<p>‘মানুষ মানুষের জন্য-জীবন জীবনের জন্য-শুধু একটু সহানূভূতি মানুষ কি পেতে পারে না’। এই প্রত্যয় নিয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে যখন গোটা বিশ্ব স্তব্ধ, একের পর এক দেশ মৃত্যুপুরী ঠিক সেই মুহুর্তের মধ্যেও গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের জন্য কিছু করার ব্রত নিয়ে এগিয়ে চলেছেন যশোরের শার্শার গর্ব দেশসেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমান।</p> <p>বুধবার বিকেলে শার্শায় দুস্থ অসহায় ভবঘুরে মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার প্যাকেট করে বিতরণ করেছেন। রাস্তাঘাটে শুয়ে থাকা ভবঘুরে, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধীসহ পথেঘাটে যে বেওয়ারিশ কুকুর থাকে তাদেরও রান্না খাবার দেয়া হয়। রান্না করা খাবার এ সংকট যতদিন চলবে, ততদিন খাওয়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। তার এ কাজে সহযোগিতা করেছেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলম চৌধুরী। খাদ্য বিতরণের সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন শি¶ক আব্দুল ওহাব, নাভারনের তরুণ সমাজসেবক মোকলেছুর রহমান কাকন।</p> <p>উদ্ভাবক মিজানুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করতে দেশজুড়ে সরকার ঘোষিত লকডাউন পদ্ধতিটা যেমন সময়োপযোগী, তেমনি এর বিপরীতে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও অসহায় গরীব মানুষের নির্মম কষ্টের চিত্রটাও নিদারুণ সত্য। আর তাই সামাজিক দায়বদ্ধতা, জন্মস্থানের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও বর্তমান জাতীয় দুর্যোগ-এর ভয়াবহতা উপলব্ধি করে প্রচার নয় বরং দায়িত্ববোধ থেকেই আমি এই কাজটি করেছি। আমাদের দেখে যদি অন্যরাও এভাবে এগিয়ে আসে তাহলে সেটিই হবে আমাদের বড় প্রাপ্তি ও আনন্দের বিষয়। কিছু ভবঘুরে, প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক কাজ করতে পারে না এবং তাদের খাওয়ার কষ্ট হচ্ছে তাই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।</p> <p>এর আগে তিনি বিভিন্ন স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় নিজ অর্থে বিনামূল্যে গাছের চারা, অসহায় মানুষের মাঝে মাস্ক, গ্লোভস বিতরণ করেছেন এক প্রান্তর থেকে অন্য প্রান্তরে ছুটে। নিলামে বিক্রি করতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর নিজ হাত থেকে নেওয়া জাতীয় পুরস্কার হিসেবে প্রাপ্ত মেডেলটিসহ জীবনের সব পাওয়া উপহার সামগ্রী। করোনাভাইরাস এর কারণে অসহায়-দুস্থ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য মেডেল বিক্রির অর্থ লকডাউনে থাকা সব শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিতে চান দেশ ও জাতির কল্যাণে।</p>