ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫
৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫
৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ মহররম ১৪৪৭
বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন

সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ পেলেন ৪৮১ জন

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
শেয়ার
সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ পেলেন ৪৮১ জন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে গতকাল সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরণ করে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন। ছবি : কালের কণ্ঠ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মিলনায়তনে বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ৭৩তম ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন এই ঋণ বিতরণ করে।

বাঞ্ছারামপুরে গতকাল মঙ্গলবার বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম নাসিমুল হাই এফসিএস। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমূন কবির, বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম এ আওয়াল, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র অফিসার আমির হোসেন আনোয়ার, জুনিয়র অফিসার শাহজাহান, মোহাম্মদ বাছির প্রমুখ।

ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এম নাসিমুল হাই এফসিএস বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ২০০৫ সালে অসহায় অসচ্ছল মানুষদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য এই প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। প্রকল্প শুরুর পর থেকে বসুন্ধরা গ্রুপ সাধারণ মানুষের কল্যাণে ধারাবাহিকভাবে এই সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরণ করছে। নদী এলাকা বাঞ্ছারামপুরের মানুষ এই ঋণ গ্রহণ করে যেভাবে বিনিয়োগ করছেন, তাতে তাঁরা বেশিদিন আর অসচ্ছল থাকবেন না। তাঁদের সচ্ছল করে তোলাই বসুন্ধরা গ্রুপের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

            

ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে ময়নাল হোসেন চৌধুরী বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরণসহ গরিব অসহায় মানুষের মাঝে ওষুধসহ বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে। গরিব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে মাসিক উপবৃত্তি প্রদান করছে। অর্থের অভাবে যাতে কোনো শিক্ষার্থী ঝরে না পড়ে এবং উচ্চশিক্ষা গ্রহণ অব্যাহত রাখতে পারে সে ব্যবস্থা করছে। গরিব মেয়েদের মাঝে প্রশিক্ষণসহ সেলাই মেশিন বিতরণ করছে।

বসুন্ধরা গ্রুপ ব্যতিক্রমী এসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যাতে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। বসুন্ধরা গ্রুপ চায় গ্রামের অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক চিত্র পাল্টে দিতে।

তিনি আরো বলেন, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত যে ঋণ প্রদান করছে তা কোনোভাবেই অবৈধ কাজে বিনিয়োগ করা যাবে না। বসুন্ধরা গ্রুপ দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। দেশের অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে ক্রান্তিকালে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।

বসুন্ধরা গ্রুপ মহামারি, বন্যাসহ প্রাকৃতিক যেকোনো দুর্যোগে দেশের বিভিন্ন এলাকার হতদরিদ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়।

গতকাল ৪৮১ জন উপকারভোগীর মাঝে ৭৮ লাখ পাঁচ হাজার টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে প্রথমবার ৫৬ জনকে ১৫ হাজার টাকা করে আট লাখ ৪০ হাজার টাকা, দ্বিতীয়বারে মতো ৩০৭ জনকে ১৫ হাজার টাকা করে ৪৬ লাখ পাঁচ হাজার এবং তৃতীয়বারের মতো ১১৮ জনকে ২০ হাজার টাকা করে ২৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়। এই ঋণ শুধু মহিলাদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে, যা দিয়ে তাঁরা হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল, শাক-সবজি চাষসহ ৩২ ধরনের কাজে বিনিয়োগ করে উপকার পাচ্ছেন। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের তত্ত্বাবধানে ২০০৫ সাল থেকে নিয়মিত এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে। শুরুতে এই ঋণের পরিধি বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে তা পাশের উপজেলা হোমনা ও নবীনগরে প্রসারিত হয়েছে।

মিরপুর গ্রামের রোহেলা বেগম (৩০) বলেন, আমার স্বামী নেই। বসুন্ধরার টেহা দিয়া হাঁস-মুরগি পাইলা অনেক লাভবান হইছি। এখন খাওয়াদাওয়ার কোনো সমস্যা নাই। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, বসুন্ধরার মালিকরা যেন ভালা থাকেন।

