<p>পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপের প্রভাবে টানা তিন দিনের বৃষ্টিপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরসহ দেশের সকল সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সকল মাছধরা ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।</p> <p>পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। উপকূলীয় এলাকার আকাশে মেঘের ঘনঘটা বিরাজ করছে। গত রবিবার থেকে জেলায় টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। গত সোমবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৮১.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে বরিশাল আবহাওয়া অফিস। </p> <p>এদিকে, টানা তিনদিনের বর্ষণে তলিয়ে গেছে জেলার নিন্মাঞ্চলসহ বিস্তৃর্ণ এলাকা। পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ, বরগুনার বেতাগী পৌরসভাসহ উপজেলার নিন্মাঞ্চলের একাধিক মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে যাবার খবর পাওয়া গেছে। </p> <p>বেতাগী উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, টানা বর্ষণের ফলে শীতকালীন আগাম সবজি চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে লাল শাক, পালন শাক, মুলা, লাউ, ফুলকপি, বাঁধাকপির ক্ষেত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। পানের বরজে পানি জমে গেছে। বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পানচাষি কৃষ্ণ কান্ত ঘরামী জানান, পানের দাম কম। এরই মধ্যে টানা বর্ষণে পানি জমে থাকলে পান পাতায় পচন ধরবে এবং ব্যাপক ক্ষতি হবে।</p> <p>বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, এখনও দু'-একদিনের মধ্যে বৃষ্টি কমে গেলে ফসলের তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে পানি জমে থাকলে ফসলের পচন ধরবে।</p> <p>এদিকে, আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে টানা বর্ষণ থাকায় বাইরে খুব একটা লোকজনের বিচরণ দেখা যায়নি। খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ বিপাকে পড়েছে।</p> <p>এদিকে, লঘুচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের পায়রা ও বরগুনার বিষখালী নদী উত্তাল রয়েছে। তবে ইলিশ ধরা নিষেধ থাকায় বর্তমানে সমুদ্রে কোনো ট্রলার নেই। এ কারণে দুর্ঘটনার কোনো শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন বেতাগী উপজেলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল রব সিকদার।</p>