<p>সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে এইচ. এম. পি উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে ভুয়া সনদে একজনকে চাকরি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী কৃত্তিকা রায়ের স্বামী জ্যোতির্ময় রায় বাদী হয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অভিযোগ এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। </p> <p>জানা যায়, গত ১৬ জুলাই এইচ. এম. পি উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘আয়া’ পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ পরীক্ষা শেষে সম্পা রানী দাস নামে একজনকে নিয়োগ প্রদান করা হলে ২১ সেপ্টেম্বর অপর চাকরি প্রত্যাশী কৃত্তিকা রায়ের স্বামী জ্যোতির্ময় রায় বাদী হয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত দাস ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহরলাল সরকারের বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং আর্থিক ফায়দা হাসিলের মাধ্যমে চাকরি প্রদানের অভিযোগ তুলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায়, গত ২৪ নভেম্বর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি রতন মনি চন্দ’র মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন। </p> <p>অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নিয়োগপ্রাপ্ত সম্পা রানী দাস জালিয়াতির মাধ্যমে শাহজালার (রহঃ) উচ্চ বিদ্যালয় ইসলামপুর সিলেট থেকে অষ্টম শ্রেণি পাসের জাল সনদ নিয়ে চাকুরি প্রাপ্ত হন। যা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা, এই জালিয়াতিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও শাহজালার (রহঃ) উচ্চ বিদ্যালয় ইসলামপুর সিলেটের বর্তমান প্রধান শিক্ষক সুরঞ্জিত দাস। </p> <p>এ ছাডাও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে আর্থিক ফায়দা হাসিলেরও অভিযোগ করা হয়। </p> <p>প্রধান শিক্ষক জহরলাল সরকার বলেন, ‘নিয়োগ শতভাগ স্বচ্ছ হয়েছে। ডিপিও স্যারের কাছে সকল কাগজপত্র রয়েছে।’ </p> <p>বিদ্যালয়ের সভাপতি সুরঞ্জিত সরকার বলেন, ‘তিনি যেখানে লেখাপড়া করেছেন সেখান থেকেই সনদ নিয়েছেন। বর্তমানে আমি এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হলেও সে সময় এখানে ছিলাম না, ২০১৭সাল থেকে এই বিদ্যালয়ে আছি।’ </p> <p>জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি তদন্তাধীন। নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে।’</p>