকে চন্দ্রগ্রহণ হয় শুধুমাত্র পূর্ণিমার সময়। অমাবস্যার সময় পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝে চাঁদ অবস্থান করে, ফলে চাঁদের বলয় সূর্যের বলয়কে ঢেকে ফেলতে পারে। এটাই সূর্যগ্রহণের কারণ। </p> <p>কিন্তু পূর্ণিমার সময়, চাঁদ পৃথিবী থেকে সূর্যের বিপরীত দিকে অবস্থান করে। ফলে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে, এটাই চন্দ্রগ্রহণের কারণ। <br /> এখন প্রশ্ন হলো, প্রতিটি অমাবস্যা ও পূর্ণিমার সময় সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণ হয় না কেন? এর সহজ উত্তর হলো, সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর কক্ষপথ এবং পৃথিবীকে ঘিরে চাঁদের কক্ষপথ, একই সমতলে অবস্থিত নয়। এই দুই কক্ষপথের মাঝে একটি কৌনিক ব্যবধান রয়েছে। এটা না থাকলে, প্রতি মাসেই অমাবস্যায় সূর্যগ্রহণ এবং পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণ হত। </p> <p>প্রতিবছর সাধারণত দুটো চন্দ্রগ্রহণ হয়। কোন কোন বছর তিনটি চন্দ্রগ্রহণও হতে পারে। অন্যদিকে বছরে দুই থেকে পাঁচটি সূর্যগ্রহণ হবার রেকর্ড রয়েছে। তবে সূর্যগ্রহণ দেখা যায় পৃথিবীর খুব সীমিত এলাকা থেকে। এর ফলে খুব কম মানুষই পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখার সুযোগ পান। চন্দ্রগ্রহণ দৃশ্যমান হয় পৃথিবীর বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে। প্রসঙ্গত বলি, আমি সারা জীবনে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখেছি মাত্র দুইবার। কিন্তু চন্দ্রগ্রহণ দেখেছি বহুবার।<br />  </p>