<p>নড়াইলে জেলা আওয়ামী লীগ অফিস, এমপি মাশরাফি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্তত ২৫ নেতাকর্মীর বাড়ি, গাড়ি, দোকানে সোমবার ভাঙচুর-লুটপাট ও আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এ সময় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়, যার মদ্ধে সাধারণ মানুষ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী রয়েছে। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল সিকদারের মার্কেট ও সেখানে অবস্থিত সোনালী ব্যাংক রূপগঞ্জ শাখায় ভাঙচুর হয়েছে।</p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের খবরে বিকেল থেকে বিভিন্ন এলাকার আন্দোলনকারীরা রাস্তায় নেমে আসে। এ সময় নড়াইল পৌরসভায় নৌকা প্রতীকের গেট ভাঙচুর হয়। পরে বিক্ষিপ্তভাবে নানা এলাকার আন্দোলকারী ও উৎসুক জনতা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোসের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এরপর পাশে অবস্থিত হুইপ মাশরাফির বাড়িতে কয়েক দফা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।</p> <p>নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার ডুপ্লেক্স বাড়িতে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করা হলেও তারা নিরাপত্তার কারণে অপারগতা প্রকাশ করে। </p> <p>এ ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলুর ডুপ্লেক্স বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট ও দুটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। পরে আউড়িয়ায় অবস্থিত জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সপ্নীন সিকদার নীলের বাড়িতে ভাঙচুর হয়। দুপুর ৪টা থেকে নড়াইল শহরজুড়ে কয়েকহাজার আন্দোলনকারী রাস্তায় বিজয়ের স্লোগান দিতে থাকে। জেলা বিএনপি, জামায়াত, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শহরে খণ্ড খণ্ড আনন্দ মিছিল বের করে। বিকেলে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম উপস্থিত সবাইকে শান্ত হয়ে পরবর্তী রাজনীতি পর্যবেক্ষনের অনুরোধ জানান।</p> <p>এদিন নড়াইল পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাজী জহিরুল হক, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাজীব মোহাম্মদ, আওয়ামী লীগ নেতা শরীফ হুমায়ুন কবীরের বাড়িসহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এস এম পলাশের বাড়ি, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ সিংহ পল্টুর বাড়ি, আ. লীগ নেতা মিলন খান, অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান কায়েস, ব্যবসায়ী বুলু খান, রূপগঞ্জ টাউন ক্লাব, পোলট্রি ব্যবসায়ী বাটুল মজুমদার,ব্যবসায়ী নিপু সরকারের বাড়ি ও দেশি মদের দোকান ভাঙচুর করা হয়।</p>