<p>কালের কণ্ঠে গতকাল মঙ্গলবার ‘রূপগঞ্জে ১৬৬ বিঘা সরকারি জমি উদ্ধার’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে আনন্দ পুলিশ পরিবার কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি। তাদের প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ও তাদের পরিবারবর্গের সমন্বয়ে ২০০৭ সালে এই ‘আনন্দ পুলিশ পরিবার কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি’ গঠন করা হয়। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গুতিয়াব, জাঙ্গীর, মোগলান, মুশুরীগ্রাম ও পিতলগঞ্জ মৌজায় আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজউকে ‘আনন্দ হাউজিং সোসাইটি’ নামে আবাসন প্রকল্পের নিবন্ধন করা হয়। এই আবাসন প্রকল্পের লে-আউট প্লান রাজউকে জমা দেওয়া হয়েছে। রাজউকের ঊর্ধ্বতন কমকর্তারা সরেজমিন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। রাজউকই প্রকল্পভুক্ত এলাকাটি আবাসিক, বাণিজ্যিক বা শিল্প স্থাপন উপযোগী হিসেবে গ্রোথ ম্যানেজমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাই প্রকল্পভুক্ত এলাকায় ১৬৬ বিঘা সরকারি জমি বা ‘ক’ তফসিলভুক্ত জমি থাকার বিষয়টি সম্পূর্ণ মনগড়া ও ভিত্তিহীন। আনন্দ হাউজিং সোসাইটির অন্তর্ভুক্ত লে-আউটে কোনো সরকারি জমি নেই বা ছিল না। সুতরাং জবরদখল করে রাখার প্রশ্ন সম্পূর্ণ অবান্তর। গত সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত কৌতূহলে প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করতে সেখানে গিয়েছিলেন। তবে কোনো জমির জবরদখল বা জমি উদ্ধার কার্যক্রম, যেমন—সীমানা খুঁটি স্থাপন, লাল নিশান স্থাপন কিংবা কোনো নোটিশ জারি করেনি। জমি জবরদখলমুক্ত করার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।</p> <p>প্রতিবাদলিপিতে আরো বলা হয়, প্রতিবেদক বিষয় সম্পর্কে কোনো ধরনের তথ্য সংগ্রহ না করে সম্পূর্ণ মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রেরণ করেছেন, যা সুষ্ঠু ও সঠিক সাংবাদিকতার পরিপন্থী বলে এই সমিতি মনে করে। বাংলাদেশ পুলিশ দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে সব সময়ই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং উক্ত হাউজিং সোসাইটি বাস্তবায়নে কোনো জমি অবৈধভাবে কখনো দখল করা হয়নি এবং জমির মালিকদের সর্বোচ্চ বাজার মূল্য প্রদান করে তাদের পূর্ণ সম্মতিক্রমে জমি ক্রয় করা হয়।</p>