<p>রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য বিমানের টিকিটে লেবার ফেয়ার প্রদান করাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদ। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতান, মহাসচিব আরিফুর রহমানসহ সংগঠনের নেতারা। </p> <p>মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা চাই, সরকার নির্ধারিত খরচে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থান করা হোক। বর্তমানে সৌদি আরবসহ অন্যান্য আরব দেশসমূহের এয়ার টিকেটের মূল্য বাংলাদেশ বিমানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্স অযৌক্তিকভাবে ৩-৪ গুণ বাড়িয়েছে। দেশের হাজার হাজার কোটি ডলার কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশি এয়ারলাইন্স দেশ হতে নিয়ে যাচ্ছে। ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা হতে ১৮-২২ হাজার টাকায় আরব দেশসমূহের এয়ার টিকেটের মূল্য হলেও বাংলাদেশ হতে একই গন্তব্যে এয়ার টিকেটের মূল্য ৭০-৯০ হাজার টাকা। আমরা অবিলম্বে বাংলদেশ বিমানের মাধ্যমে হলেও রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য লেবার ফেয়ার নির্ধারণ ও সেটির দৃশ্যমান বাস্তবায়ন দেখতে চাই।</p> <p>মানবন্ধনে চার দফা দাবি হলো</p> <p>১. রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য এয়ার টিকেট লেবার ফেয়ার প্রদান করা ও অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধি রোধ করা।<br /> ২. জনশক্তি প্রেরণ খাতকে শিল্প হিসেবে ঘোষণ করা এবং এর মালিকদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া।<br /> ৩. স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করে বৈধভাবে কর্মী প্রেরণ করার পরও মানব পাচার আইনে রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের হয়রানি বন্ধ করা।<br /> ৪. সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে বাংলাদেশ ও ফরেন দূতাবাসসমূহে তালিকাভুক্ত করা।</p> <p>তারা বলেন, ১৯৭৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এক কোটি ৩৩ লাখের বেশি নারী-পুরুষ রেমিট্যান্স যোদ্ধা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৈধভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন। এক কোটির বেশি রেমিট্যান্স যোদ্ধার কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহের অবদান অসামন্য। কভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির কারণে জনশক্তি প্রেরণ খাত তথা রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহ শত শত কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছে। যে সেক্টর হতে বছরে ২২ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়, সেই সেক্টর যুগ যুগ ধরেই অবহেলিত অবস্থান রয়েছে। এই খাতটি শিল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত না থাকায়, রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহ সরকার ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা অবিলম্বে জনশক্তি প্রেরণ খাতকে শিল্প হিসেবে ঘোষণার জোর দাবি জানাচ্ছি।</p> <p>বক্তারা আরো বলেন, বর্তমানে দেশে ২ হাজার বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি আছে। বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসে তালিকাভুক্ত হতে তাদের নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাস বিভিন্ন দূতাবাসে দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ রিক্রুটিং এজেন্সি শত চেষ্টা করেও অদৃশ্য কারণে তালিকাভুক্ত হতে পারছে না। আমরা চাই, সরকার অনুমোদিত সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে বাংলদেশ ও বহির্বিশ্বের সব দূতাবাসে অবিলম্বে তালিকাভুক্ত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।</p>