<p style="text-align: justify;">রাতের খাবার খেয়ে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে এক বিছানায় ঘুমাতে যান আওয়ালাদ হোসেন (৪৭)। স্ত্রী-সন্তানরা ঘুমিয়ে গেলে বিছানার ওপরে ঘরের আড়ার সঙ্গে স্ত্রীর ওড়না বেঁধে ফাঁসিতে ঝোলেন আওয়ালাদ। শুক্রবার সকালে পুলিশ তার মরদেহটি উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সুনামখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।</p> <p style="text-align: justify;">স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ওই গ্রামের আওয়ালাদ হোসেন আইসক্রিম বিক্রি করে সংসার চালাতেন। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় মেয়ে ঢাকায় একটি পোশাক কারকানায় চাকরি করেন। স্ত্রী ও শিশু দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন। </p> <p style="text-align: justify;">আওয়ালাদের স্ত্রী তাসলিমা বেগম জানান, নিজের বসতভিটা ছাড়াও মোট ৮ কাঠা জমির মালিকানা দাবি করে প্রতিবেশী দুই স্বজন আদালতে মামলা করে। গত প্রায় দুই বছর ধরে ওই মামলার হাজিরা দিয়ে আসছিলেন স্বামীসহ তিনিও। এতে অনেক টাকা খরচ হয়। প্রতিমাসে হাজিরাসহ মামলা চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। প্রয়োজনীয় টাকা খরচ করতে না পারায় জায়গাজমি বেহাতের অবস্থা সৃষ্টির পাশপাশি প্রতিপক্ষের হুমকি দিচ্ছিল স্বজনরা। এ অবস্থায় এক ধরনের হতাশায় ভুগছিলেন স্বামী আওলাদ। এ নিয়ে প্রায়ই নিজের জীবন শঙ্কার আশঙ্কা করতেন। </p> <p style="text-align: justify;">তিনি আরো জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সবাই একসঙ্গে খাবার খান। পরে বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে বিছানায় যেতে রাত সাড়ে ১১টা বাজে। একপর্যায়ে বিদ্যুৎ এলে সবাই ঘুমাতে যান। এ অবস্থায় তিনিসহ দুই সন্তান ঘুমিয়ে গেলে রাতের কোনো একসময় তার স্বামী বিছানার ওপরে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁসিতে ঝোলেন। সকালে ঘুম ভাঙলে ঝুলন্ত অবস্থায় তার স্বামীকে দেখতে পান। </p> <p style="text-align: justify;">নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মো. হাসিম উদ্দিন জানান, প্রাথমিক দৃষ্টিতে ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করলেও রহস্য থাকায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।</p>