<p style="text-align:justify">সনাতনী অধিকার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, তারা জাতিগতভাবে ভাল নেই। নানা ভয়ভীতির মধ্যে তাদের দিন কাটছে। বিভিন্ন স্থানে হামলা ও চাঁদাবাজী চলছে। অনেককে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি জীবননাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে দ্রুত সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ ৮দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সনাতনী অধিকার আন্দোলনের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সনাতনী অধিকার আন্দোলনের পক্ষে প্রদীপ কান্তি দে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রসেনজিৎ কুমার হালদার, পিযুস দাস, সুমিতা মণ্ডল, নিহার হালদার, অনুপম দাস প্রমূখ।</p> <p style="text-align:justify">সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত দাবিনামায় বলা হয়, সংখ্যালঘু নির্ঘাতনের বিচারের জন্য ‘দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল’গঠন করে দোষীদের উপযুক্ত শান্তি প্রদান এবং ক্ষতিগ্রতদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন এবং হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নত করতে হবে। ‘দেবত্তোর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন’প্রণয়ন এবং ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন’যথাযথভাবে কার্যকর করতে হবে। সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলের প্রার্থনা কক্ষ বরাদ্দ দিতে হবে। সংস্কৃত পালি শিক্ষা বোর্ড আধুনিকায়ন করতে হবে। শারদীয় দুর্গাপূজায় ৫ দিনসহ প্রতিটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসবে প্রয়োজনীয় ছুটি নিশ্চিত করতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। আগামী এক মাসের মধ্যে ওই সকল দাবি বাস্তবায়িত হবে বলে আমরা আশা করছি। এই সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তবে এই সময়ে দেশব্যাপী প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও সভা-সমাবেশসহ সামাজিক বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান থাকবে। কারণ বর্তমান সরকার প্রধান উপদেষ্টার আশ্বাসের পরও বিভিন্ন স্থানে হামলা, লুটপাট এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ বিভিন্ন পেশায় কর্মরত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের জোরপূর্বক পদত্যাগ ও চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। অনেককে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। ওই সকল অনাকাঙ্খিত ঘটনা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।<br />  </p>