ঢাকা, রবিবার ২০ জুলাই ২০২৫
৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৪ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, রবিবার ২০ জুলাই ২০২৫
৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৪ মহররম ১৪৪৭
সচিব কমিটির বৈঠকে উঠছে আজ

হালনাগাদ হচ্ছে জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা

  • স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ বাস্তবায়নে কাজ করবে
দেলওয়ার হোসেন
দেলওয়ার হোসেন
শেয়ার
হালনাগাদ হচ্ছে জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা

স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হালনাগাদ হচ্ছে জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪১ বিবেচনায় নিয়ে তিন ধাপে এই নীতিমালার কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্প, ২০৩১ সালের মধ্যে মধ্যম ও ২০৪১ সালের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় এই নীতিমালা বাস্তবায়িত হবে।

খসড়া নীতিমালা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পাঁচটি অধ্যায়ে বিভক্ত নতুন এ নীতিমালায় একটি রূপকল্প, ৯টি উদ্দেশ্য, ৭৩টি কৌশলগত বিষয়বস্তু ও ৩৩০টি করণীয় উল্লেখ করা হয়েছে।

রূপকল্প ও উদ্দেশ্যকে জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হয়েছে। বৃহত্তর উদ্দেশ্যের সঙ্গে মিল রেখে কৌশলগত বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়েছে, যার সুফল ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সমপ্রসারণ, দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদার বাড়াতে এই নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বর্তমান নীতিমালায় উদ্দেশ্য আটটি, কৌশলগত বিষয়বস্তু ৫৫টি ও ৩০৬টি করণীয় রয়েছে।
জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা-২০২৪-এর খসড়া অনুমোদনের জন্য আজ বুধবার সচিবালয়ে প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে উঠতে যাচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সচিব কমিটির অনুমোদন পাওয়ার পর প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছে।

সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা হালনাগাদ করা হচ্ছে।

২০০৯ সালে এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছিল। এরপর ২০১৫ ও ২০১৮ সালে দুই দফায় হালনাগাদ করা হয়। এবার ছয় বছর পর আবার হালনাগাদ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, সরকার যখন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশাল কর্মযজ্ঞ নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে, তখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লব দ্রুতগতিতে এগিয়ে আসছে।

আর এ বিপ্লবের গতি দ্রুততর করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), রোবটিকস, ব্লকচেইন, অগমেন্টেড রিয়ালিটি (এআর), ভার্চুয়াল রিয়ালিটির (ভিআর) মতো অগ্রসর প্রযুক্তি। এমন এক বাস্তবতায় সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পাশাপাশি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে শুধু তাল মেলানো নয়, নেতৃত্ব দিতে চায়। এ দুটি লক্ষ্য পূরণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা সংশোধন করা খুবই জরুরি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি শুম্ভস্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজব্যবস্থা। প্রতিটি স্তম্ভের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রয়েছে। যেমনস্মার্ট বাংলাদেশের একজন স্মার্ট নাগরিক হবে বুদ্ধিদীপ্ত, দক্ষ, উদ্ভাবনী, সৃজনশীল, প্রগতিশীল, অসামপ্রদায়িক চেতনায় জাগ্রত দেশপ্রেমিক এবং সমস্যা সমাধানের মানসিকতাসম্পন্ন নাগরিক। স্মার্ট অর্থনীতি হবে ক্যাশলেস, সার্কুলার, উদ্যোক্তামুখী, গবেষণা ও উদ্ভাবননির্ভর অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সমন্বয়ে একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি। স্মার্ট সরকার হবে নাগরিককেন্দ্রিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকারব্যবস্থা, যা হবে কাগজবিহীন, উপাত্তনির্ভর, আন্ত সংযুক্ত, আন্ত চালিত, সমন্বিত ও স্বয়ংক্রিয়। স্মার্ট সমাজ হবে বৈষম্যমুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা, যা হবে সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ সহনশীল সমাজ, যা নিরাপদ ও টেকসই। এই চারটি স্তম্ভের ভিত্তিতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে, যা উচ্চ আয়ের একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বর্ষায়ও হাতিরঝিলের পানি দূষণ

শেয়ার
বর্ষায়ও হাতিরঝিলের পানি দূষণ
বর্ষায়ও হাতিরঝিলের পানি দূষণে কালো হয়ে গেছে। সেই পানি থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। সেই সঙ্গে বাড়ছে মশা। পাশ দিয়ে হেঁটে চলা দায়। গতকাল তোলা। ছবি : মঞ্জুরুল করিম
মন্তব্য

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে আজ দেশব্যাপী চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে আজ দেশব্যাপী চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে আজ রবিবার দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পিপল হু ফট ফর আসডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট : স্টোরি অব মুশতাক আহমদসহ জুলাইয়ের চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। ঢাকায় মিরপুর-১০ ও বছিলায় শহীদদের স্মরণে সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে এসব আয়োজন করা হবে। গতকাল শনিবার সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়।

তথ্য বিবরণীতে আরো বলা হয়েছে, আজ ২০ জুলাই গণহত্যা ও ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ দিবস স্মরণে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিউজিক ভিডিও শেয়ার করা হবে, যার থিম মিউজিক হবে দেশটা তোমার বাপের নাকি। কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন একটি শহিদ পরিবারের সাক্ষ্য ডকুমেন্টারির পার্ট-৬ প্রচার এবং একজন জুলাই যোদ্ধার স্মৃতিচারণার ভিডিও শেয়ার করা হবে। সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হবে। সব মোবাইল গ্রাহকের কাছে ভিডিওর ইউআরএল পাঠানো হবে।

আজ ঢাকায় মোহাম্মদপুরে উর্দুভাষী বাংলাদেশিদের নিয়ে কাওয়ালি সন্ধ্যার আয়োজন করা হবে।

মন্তব্য
আদিলুর রহমান খান

ঢাকা শহরে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঢাবি প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঢাবি প্রতিনিধি
শেয়ার
ঢাকা শহরে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে হবে
আদিলুর রহমান খান

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, ‌‘ঢাকা শহরে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ী আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সময়ে মানুষকে ঢাকাকেন্দ্রিক করে ফেলা হয়েছে। ঢাকার সঙ্গে আশপাশের জেলাগুলোর ভালো সংযোগ স্থাপন করা হয়নি। ফলে মানুষ কাজের জন্য ঢাকা এলেও, কাজ সেরে ফিরে যেতে পারছে না।

গতকাল শনিবার বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগ আয়োজিত ঢাকায় নিম্নবিত্তের সাশ্রয়ী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক আবাসন শীর্ষক এক বিশেষ ডিজাইন-গবেষণা উপস্থাপনা ও আলোচনায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর প্লট ও ফ্ল্যাট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কোটা বাতিল করেছে সরকার। স্বল্প আয়ের মানুষের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে রাজউক থেকে লটারির মাধ্যমে অ্যাপার্টমেন্ট দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। 

এদিকে নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি হলে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের ফলাফল হাতে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন আদিলুর রহমান খান।

গতকাল ঢাবির টিএসসি অডিটরিয়ামে ঢাবি তরুণ কলাম লেখক ফোরাম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, নতুন করে যেন বাংলাদেশে কখনোই আর ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে।

 

মন্তব্য

শিক্ষাঙ্গন

শেয়ার
শিক্ষাঙ্গন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) যথাযোগ্য মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হয়েছে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫। দুই দিনব্যাপী (১৫-১৬ জুলাই) এ অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৬ জুলাই সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