<p>নবাব সলিমুল্লাহর নাতি পরিচয় দেওয়া আলী হাসান আসকারি এবং তাঁর স্ত্রী ও শ্যালকের নামে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় প্রতারণার মামলা করা হয়েছে।</p> <p>স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গত সোমবার রাতে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম মামলাটি করেন।</p> <p>আসকারির শ্যালক মামলার আসামি মোহাম্মদ জনিকে (৩০) সোমবার রাতেই চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্টপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার অন্য আসামি হলেন ঢাকায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া আলী হাসান আসকারির (৫০) স্ত্রী মেরিনা আক্তার হেনা (৩৫)। হেনা ও জনি চুয়াডাঙ্গা শহরের সবুজপাড়ার মো. হাতেম আলীর সন্তান।</p> <p>মামলার বরাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ মোহাম্মদ ফখরুল আলম খান জানান, আসকারি চুয়াডাঙ্গার সবুজপাড়ায় বিয়ে করেছেন। তিনি মাঝেমধ্যে চুয়াডাঙ্গায় আসতেন।</p> <p>মামলার বাদী তাঁর বোনের চাকরির জন্য আত্মীয়তার সূত্রে যোগাযোগ করলে হেনা জানান, তাঁর স্বামী নবাব পরিবারের সন্তান। যেকোনো জায়গায় চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা আছে তাঁর। হেনার এ কথা সমর্থন করেন ভাই জনি। তাঁদের কথায় বিশ্বাস করে বাদী ২০১৮ সালের ২৩ মে এবং ২০১৯ সালের ১ আগস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর আসামি আসকারি, হেনা ও জনিকে ব্যাংক হিসাবে ও সরাসরি মোট ১৩ লাখ টাকা দেন।</p>