<p>চেরন পোকফান্ড (সিপি) গ্রুপ কখনো নতুন বাজারে প্রবেশ এবং সেখানে গিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পায় না। জাপানের মতো দেশেও সর্বত্র ছড়িয়ে আছে সিপি স্টোর। ক্রেতারা সহজে চিকেন পণ্য কিনতে পারেন, যা থাইল্যান্ডে প্রক্রিয়া হয়ে জাপানে ঢোকে। সিপি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও ধানিন চেয়ারাভানন্ট সম্প্রতি নিক্কি এশিয়ান রিভিউতে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।</p> <p>তিনি আরো বলেন, ১৯৭৩ সালে আমরা জাপানের বাজারে প্রবেশ করি। তখন থেকেই আমরা থাইল্যান্ডে প্রক্রিয়াজাতকৃত মুরগির মাংস জাপানে রপ্তানি করি। আশির দশকে রপ্তানি পণ্যে যোগ করি চিংড়ি। আমরা সবচেয়ে সহনীয় দামে জাপানের ভোক্তাদের কাছে ফ্রাইড চিকেন এবং চিংড়ি সরবরাহ করে আসছি।</p> <p>আরো পড়ুন - <a href="http://kalerkantho.com/online/business/2018/02/18/603663">স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ : মানবসম্পদকে দক্ষ করে তোলার তাগিদ</a></p> <p>৭৮ বছর বয়সী চেয়ারাভানন্টই সিপি সাম্রাজ্য বিস্তার করেন ১০০টিরও বেশি দেশে। সেই সঙ্গে গত ৫০ বছরে যুক্ত হন খাদ্যপণ্য, কৃষি ও পশুপালনসহ ৩০ ধরনের ব্যবসায়। এর ফলে তাঁর পরিবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শীর্ষ ধনী। আর ফর্বসের হিসাবে চেয়ারাভানন্টের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ১৬.৮ বিলিয়ন ডলার।</p> <p>৯৭ বছর আগে ১৯২১ সালে ব্যাংককের চায়নাটাউনে ছোট্ট পরিসরে যাত্রা শুরু হয় সিপির। ২০১৫ সালে সিপি গ্রুপ ৪৫ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে। দক্ষিণ এশিয়া, চীন, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ দেশে তাদের বিনিয়োগ রয়েছে, যেখানে কর্মী আছে ৩ লাখের বেশি।</p> <p>আরো পড়ুন : <a href="http://kalerkantho.com/online/business/2018/02/17/603411">ঋণ বরাদ্দের আগে প্রকল্পের যথাযথ মূল্যায়নের পরামর্শ অর্থমন্ত্রীর</a></p> <p>ব্যবসার শুরুর দিককার স্মৃতিচারণা করে চেয়ারাভানন্ট বলেন, ‘আমার বাবা চিয়া এক চর ছিলেন চায়না বণিক। তিনি জন্মেছেন চীনের গুয়াংডং প্রদেশে। পেশাদারি ব্যবসায়িক যোগাযোগের কারণে তিনি থাইল্যান্ড, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চীনে অবাধে যাতায়াত করতে পারতেন। বাবার এই ভূমিকার সুফল পাচ্ছে সিপি গ্রুপ। তবে আমিসহ আমার সব ভাই-বোন জন্মেছি থাইল্যান্ডে। বাবার দেশপ্রেমের স্বাক্ষর রয়েছে তাঁর সন্তানদের মাঝে। তিনি আমাদের ১২ ভাই-বোনের সবারই চায়নিজ নাম রাখেন। আমরা লেখাপড়াও শিখেছি থাইল্যান্ড ও চীনে। তাই আমরা সবাই অবাধে চীন ও থাইল্যান্ড ভ্রমণ করতে পারি। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই সিপি ব্যবসা পরিচালনা করছে। আমরা চীনা পরিমণ্ডলে খুবই সাবলীল। এদিকটি আমাদের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে।’</p> <p>চীনের বাজারে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৭৮ সালে চীন অর্থনৈতিক সংস্কার করলে আমরা প্রথম দিককার বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে প্রবেশ করি। পরে প্রথম বিদেশি কম্পানি হিসেবে গুয়ানডং প্রদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে তালিকাভুক্ত হই। সেখানে চিয়া থাই গ্রুপ এই নামটি ব্যবহার করি যার চায়নিজ নাম হলো ঝেংদা।</p> <p>বর্তমান সিপি গ্রুপের উন্নতির পেছনে থাই জনগণের অবদান রয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের মানে চিয়া পরিবারকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে গ্রহণ করেছে। সেই সঙ্গে নিজ দেশে নাগরিকদের মতো আমাদের সমান সুযোগ দিয়েছে। এমনকি চীনের সঙ্গে থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়েও কেউ আমাদের বিরক্ত করেনি। সবার সহযোগিতায় সিপি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ প্রাইভেট করপোরেশন হয়েছে।</p> <p>উল্লেখ্য, সিপি বাংলাদেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করে ১৪ জানুয়ারি ১৯৯৯ সালে। কৃষি এবং পোল্ট্রি খাতে তাদের কার্যক্রম রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে সিপি ফাইভ স্টার নামে বেশ কিছু আউটলেট আছে। সেখানে ফ্রাইড চিকেনসহ অন্যান্য খাবার পাওয়া যায়।</p>