<p>নরসিংদীর রায়পুরায় সিএনসি-নসিমন সংঘর্ষে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) রায়পুরা পৌর শহরের শ্রীরামপুরে জনতা ব্যাংকের সামনে রায়পুরা-বারৈচা সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে নিহত নারীর ছয় দিনের সন্তান বেঁচে যায় দুর্ঘটনা থেকে। সে সুস্থ আছে বলে জানিয়েছে পরিবার।</p> <p>সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নারীর নাম শেফালী আক্তার মিম (১৯)। তিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের চর মেঘনা এলাকার মোস্তফা মিয়ার স্ত্রী।</p> <p>ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক আরিফ রাব্বানী। দুর্ঘটনার পর নসিমনের চালককে আটক এবং গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে।</p> <p>স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সন্তানের চিকিৎসা শেষে একটি সিএনজিতে বাসায় ফিরছেলেন শেফালী এবং তার মা ফরিদা খাতুন। সিএনজিতে শিশুটি তার নানি ফরিদার কোলে ছিল। দুর্ঘটনা কবলিত নসিমনটি রড বোঝাই থাকায় শেফালীর শরীরে রড ঢুকে যায়। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসক শেফালীকে মৃত ঘোষণা করেন।</p> <figure class="image"><img alt="২৩৫৩" height="600" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/timir/1/236458867.jpg" width="1000" /> <figcaption>হাসপাতালের সামনে নিহত শেফালীর স্বজনদের আহাজারি। ছবি : কালের কণ্ঠ</figcaption> </figure> <p>এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সিএনজির আরও দুই যাত্রী। তারা শঙ্কামুকক্ত বলে জানা গেছে। এদিকে সিএনজিতে নানি ফরিদার কোলে থাকায় ছয় দিনের শিশুটি বেঁচে যায়। তার শরীরে কোনো আঘাত লাগেনি।</p> <p>ফরিদা খাতুন কালের কণ্ঠকে বলেন, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত নাতিকে নিয়ে মা ও মেয়ে নরসিংদীতে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে শ্রীরামপুরে পৌঁছলে রডবাহী একটি নসিমন ধাক্কায় দেয়। নসিমনে থাকা রড গিয়ে বিঁধে মেয়ের শরীরে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর আমার মেয়ে মারা যায়। নাতি আমার কোলে ছিল। অলৌকিক ভাবে নাতি ও আমি বেঁচে যায়। আমার নাতি সুস্থ আছে।</p>