<p>রাজধানীর মিরপুরের দারুসসালামে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে সিয়াম (১৪) নামের এক স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। গত রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দারুসসালাম থানার লালকুঠির বসুপাড়া এলাকায় সে হামলার শিকার হয়। পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। </p> <p>সিয়াম বসুপাড়া এলাকার মো. আমিন ও স্বপ্না দম্পতির একমাত্র সন্তান। সে স্থানীয় লালকুঠি এলাকার কবি নজরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। ছুরিকাঘাতের কারণে পাকস্থলীতে ক্ষত সৃষ্টি হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে সিয়ামের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।</p> <p>এ ঘটনায় সিয়ামের পরিবার বাদী হয়ে রুবেল ওরফে পটেটো রুবেল (২৫), আল-আমীন (২২), ইমরান (২৬), রকি (২৩), ফরিদ (২৬), মাসুদ ওরফে জার্মান মাসুদ (২৬), আলীমসহ আটজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে। এদের মধ্যে ইমরান ও আলীমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। </p> <p>দারুসসালাম থানার ওসি আমিনুল বাশার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আপাতত মনে হচ্ছে স্থানীয় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মাঝখানে পড়েই সিয়ামের মৃত্যু হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত শেষে জানা যাবে।’ তদন্তের স্বার্থে ওই দুই গ্রুপের বিষয়ে কিছু জানাতে চাননি তিনি। </p> <p>ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সিয়ামের বন্ধু আসিফ আহমেদ ও শীতল জানায়, রবিবার সন্ধ্যার আগ থেকে সিয়ামসহ তারা কয়েকজন বন্ধু একসঙ্গেই ছিল। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে বসুপাড়া এলাকায় তারা একটি গাছের নিচে আম কুড়াতে যায়। তখন কয়েকজন যুবক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তেড়ে আসে। তাদের মধ্যে রকি, ফরিদ, রুবেল ওরফে পটেটো রুবেল, ইমরান ও জার্মান মাসুদ ছিল। ভয়ে তারা সেখান থেকে পালাতে পারলেও সিয়াম তাদের হামলার শিকার হয়। </p> <p>এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে এক যুবককে ছুরি হাতে এক কিশোরের ঘাড় ধরে টেনে নিয়ে যেতে দেখা যায়। </p> <p>সিয়ামের মা স্বপ্না বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘সিয়ামকে যে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল তার নাম ইমরান। তার পাশের যুবকের নাম আলী। ওরাই আমার ছেলেকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। আমি ওদের শাস্তি চাই।’ </p>