<p>বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর অক্টোবর ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি ৯.৯৩ বা প্রায় ১০ শতাংশ, খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২.৫৬ শতাংশ। বিগত মার্চ মাস থেকে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তবে বিভিন্ন কারণে সেগুলো কার্যকর হচ্ছে না বা কার্যকর হতে কিছু সময় লেগে যাচ্ছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসাব মতে অক্টোবরে খাদ্য মূল্য সূচক ১২০-এ নেমে এসেছে, যা ২০২১ সালের খাদ্য মূল্য সূচকের (১২৬) কম। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যও ২০২১ সালের জ্বালানিমূল্যের কাছাকাছি চলে এসেছে। মূল্যস্ফীতি, বিশেষ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আমাদের মধ্যে এক অস্বস্তির পরিবেশ তৈরি করেছে। মূল্যস্ফীতির সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হলো এটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষের জন্য এটি কষ্টদায়ক প্রভাব ফেলে। মানুষের জীবনযাত্রার মান কমিয়ে দিতে পারে, যে কারণে মূল্যস্ফীতি রাজনৈতিকভাবে বেশ সংবেদনশীল। একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি আরো মূল্যবৃদ্ধির প্রত্যাশা তৈরি করে। দীর্ঘ সময়ে অধিক মূল্যস্ফীতি অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করে।<br /> <img alt="মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এখন যা করণীয়" height="297" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2023/11.November/12-11-2023/mk/kk-10-2023-11-12-08a.jpg" style="float:left" width="321" />তবে এটি ঠিক যে করোনা-পরবর্তী সময়ে সব উৎপাদন উপকরণের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরবরাহে বিঘ্নে ঘটায় বিশ্বব্যাপী অনেক দেশকে উচ্চ মূল্যস্ফীতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। ইউরোপ-আমেরিকার মতো দেশেও ৮-৯ শতাংশ মূল্যস্ফীতি দেখা গেছে। তাদের স্বাভাবিক সময়ের মূল্যস্ফীতি ১-২ শতাংশ সেখানে এই পরিমাণ মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি। বর্তমানে আমাদের যে মূল্যস্ফীতি তার চেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি ২০১১ সালে সরকার মোকাবেলা করেছে। ২০১১ সালে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১১ শতাংশের কাছাকাছি আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ শতাংশের ওপরে। সে সময়ের মূল্যস্ফীতি ছিল ১৯৯৯ সালের পর সর্বোচ্চ। বিশ্বমন্দার পরে ২০১১ সালে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। বিশেষ করে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় সব ধরনের পণ্যে দাম বেড়ে যায়। তা ছাড়া সরবরাহজনিত ঘাটতিও একটি কারণ ছিল। একটি মূল্যস্ফীতি চক্রের, যা পর্যবেক্ষণ করা গেছে, প্রতি ১২ বছর পর বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের কাছাকাছি বা ছাড়িয়ে যায়। ২০১১ সালের পরের বছর মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশ কমে যায় এবং এর পরের বছর আগের অবস্থায় ফিরে যায়। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে সরকারও দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়। ফলে জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। তবে ২০১১ সালে মূল্যস্ফীতি ২০২৩-এর চেয়ে বেশি হলেও বর্তমানে ২০১০-১১-এর তুলনায় মাথাপিছু আয় কিন্তু প্রায় সাড়ে তিন গুণ বেড়েছে। সে কারণে এবারের মূল্যস্ফীতি ২০১০-১১ অর্থবছরের তুলনায় অনেক সহনযোগ্য হওয়ার কথা।<br /> চলতি বছর আমাদের দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় অনেক শিরোনাম হয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন সময় নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায়। যেমন গত জুন মাসে পেঁয়াজের দাম বেড়ে কেজিতে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। আবার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হবে ঘোষণায় পেঁয়াজের দাম কমে যায়। পেঁয়াজের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে এবং কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার্থে সরকার গত ১৫ মার্চ পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ঘোষণা করে। সরকার খাদ্যদ্রব্য আমদানি হ্রাস ও স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার লক্ষ্যে বীজ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সেই সঙ্গে কৃষকরা যাতে ক্ষতির সম্মুখীন না হন সে জন্য আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আসলে মজুদদারি নয়, পেঁয়াজের সরবরাহ ঘাটতি ছিল, তাই ঈদের আগে পেঁয়াজের দাম দ্রুত বেড়ে যায়। