<p>দোয়া শব্দটি আক্ষরিক বিবেচনায় ছোট হলেও এর ক্ষমতার ব্যাপকতা ও বিস্তৃতি সত্যিই পরিমাপ করা বড্ড কঠিন। মালিক ও দাসের মাঝে চাওয়া-পাওয়ার সেতু নির্মাণকারী এক কারিগর। একজন ক্ষুদ্র দাস মালিকের কাছে অনুনয়-বিনয় করে ভিক্ষা মাঙছে, আর মনিব তাকে খুশি হয়ে সব দিয়ে দিচ্ছেন।</p> <p>এ যেন ওয়ান টু ওয়ান বোঝাপড়া। দোয়া মহান রবের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য বিশেষ এক উপহার। মুমিনের হাতিয়ারও বটে। সব ক্ষমতা যেখানে অকার্যকর, দোআর ক্ষমতা সেখান থেকে শুরু হয়। দোয়ার মাঝে কিছু আদব আছে, যা পালনে দোয়া তাড়াতাড়ি কবুল হয়।</p> <p><strong>দোয়ার আদব</strong></p> <p>১। দোয়ার আগে অজু করা। (বুখারি, হাদিস : ৪৩২৩)</p> <p>২। কিবলামুখী হয়ে দোয়া করা। (বুখারি, হাদিস : ১০০৫)</p> <p>৩। হাত তুলে দোয়া করা। (বুখারি, হাদিস : ২৮৮৪)</p> <p>৪। দোয়ার শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা ও রাসুল (সা.)-এর প্রতি দরুদ-সালাম পাঠ করা। (সহিহুল-জামি হাদিস : ৩৯৮৮)</p> <p>৫। চোখের পানি ছেড়ে দোয়া করা বা কান্নার ভান করা।</p> <p>৬। নীরবে দোয়া করা। (সুরা আরাফ, আয়াত : ৫৫)</p> <p>৭। নিজের পাপ স্বীকার করা। (সহিহুল জামি, হাদিস : ১৬৫৩)</p> <p>৮। কায়মনবাক্যে কাকুতি-মিনতি করা। (মুসলিম, হাদিস : ২১৮৯)</p> <p>৯। আল্লাহর সিফাতি নাম ধরে দোয়া করা। (নাসায়ি, হাদিস : ১৩০০)</p> <p>১০। নিজেকে মহান রবের কাছে ছোট করে উপস্থাপন করা।</p> <p>১১। দোয়ার শেষে ‘আমিন’ বলা। (বুখারি, হাদিস : ৭৮১)</p> <p>১২। দোয়ার পর দুই হাত মুখে নিয়ে মাসেহ করা। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৮৬৬)</p> <p>মহান আল্লাহ আমাদের এসব আদব রক্ষা করে দোয়া করার তাওফিক দান করু। আমিন</p>