খোষকান্দি গ্রামের জুলেখা খাতুন (৩৭) বলেন, প্রথমে টেহা নিয়া সেলাই মেশিন কিনছি। মানুষের কাপড় সেলাই করছি, লগে কাপড়ও বিক্রি করছি। এরপর গরু কিনছি। এরপর সব টেহা মিলাইয়া বড় ছেলেডারে বিদেশ পাডাইছি। আল্লাহর রহমতে এখন ছেলেমেয়ে নিয়া অনেক ভালা আছি। বসুন্ধরা টেহা দেওনে এই সকল কাজের জোর পাইছি। আল্লাহর কাছে বসুন্ধরার হগলের লাগি অন্তর থেইক্যা দোয়া করি। আল্লাহ যেন তারার ব্যবসা ও সব মানুষরে ভালা রাহে।

মানিকপুর গ্রামের নার্গিস আক্তার (২৮) বলেন, ঋণ নিয়া সেলাই মেশিন কিন্যা এবং হাঁস-মুরগি লালন-পালন কইরা অনেক লাভবান হইছি। প্রথমে তো ঠিকমতো খাবার পাইতাম না। এখন আল্লাহর রহমতে খাবারের চিন্তা নাই। বসুন্ধরার সবাইরে আল্লাহ সুখে-শান্তিতে রাখুক।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা

সরকারি চাকরিতে জুলাই যোদ্ধাদের কোটা থাকছে না

বিশেষ প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি
শেয়ার
সরকারি চাকরিতে জুলাই যোদ্ধাদের কোটা থাকছে না

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও আহতদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান।

জুলাই যোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারকে সরকারিভাবে ফ্ল্যাট দেওয়া এবং সরকারি চাকরিতে তাদের জন্য কোটা রাখা হচ্ছে কি নাএমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাঁদের পুনর্বাসনের কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুসারে মন্ত্রণালয় যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

এই কার্যক্রমের মধ্যে ফ্ল্যাট দেওয়া কিংবা চাকরিতে কোটা দেওয়া এসব বিষয় নেই। পুনর্বাসন কর্মসূচি আছে।

তিনি আরো বলেন, পুনর্বাসন নানাভাবে হতে পারে। তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যোগ্যতা অনুযায়ী তিনি যেভাবে পুনর্বাসিত হতে চান সেভাবে করা হবে।

আত্মকর্মসংস্থানের জন্য হাঁস-মুরগি কিংবা পশু পালন, মৎস্য পালন যেভাবে তিনি জীবিকার সংস্থান করতে চাইবেন সে ধরনের সুবিধা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।

জুলাই যোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সমকক্ষ করা হচ্ছে কি নাএমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওইভাবে (সমকক্ষ) কেউ দেখছে না। আমরাও দেখছি না। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা পেতে ৩০ থেকে ৩৫ বছর লেগেছে।

অনেক মুক্তিযোদ্ধা ভাতাই পাননি, তালিকাই হয়নি। অথচ ২০০৫ সালেই শহীদদের তালিকা হয়েছে। এগুলো সব রেকর্ডেড। তাহলে এত বছর ধরে হলো না কেন? আমি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রসঙ্গ এখানে আনতে চাচ্ছি না।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চূড়ান্তকরণ, আহতদের চিকিৎসা ব্যয় এবং তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাসহ পুনর্বাসন করার উদ্দেশ্যে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ২৮ এপ্রিল জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করা হয়।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের জুলাই শহীদ এবং আহতদের জুলাই যোদ্ধা হিসেবে সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর মাধ্যমে স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী মোট ৮৪৪ জন শহীদের তালিকা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় গেজেট আকারে প্রকাশ করে।

