<p>ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার গৃহবধূ খালেদা আক্তার রিতুকে তিন সন্তানসহ বগুড়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রবিবার (৯ জুন) সকালে তাদের উদ্ধার হয়। এ সময় মেহেদি হাসান নামে এক যুবককেও আটক করা হয়েছে।</p> <p>পুলিশ জানায়, ওই নারী মূলত স্বেচ্ছায় চলে গিয়েছিলো। মেহেদী হাসান নামে ওই যুবকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কের জেরে তার কাছে চলে যায় ওই গৃহবধূ। পুলিশি হেফাজতে তাদের বিজয়নগর থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিজয়নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন রিতুর বাবা। </p> <p>এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম জানান, ওই নারী স্বেচ্ছায় চলে যান। মেহেদী হাসান নামে বগুড়ার ওই যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ অবস্থায় তাকে আখাউড়ায় নিয়ে আসে রিতু। বগুড়ায় গিয়ে তারা একটি ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করে। </p> <p>তিনি আরো জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ওই নারীর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। শনিবার রাত তিনটার দিকে বিজয়নগর থেকে পুলিশের দল বগুড়ায় পাঠানো হয়। বগুড়া পুলিশের সহযোগিতায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদের নিয়ে পুলিশের দল ঢাকার কাছাকাছি রয়েছে। ওই নারী ও যুবককে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।<br />  <br /> রিতুর বাবার সাধারণ ডায়রিতে উল্লেখ করা হয়, আখাউড়ার দ্বিজয়পুর গ্রামের আতাউর রহমান ভূঁইয়ার সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে তাবাচ্ছুম আক্তার (১০), তানিশা আক্তার (৭) ও হুমায়রা আক্তার (৫) নামে তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ২ জুন রিতু আখাউড়া থেকে তার বাড়ি বিজয়নগর উপজেলার মেরাসানি গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে। গত ৭ জুন শশুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য তাকে পূর্ব পরিচিত সুমন নামে এক পরিচিত চালকের অটোরিকশায় রিতুকে উঠিয়ে দেন আব্দুল আউয়াল। ওই অটোচালক সিঙ্গারবিল বাজারে গিয়ে তাদেরকে আরেকটি অটোরিকশায় উঠিয়ে দেয়। এরপর থেকে তাদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। </p>