<p>পবিত্র কাবাঘরের গিলাফ নিচ থেকে ওপরে তিন মিটার তোলা হয়েছে। এরপর চারদিক থেকে তা সাদা কাপড় দিয়ে মোড়ানো হয়েছে। স্থানীয় সময় গত ২৩ মে (১৫ জিলকদ) আসন্ন হজের প্রস্তুতি হিসেবে এ কাজ সম্পন্ন হয়। মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের সাধারণ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তা করা হয়।</p> <p>সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া জানিয়েছে, কাবার গিলাফ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কিং আবদুল আজিজ কমপ্লেক্সের একটি বিশেষজ্ঞ দল গিলাফ তোলার কাজটি সম্পন্ন করেছেন। তাঁরা প্রতিবছর হজের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কাজটি করে থাকেন। মূলত গিলাফের সুরক্ষা ও হজযাত্রীদের জন্য পবিত্র কাবাঘরের দেয়াল দেখার সুযোগ তৈরি করতে তা করা হয়। </p> <p>জানা যায়, হজের মৌসুম শুরু হলে মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। কাবাঘরের কালো গিলাফের কিছু অংশ ওপরে উঠিয়ে রাখা এর অন্যতম। এর বদলে ওই জায়গায় একটি সাদা কাপড় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ইসলামের সূচনাকাল থেকে হজের সময় কাবার গিলাফ সুরক্ষায় এই রীতি চলে আসছে।</p> <p>এর কারণ হিসেবে বলা হয়, অতীতে গিলাফের কিছু অংশ হাতের নাগালে পেয়ে কিছু অংশ কেটে ফেলার ঘটনা ঘটে। অনেকে গিলাফকে নিজের উদ্দেশ্য পূরণে পবিত্র বস্তু বলে মনে করে। কেউ কেউ সেই কাপড়ে নিজের নাম লিখে রাখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। অথচ এসব কাজের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। তাই হাজিদের ভিড়ের মধ্যেও গিলাফ সুরক্ষিত রাখতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আর খালি স্থানে সাদা কাপড় দিয়ে কাবাঘর মোড়ানো হয়।</p> <p>মূলত এর মাধ্যমে হজের সময় ঘনিয়ে আসার কথা স্মরণ করানো হয়। কাবার দেয়ালের সাদা কাপড় হজের পূর্বপ্রস্তুতির জানান দেয়। হজের শেষ সময় পর্যন্ত সাদা কাপড় থাকে। এরপর আগের মতো পুনরায় কালো গিলাফ নামিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিবছর ১৫ জিলকদ বা এর এক দিন আগে বা এক দিন পর কাবার গিলাফের অংশ ওপরে তোলা হয়। এরপর থেকেই হাজিদের ভিড় ও তাওয়াফ বাড়তে শুরু করে। প্রচণ্ড ভিড়েরর কারণে তখন আর গিলাফ ওপরে তোলা সম্ভব হয় না। </p> <p><strong><em>সূত্র : গালফ নিউজ</em></strong></p> <p> </p> <p><iframe frameborder="0" height="600" scrolling="yes" src="https://twitframe.com/show?url=https://twitter.com/muslimmakkah/status/1793357556078837887" width="1000"></iframe></p>