<p>ছাত্রলীগের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখার সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ ওরফে মো. ইলিয়াস মিয়াকে অস্ত্র মামলায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার একটি আদালত। বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (চতুর্থ) আদালতের বিচারক বেগম সেলিনা আক্তার এই রায় ঘোষণা করেন। এদিন বিকেলে ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. জাকির হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।</p> <p>ইলিয়াস কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বদরপুর গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেনের ছেলে। ২০১৭ সালের ২৮ মে ইলিয়াসকে সভাপতি ও গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী রেজাউল ইসলাম মাজেদকে সাধারণ সম্পাদক করে কুবি ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এক বছর মেয়াদী ওই কমিটির মেয়াদ ২০১৮ সালে শেষ হয়। তবে এক বছর মেয়াদের কমিটি ছয় বছরে নানা ঘটনায় আলোচিত-সমালোচিত হওয়ার পর ওই কমিটি চলতি বছরের ৬ মার্চ বিলুপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।</p> <p>অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন খান বলেন, ২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল কুমিল্লা কোটবাড়ির শালবন বিহার এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে মো. ইলিয়াস মিয়া ওরফে ইলিয়াস হোসেন সবুজকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, ২ রাউন্ড তাজা গুলি এবং একটি মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করেছিলো র‌্যাব। এ ঘটনায় ওইদিনই অস্ত্র আইনে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলার দায়ের করেন র‌্যাব-১১, পিসিপি-২ কুমিল্লার ডিএডি মো. মোস্তাকিম। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (চতুর্থ) আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বেগম সেলিনা আক্তার এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। অস্ত্র মামলায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। এ মামলায় মোট ১৪ জন স্বাক্ষীর মধ্যে বাদী, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৫জন তাঁদের সাক্ষ্য দিয়েছেন।</p> <p>এ প্রসঙ্গে কুবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, এই রায় একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায়। কারণ মামলার কোনো স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ নেওয়া হয়নি। গতকাল (মঙ্গলবার) আমার এ মামলায় হাজিরা ছিল আমি হাজিরা দিয়েছি। এ ছাড়া এই মামলাটাই ষড়যন্ত্রমূলক ও সাজানো মামলা। ঘটনার সময় আমাকে ডেকে নিয়ে ফাঁসিয়েছিল র‌্যাব। আমি এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব। আশা করছি সেখানে ন্যায় বিচার পাব।  </p>