<p>সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেয়ে থাকেন অনেকেই। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতেই এই উপায় বেছে নেন কেউ কেউ। নানা গুণের আধার এ উপাদান কেবল কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেবে তা কিন্তু নয় বরং ওজনের লাগাম ধরতেও নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খেতে পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। জেনে নিন ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার কিছু উপকারিতা। </p> <p><strong>কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে</strong><br /> কোষ্ঠকাঠিন্য হলে শরীরের ভেতরের স্বাভাবিক নানা ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তার বিরূপ প্রভাব পড়ে গোটা শরীরেই। এই সমস্যার সমাধানে খেতে পারেন ইসবগুলের ভুসি। এটি পাকস্থলীতে গিয়ে ফুলে যায়। এরপর পেটের সব বর্জ্য বের করে দিতে সাহায্য করে।</p> <p><strong>বিদায় হবে গ্যাস্ট্রিকও </strong><br /> গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। ভুলভাল খাবার খাওয়ার অভ্যাস এর বড় কারণ। এটি দূর করার অন্যতম ঘরোয়া উপায় হতে পারে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া। এটি পাকস্থলীর দেয়ালকে বাঁচিয়ে রাখে। এসিডের জন্য ক্ষয়ে যেতে দেয় না। </p> <p><strong>ডায়রিয়া প্রতিরোধে</strong><br /> ডায়রিয়া প্রতিরোধে ভূমিকা রয়েছে ইসবগুলের। এটি দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দইয়ে প্রোবায়োটিক থাকে, যা পাকস্থলীর ইনফেকশন সারাতে কাজ করে। এদিকে ইসবগুল তরল মলকে শক্ত করতে সাহায্য করে। ফলে ডায়রিয়া দ্রুতই সেরে ওঠে। </p> <p><strong>হৃদযন্ত্র ভালো রাখে</strong><br /> হার্ট ভালো রাখতে নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খান। কারণ এতে ফাইবার থাকে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে। পাশাপাশি খাদ্য থেকে কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয়। বিশেষ করে রক্তের সিরাম কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।</p> <p><strong>ওজন কমাতে</strong><br /> খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে ১০ গ্রাম ইসবগুলের ভুসি পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। এতে অন্যান্য খাবারের অতিরিক্ত চাহিদা কমে যায়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।</p> <p><em>সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস</em></p>