<p style="text-align: justify;">পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘বন কর্মকর্তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে পাহাড়খেকোরা একটি বার্তা দিতে চেয়েছিল যে তাদের পথে কেউ বাধা হলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হবে। আমরাও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করে একটি নজির স্থাপন করতে চাই। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জড়িতদের এমন বিচার করা হবে, যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করার কথা কেউ চিন্তাও না করে।’</p> <p style="text-align: justify;">রবিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভিটিকান্দি গ্রামে পাহাড়খেকো চক্রের হাতে নিহত বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে চেক ও নগদ টাকা হস্তান্তর শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।</p> <p style="text-align: justify;">সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও অবগত রয়েছেন। সময়-সুযোগ পেলে তিনিও নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন। বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, আমরা তাদের চিহ্নিত করতে পেরেছি। এ ঘটনায় একজনকে আটক হলেও বাকিরা গা-ঢাকা দিয়েছে। আমরা তাদের আটকের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। অচিরেই সব আসামিকে আইনের আওতায় আনা হবে।</p> <p style="text-align: justify;">এর আগে মন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে বেলা পৌনে ১১টায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভিটিকান্দি গ্রামে নিহত বন কর্মকর্তা সাজেদুজ্জামানের বাড়িতে পৌঁছেন। এ সময় তিনি নিহত বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের বাবা শাহজাহান মাস্টার, মা উম্মে কুলসুম এবং স্ত্রী মুমতাহেনা সুমি ও নয় মাসের কন্যাসন্তান সাদিকার সঙ্গে কথা বলেন। এরপর নিহত বন কর্মকর্তার মা এবং স্ত্রীর হাতে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের এক দিনের বেতন ১০ লাখ টাকার চেক এবং মন্ত্রণালয়ের তহবিল থেকে ৫ লাখ টাকা প্রদান করেন তিনি।</p> <p style="text-align: justify;">পাশাপাশি নিহত বন কর্মকর্তার স্ত্রী মুমতাহেনা সুমিকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। পরে তিনি নিহতের কবর জিয়ারত করে রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। </p> <p style="text-align: justify;">এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, বন সংরক্ষণ (প্রশাসন) আব্দুল আউয়াল সরকার, পরিবেশ বন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু নাঈম মোহাম্মদ মারুফ খান, মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আশরাফুল আলম, বাংলাদেশ বন বিভাগের আহ্বায়ক আমিরুল হাসান, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার প্রমুখ।</p> <p style="text-align: justify;">উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ রাতের আঁধারে পাহাড় কেটে ডাম্প ট্রাকে করে মাটি পাচার করার সময় বাধা দিতে গেলে ড্রাম্প ট্রাক চাপা দিয়ে নির্মমভাবে খুন করা হয় বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামানকে। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন সাজ্জাদুজ্জামান। </p>