<p>ঝিনাইদহে বিভিন্ন স্থপনা ভাংচুরের মধ্য দিয়ে ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ সময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেট ও টিয়ারশেলে শিক্ষার্থী-সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। দুইটি পুলিশ বক্স ও ঝিনাইদহ ডাকঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৬ জনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ও ১৪ জনকে ব্যাপারীপাড়ার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে নাম পরিচয় জানা যায়নি।</p> <p>রবিবার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন এলাকা বিক্ষোভকারীদের দখলে ছিল। জেলা সদরের সব পুলিশ এ সময় সদর থানার মধ্যে অবস্থান করে।</p> <p>ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুসরাত জাহান কালের কণ্ঠকে জানান, আহতদের বয়স ১৬ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে ১৩ জন বুলেট বিদ্ধ হয়েছে। বাকিরা কাঁদানে গ্যাসে আহত হয়েছে। এদিকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরের ছবি তুলতে গিয়ে স্থানীয় তিন গণমাধ্যমকর্মী বিক্ষোভকারীদের হাতে আহত হন।</p> <p>সকাল থেকেই ঝিনাইদহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখল করে নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা। বেল ১১টা থেকে জেলা বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্ররা ঝিনাইদহ শহরে সমবেত হতে থাকেন। এরপর শহরের শহীদ মিনার, আরাপপুর ও বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে এক যোগে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল ও স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ঝিনাইদহ শহর। শুরু থেকেই পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল। </p> <p>দুপুরের দিকে মিছিলটি পায়রা চত্বর থেকে থানার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষোভকারীরা জানতে পারে তাদের দুই শিক্ষার্থীকে পুলিশ আটক করেছে। তাদের ছাড়াতে ছাত্র-জনতা জোটবদ্ধ হয়ে থানায় প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরাও থানার মধ্যে অবস্থান নেওয়া পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলার পর আবারো জোটবদ্ধ হয়ে তারা পায়রাচত্বর ও পোস্ট অফিস মোড়ে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন, দুইটি পুলিশ বক্স, প্রেরণা একাত্তরে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন। </p> <p>বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী শারমিন সুলতানা, রায়হান ও হুসাইন কর্মসূচি শেষ করার ঘোষণা দেন। সেই সময় বিক্ষোভকারীরা বাড়ি ফেরার পথে পানি উন্নয়ন বোর্ড, দুর্নীতি দমন কমিশন, শহরের মডার্ন মোড়ে নির্মিত আওয়ামী লীগের সভামঞ্চ ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন অফিসের সামনে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করতে দেখা যায়।</p> <p>এ বিষয়ে জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।</p>