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে আমরা যেমন দেখেছি, চলতি জুলাই মাসে মরিচের ক্ষেত্রে একই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি। মরিচের দাম কেজিপ্রতি এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছায়। এরই মধ্যে এ বছরের অতিবৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের গাছগুলো ক্ষেতে পঁচে যায়। আবার ভারত থেকে আমদানির খবরে দ্রুত দাম পড়ে যায়। কয়েক মাস ধরে ডিমের দাম নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এবার খবরের শিরোনাম হয়েছে আলু ও পেঁয়াজের দাম এবং দুটিরই মূল কারণ সরবরাহ ঘাটতি।  <br /> বাংলাদেশ মুক্তবাজার অর্থনীতির শ্রেণির মধ্যে পড়লেও বাজারে সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে সমন্বয় ঘটতে কিছুটা সময় নেয়। এর মূল কারণ আমাদের কৃষিব্যবস্থা আধুনিক ও তাপ নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে হয় না। সে কারণে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগে আমাদের কৃষির উৎপাদনশীলতার ওপর নানাভাবে প্রভাব ফেলে। যেমন- বর্ষাকালে বন্যায় বাজারে শাক-সবজির দাম স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি থাকে। আবার শীতকাল এলে দাম কমতে শুরু করে। কারণ তখন সরবরাহ বেড়ে যায়। আবার রমজানের সময় নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। পর্যাপ্ত সরবরাহ না দিতে পারায় সেগুলোর দামও বেড়ে যায়। বাজারে কিছু পণ্যের ব্যাপারে সরবরাহজনিত অনিশ্চয়তার আভাস পেলে বড় বড় ব্যবসায়ী কিছু পণ্যের দাম বাড়াতে ভূমিকা পালন করেন। কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে কেবল ঘাটতি হলেই বিশেষভাবে পাইকারি পর্যায়ে সিন্ডিকেশনের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। কাজেই চাহিদা ও সরবরাহের ক্ষেত্রে যেন বড় ব্যবধান তৈরি না হয় সেটি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। অমৌসুমে কোনো কৃষিপণ্যের স্বাভাবিকের চেয়ে ক্রমাগত দাম বাড়তে থাকলে বুঝতে হবে পণ্য উৎপাদনে ঘাটতি আছে, তাই দ্রুত আমদানির ব্যবস্থা নিতেই হবে। সময়মতো আমদানির ব্যবস্থা হলে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয় না এবং সিন্ডিকেশনের সুযোগ সৃষ্টি হয় না। দেশীয় পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খলও যেন কোনো অবস্থায়ই বাধাগ্রস্ত না হয়।   <br /> চলতি বছর বাজারে সরবরাহ ও চাহিদার পার্থক্য তৈরি হওয়ার অন্যতম কারণ হলো ডলার সংকটের কারণে উদ্ভূত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। সরকার সব কৃষিপণ্যের আমদানির অনুমতি দেয় না। বিশেষ করে খামারি বা স্থানীয় উৎপাদনকারীদের স্বার্থ রক্ষার নামে আমদানি সীমিত করে দেয়। সুতরাং ডলার ঘাটতির কারণে কোনো পণ্যের সরবরাহ সমস্যা হলে আমদানির ক্ষেত্রে ঋণপত্র খোলা থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে স্থানীয় বাজারে আসতে আসতে বেশ কিছু সময় লেগে যায়। এই সময়টাই কিছু ব্যবসায়ী কাজে লাগান। তা ছাড়া টাকার মান কৃত্রিমভাবে ধরে রাখার কারণে প্রবাসীরা হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোতে ডলার সংকট মোকাবেলা করা সহজ হয় না।<br /> টাকার অবমূল্যায়নের কারণে আমদানীকৃত পণ্যের দামের কারণেও স্থানীয় বাজারে তা প্রভাব পড়ছে। গত এক বছরে ডলার সংকটের কারণে টাকার মূল্যমানে ২৭ শতাংশ অবনমন ঘটেছে। টাকার বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হওয়ায় বাড়তি দামের আমদানীকৃত পণ্য দেশের বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়ার ফলে বাজারে অর্থ সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যংক নীতি সুদ হার আগের সাড়ে ৫ থেকে বাড়িয়ে ৭.২৫ শতাংশ করেছে। এর মাধ্যমে টাকার সরবরাহ কমাতে সহায়তা করবে। এশিয়ার দেশগুলোর ওপর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের গবেষণায় দেখা গেছে, ১ শতাংশ পয়েন্ট নীতি হার বাড়ালে ০.৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি কমে, সে কারণে নীতি সুদ হার আরো বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে হবে। শ্রীলঙ্কার নীতি সুদ হার ১০ শতাংশে উন্নীত করার পর মূল্যস্ফীতি এখন ২ শতাংশে নেমে এসেছে।  <br /> আমাদের দেশে শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাজস্বনীতির সমন্বয় জরুরি। আমাদের দেশের মূল্যস্ফীতির জন্য চাহিদা ও সরবরাহ দুটি কারণই দায়ী। কাজেই মুদ্রানীতির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি সবটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে- এ আশা করা ঠিক হবে না। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার কারণে একদিকে যেমন টাকার বাড়তি চাহিদা তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে আমদানি নিয়ন্ত্রণের কারণে বাজারে সরবরাহজনিত ঘাটতি বা সরবরাহ বিলম্বের কারণে স্থানীয় বাজারে ‍মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। তা ছাড়া আমদানির ওপর গড় শুল্ক কর বেশি হওয়ায় স্থানীয় বাজারে দাম বেড়ে তা মূল্যস্ফীতিতে অবদান রাখছে। টাকার বড় রকমের অবমূল্যায়ন (প্রায় ২৭ শতাংশ) আমাদের মূল্যস্ফীতিতে বড় ইন্ধন জুগিয়েছে। টাকার অবমূল্যায়ন কমাতে যেকোনোভাবে ডলারের সরবরাহ বাড়াতে হবে। রপ্তানিতে আন্ডার ইনভয়েসিং এবং আমদানিতে ওভার ইনভয়েসিং থামাতে কার্যকর ও শক্ত পদক্ষেপ নিতেই হবে। প্রবাস আয় বাড়াতে এবং হুন্ডির পথ পরিহার করাতে নির্দিষ্ট অঙ্কের প্রণোদনা বাদ দিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক মানি এক্সচেঞ্জ যে ডলার ক্রয় হার দেয়, যেদিন প্রবাসীর ডলার পাওয়া যাবে সেই রেট দিলে প্রবাসীরা হুন্ডির পথ বেছে নেবেন না। ডলার সরবরাহ বাড়বে। আর যাঁরাই দেশে প্রবেশ করবেন, একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের পর (১০ হাজার ডলার সম্ভবত) ঘোষণা দিতে হবে একটি নির্দিষ্ট ফরমে। আনুক না বিদেশি মুদ্রা যার যত ইচ্ছা। দেশে ডলার সংকটে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা অর্জিত রাজস্বের চেয়ে অনেক অনেক বেশি। অবারিত ডলার সরবরাহে আয় বৃদ্ধি পেলে অবশ্যই কর আয়ও বাড়বে। এমনকি সোনা অবাধে নিয়ে আসতে দিলে আমাদের স্বর্ণালংকারের বড় রপ্তানি বাজার তৈরি হতে পারে। আমাদের রপ্তানি আয় বাড়লে ডলার সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে।    <br /> পৃথিবীর উন্নত ও অনেক উন্নয়নশীল দেশ রাজস্বের জন্য প্রত্যক্ষ কর বা আয়করের ওপর অধিক নির্ভরশীল। আমাদের দেশে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি কর আসে পরোক্ষ কর থেকে। পরোক্ষ কর (যেমন- ভ্যাট) মূল্যস্ফীতিতে ভূমিকা রাখে। ১৭ কোটির দেশে করের আইডি আছে ৯০ লাখের কম। এর মধ্যে নিয়মিত কর দেয় মাত্র ২৪ লাখের মতো। অথচ আমাদের দেশে গাড়ির নিবন্ধনই আছে ৫০ লাখের বেশি। রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে এই ধারা বদলাতে না পারলে বা প্রত্যক্ষ করের দিকে না ঝুঁকলে সামনের দিনগুলোতে শুধু পরোক্ষ করের ওপর নির্ভরশীল হয়ে করের পরিমাণ বাড়ানো যাবে না। ফলে প্রত্যাশিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আমাদের বিদেশি ঋণের ওপর অধিক নির্ভর করতে হবে এবং বাজেট ঘাটতির চাপও কমানো যাবে না। অবশ্যই রাজস্ব বাড়াতে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি ধারাবাহিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।<br /> বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ডলার সংকট মোকাবেলা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। সরকার এরই মধ্যে অনেক সংস্কার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মুদ্রানীতি কমিটিতে ব্যাংকের বাইরে দুজন সদস্য হিসেবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করবে। মুদ্রা ও রাজস্ব নীতির সমন্বিত পদক্ষেপের ফলে ধীরে ধীরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করা যায়। তবে এই মুহূর্তে আমাদের মূল্যস্ফীতি যেহেতু  উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে, এ রকম উৎপাদন খরচ তাড়িত মূল্যস্ফীতি কমাতে সময় নেয়। কারণ উৎপাদন বৃদ্ধি না করে উৎপাদন খরচ খুব কমানো যায় না। কাজেই উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রযুক্তিগত ও ব্যবস্থাপনা উৎকর্ষ অর্জনে পদক্ষেপ নিতে হবে। সব খাতেই উৎপাদন  বৃদ্ধির প্রয়াস চালাতে হবে। আশা করা যায়, এই অর্থবছরের শেষ নাগাদ মূল্যস্ফীতি কভিড-পূর্বাবস্থার স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসবে।   </p> <p>লেখক : সামষ্টিক পরিকল্পনাবিদ, অর্থনীতিবিদ ও প্রতিমন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়</p>