<article> <p style="text-align: justify;">কোলেস্টেরল হলো রক্তে মিশে থাকা চর্বি বা লিপিড, যার সাহায্যে শরীর জীবকোষের কোষপ্রাচীর তৈরি করে। এ ছাড়া শরীরের বিপাক, প্রাণশক্তি ও হরমোন তৈরিসহ অনেক কাজে এই কোলেস্টেরল ব্যবহৃত হয়।</p> <p style="text-align: justify;">কিন্তু রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা অস্বাভাবিক বেড়ে গেলে হৃদরোগসহ অনেক রোগের উৎপত্তি হতে পারে। তবে রোগীর শরীরে অনেক সময় নির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">উচ্চ কোলেস্টেরল জেনেটিক বা বংশগতও হতে পারে।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>করণীয়</strong></p> <p style="text-align: justify;">রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি হলে হার্টের সমস্যা, স্ট্রোকসহ অন্যান্য জটিল স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তবে স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম এবং নিয়মিত চেকআপ করলে এসব বিপদ থেকে মুক্ত থাকা যায়। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ডায়েট ও জীবনধারায় যেসব পরিবর্তন আনবেন—</p> <p style="text-align: justify;">* আঁশ বা ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে কিন্তু চর্বি বা স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকে এমন পুষ্টিকর খাবার খান।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">* প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন গোটা শস্য, প্রচুর পরিমাণ শাক-সবজি ও ফলমূল।</p> <p style="text-align: justify;">* পালং, মেথি, কলমি, পুঁই, কচু ইত্যাদি যেকোনো ধরনের শাক খান।</p> <p style="text-align: justify;">* সপ্তাহে তিন দিন একটি ডিম খেতে পারেন। বাকি চার দিন ডিমের সাদা অংশ খান।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">* ওজন ঠিক রাখতে দ্রুত হাঁটা, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ, জগিং, ব্যায়াম ইত্যাদি করুন।</p> <p style="text-align: justify;">* প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমান।</p> <p style="text-align: justify;"><b>যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন</b></p> <p style="text-align: justify;">রেড মিট বিশেষ করে গরুর মাংস, খাসির মাংস, চিংড়ি, তেল ও চর্বিজাতীয় খাবার কম খান। প্রসেসড ফুড, ফাস্ট ফুড, জাংক ফুড সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলুন। প্রক্রিয়াজাত খাবার, কেক, কুকিজ, পেস্ট্রি, পনির, ঘি, মাখন, চিজ, জ্যাম-জেলি বাদ দিন।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">ক্রিমযুক্ত দুধ এবং তা থেকে তৈরি খাবার, ঘি-মাখন যতটা সম্ভব কম খান। বেশি রাত পর্যন্ত জেগে থাকবেন না। খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিছানায় যাবেন না। টেনশন বা মানসিক চাপমুক্ত জীবন গড়ে তুলুন। ধূমপান, মদ্যপান একদম নয়।</p> <p style="text-align: justify;"><b>স্ক্রিনিং জরুরি</b></p> <p style="text-align: justify;">আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা আদৌ বেশি কি না, তা জানতে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা অভুক্ত থেকে খালি পেটে রক্তের লিপিড প্রফাইল পরীক্ষাটি করুন। ৪৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী পুরুষ এবং ৫৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী নারীদের প্রতি দুই বছরে একবার তাঁদের কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা উচিত। হার্টের সমস্যা থাকলে যেকোনো সময় এবং ৬৫ বছরের বেশি ব্যক্তিদের প্রতিবছর একবার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা উচিত।</p> <p style="text-align: justify;">পরামর্শ দিয়েছেন</p> <p style="text-align: justify;"><b>ডা. এস এম ইয়ার ই মাহাবুব</b></p> <p style="text-align: justify;">সহযোগী অধ্যাপক</p> <p style="text-align: justify;">ইন্টারভেনশন কার্ডিওলজি বিভাগ</p> <p style="text-align: justify;">বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।</p> </article>