<p>বজ্রঝড় মানে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত থাকবে। প্রতিবছর বজ্রপাতে বাংলাদেশে অনেক মানুষ মারা যায়। বর্তমান আবহাওয়ায় বজ্রঝড় শহুরেদের জন্য স্বস্তির হলেও প্রান্তিক মানুষের জন্য তা দুশ্চিন্তার কারণ।</p> <p>বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল থেকে মে মাসে সর্বোচ্চ বজ্রপাত হয় এবং ২০২১ সালের এক হিসাব অনুযায়ী এতে প্রতিবছর গড়ে দেড় শ মানুষ মারা যান।</p> <p>তাই বজ্রপাতে মৃত্যু বা হতাহত হওয়ার ঘটনা এড়াতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।</p> <p>- বজ্রঝড় সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এ সময়টুকু ঘরে অবস্থান করা। অতি জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতে হলে রাবারের জুতা পরা। তা বজ্রঝড় বা বজ্রপাত থেকে সুরক্ষা দেয়। </p> <p>- বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা খোলামাঠে থাকলে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে নিচু হয়ে বসে পড়তে হবে।</p> <p>- বজ্রপাতের আশঙ্কা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে। ভবনের ছাদে বা উঁচু ভূমিতে যাওয়া উচিত হবে না।</p> <p>- বজ্রপাতের সময় ঘরের বাইরের যে কোনো ধরনের খেলাধুলা থেকে শিশুকে বিরত রাখতে হবে। ঘরের ভেতরে অবস্থান করতে হবে।</p> <p>- খালি জায়গায় যদি উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ধাতব পদার্থ বা মোবাইল টাওয়ার থাকে, তার কাছাকাছি থাকা যাবে না। বজ্রপাতের সময় গাছের নিচে থাকা বিপজ্জনক ।</p> <p>- বজ্রপাতের সময় ছাউনিবিহীন নৌকায় মাছ না ধরতে যাওয়া। সমুদ্রে বা নদীতে থাকলে মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে আশ্রয় নেয়া।</p> <p>- যদি কেউ গাড়ির ভেতর অবস্থান করেন, তাহলে গাড়ির ধাতব অংশের সাথে শরীরের সংযোগ না রাখা।</p> <p><em><strong>তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা</strong></em></p>