<p style="text-align: justify;">আজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করছেন লাখ লাখ হাজি। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর থাকবে পাহাড়েঘেরা এ প্রান্তর। এখানকার জাবালে রহমতে দাঁড়িয়ে প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। </p> <p style="text-align: justify;">স্থানীয় সময় আজ শনিবার (১৫ জুন) বেলা সাড়ে ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৩টার দিকে হজের খুতবা শুরু হবে। এ বছর মসজিদে নামিরা থেকে হাজিদের উদ্দেশে খুতবা দেবেন মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ মাহের বিন হামাদ আল-মুয়াইকিলি। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম মানারাতুল হারামাইন (<a href="https://manaratalharamain.gov.sa/arafa/arafa_sermon/en">manaratal haramain</a>) ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তা সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।</p> <p style="text-align: justify;">এদিকে কয়েক বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় এ খুতবার অনুবাদ সম্প্রচার করা হচ্ছে। টানা পঞ্চম বারের মতো এবারও বাংলায় তা শোনা যাবে। এ বছর ২০টির বেশি ভাষায় আরাফাতের খুতবার অনুবাদ সম্প্রচার করা হবে। এবার এর বাংলা অনুবাদ উপস্থাপন করবেন মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ড. খলীলুর রহমান।</p> <p style="text-align: justify;">হজের খুতবা শুনতে যেকোনো ডিভাইস থেকে মানারাতুল হারামাইন (<a href="https://manaratalharamain.gov.sa/arafa/arafa_sermon/en">https://manaratalharamain.gov.sa/home</a>) ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একটি ভাষা নির্বাচন করতে হবে। তা ছাড়া মানারাতুল হারামাইন অ্যাপ, আল কোরআন চ্যানেল ও আস সুন্নাহ চ্যানেলসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটারে খুতবাটি শোনা যাবে। </p> <p style="text-align: justify;">তা ছাড়া ওয়েবসাইট থেকে বিগত বছরের খুতবা শোনার ব্যবস্থা রয়েছে। মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের ত্ত্বাবধানকারী সাধারণ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে অনুবাদের পুরো কার্যক্রম পরিচালিত হয়। </p> <p style="text-align: justify;">এ বছর বিশ্বের ৩০ কোটির বেশি মানুষ লাইভ সম্প্রচারিত খুতবাটি শুনবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাই আরবি ছাড়াও ২০টির বেশি ভাষায় এর সরাসরি অনুবাদ সম্প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ভাষাগুলো হলো- ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, চাইনিজ, উর্দু, ফার্সি, মালয়, তার্কিশ, হাউসা, রুশ, বাংলা, সোয়াহিলি, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, আমহারিক, জার্মান, সুইডিশ, ইতালীয়, মালায়ালাম, বসনিয়ান ও ফিলিপিনো। <br />  </p>