আহত হওয়ার ধরন অনুসারে জুলাই যোদ্ধাদের তিনটি শ্রেণিভুক্ত করে ৪৯৩ জনকে শ্রেণিতে, ৯০৮ জনকে শ্রেণিতে এবং এক হাজার ৬৪২ জনকে শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। সম্প্র্রতি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে শ্রেণির ১১৪ জন, শ্রেণির ২১৩ জন এবং শ্রেণির এক হাজার ৪৪২ জন, মোট এক হাজার ৭৬৯ জনের তালিকা পাওয়া গেছে, যা যাচাই-বাছাই শেষে শিগগিরই গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

মন্তব্য
ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ

একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান না থাকার প্রস্তাবে বিএনপির আপত্তি

    বিমান দুর্ঘটনার খবরে সংলাপ মুলতবি, আজ আবার বসবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান না থাকার প্রস্তাবে বিএনপির আপত্তি

একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা থাকার প্রশ্নে একমত হলেও প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান একই ব্যক্তি থাকার প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। তবে গুরুত্বপূর্ণ ওই তিনটি পদে একই ব্যক্তির থাকার বিষয়ে বিধি-নিষেধ আরোপে সম্মত নয় বিএনপি।

এই ইস্যুতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আর সংবিধানের মূলনীতি নিয়ে আলোচনাকালে কমিশনের প্রস্তাবে বিএনপি সমর্থন জানালেও ঘোরতর আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ (সিপিবি) বাম প্রগতিশীল দলগুলো।

তারা সংবিধানের চার মূলনীতি বহাল রেখেই নতুন প্রস্তাব যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার সংলাপের ১৬তম দিনে এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়। দুপুরের খাবার বিরতির পর বিমান দুর্ঘটনার খবর পৌঁছলে শোক প্রস্তাব গ্রহণের পর সংলাপ মুলতবি করা হয়।

ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংলাপে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া।

সংলাপে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সংলাপের সূচনা বক্তব্যে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত। আমি, আপনি ও আমরা সবাই যে জায়গায় উপনীত হয়েছি, তার সাফল্য ও ব্যর্থতা সবকিছুর ঊর্ধ্বে হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। একটা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলাম আমরা।

এ জন্য লাখ লাখ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। শুধু এক দিনের সংগ্রামে সেটা হয়নি। একটি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে কেবল সেটা হয়নি। দীর্ঘদিনের সংগ্রামের মাধ্যমে সেই জায়গায় এসেছি।

আলী রীয়াজ বলেন, ৫৩ বছর ধরে আমরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি।

চেষ্টা করেছি একটি গণতান্ত্রিক জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায়। সব ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে সবাই মিলে, মতপার্থক্য ভুলে একটা সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এই জায়গায় এসেছি। এই পটভূমিতে আজ জাতীয় সনদের প্রশ্ন। মুক্তিযুদ্ধ, ৫৩ বছরের সংগ্রাম এবং গত বছরে অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থান, রক্তপাত ও প্রাণনাশ, সেগুলো আপনারা মনে রাখুন। সেই বিবেচনাগুলো সামনে রেখে আমাদের অগ্রসর হতে হবে।

সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত সংবিধানের চার মূলনীতি বাতিল করে সংস্কার কমিশন নতুন প্রস্তাব করেছিল, আমরা আপত্তি জানিয়েছিলাম। আবার নতুন করে প্রস্তাব এনেছেন, যার মধ্যে চার মূলনীতি নাকচ করা হয়েছে। তাই আমরা আপত্তি জানিয়েছি। এ ক্ষেত্রে সমাধান হিসেবে বলেছি, প্রস্তাবটি হতে পারে, সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির সঙ্গে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি উল্লেখিত হবে। অন্যথায় এটা গ্রহণ করা যাবে না। সিপিবি ক্ষমতায় গেলে একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান থাকবেন না বলে জানান তিনি।

এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তাঁর দল মনে করে, দলীয় প্রধানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি উন্মুক্ত থাকা দরকার। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া কোনো দলের সংসদীয় কমিটি যদি মনে করে যে তারা দলীয় প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে, তাহলে গণতান্ত্রিক এ প্রক্রিয়ার সুযোগ বন্ধ করা ঠিক হবে না। প্রধানমন্ত্রী এবং তার সঙ্গে সংসদ নেতার ভূমিকাটা প্রায় অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, এই দুই ক্ষেত্রে একত্রে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সংসদ নেতা থাকতে কোনো অসুবিধা নেই।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, গণতন্ত্রে কোনো ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হলে তাঁকে অপশন হিসেবে রাজনৈতিক দলের প্রধানের পদটা ছাড়তে হবে, এ রকম কোনো চর্চা সাধারণত দেখা যায় না। এটা (দলীয় পদ) তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার।

সংলাপ শেষে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এক ব্যক্তি যাতে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন সে বিষয়ে সংবিধানে নীতি প্রণয়ন করার প্রস্তাবকে আমরা সমর্থন জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান একই ব্যক্তি হলে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দলীয়করণ কিভাবে রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তা আমরা অতীতে বহুবার দেখেছি।

তিনি বলেন, বিএনপি উপস্থাপিত ৩১ দফার চতুর্থ পয়েন্টে আইনসভা, মন্ত্রিসভা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার যে অঙ্গীকার করা হয়েছে, তার সঙ্গে এই প্রস্তাব সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।

বিমান দুর্ঘটনায় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ মুলতবি : রাজধানীর উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনের পরবর্তী অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ শোকবার্তা পাঠ করেন। এরপর নিহত সদস্যের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। কমিশনের পক্ষ থেকে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয় এবং তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়। কমিশনের সভায় উপস্থিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেন।

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় আবারও এই সংলাপ বসবে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

আদালতের নির্দেশে গোপালগঞ্জে তিনজনের মরদেহ উত্তোলন

    নিরীহরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় : বিএনপি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
আদালতের নির্দেশে গোপালগঞ্জে তিনজনের মরদেহ উত্তোলন

আদালতের নির্দেশে গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে গোপালগঞ্জ পৌর কবরস্থান থেকে ইমন তালুকদার ও রমজান কাজীর লাশ এবং টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী থেকে সোহেল কাজীর লাশ উত্তোলন করা হয়।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, নিহতের ঘটনায় মামলার বাদীরা গত রবিবার আদালতে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলনের আবেদন করলে আদালত লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন। পরবর্তী সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সী ও রন্টি পোদ্দারের উপস্থিতিতে নিহত রমজান কাজী, ইমন তালুকদারের লাশ গোপালগঞ্জের গেটপাড়া পৌর কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়।

এদিকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মারুফ দস্তগির সোহেল রানা মোল্লার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করে। পরে তিনটি লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ আড়াই শ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এ ছাড়া অন্য দুজনের মধ্যে দীপ্ত সাহার মরদেহ সৎকার ও রমজান মুন্সীর মরদেহের ময়নাতদন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করা হয়।

গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবান : গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাকর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় কোনো নিরীহ শান্তিপ্রিয় নাগরিক যাতে হয়রানি না হয়, সেদিকে প্রশাসনের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে জেলা বিএনপি।

গতকাল সোমবার সকাল পৌনে ১১টায় শহরের বড়বাজার পৌর মার্কেটে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, গত বুধবার গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা বা থানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপি তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। আগামীতে যেকোনো নিবন্ধিত বৈধ রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ ও মিটিং-মিছিলে যাতে কোনো অপশক্তি কোনো প্রকার আক্রমণ বা বাধার সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য জেলা প্রশাসকসহ সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সজাগ দৃষ্টি রাখার অনুরোধ রইল।

তিনি বলেন, ঘটনার দিন সমাবেশ শুরুর আগে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত অঙ্গসহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এনসিপির সমাবেশ পণ্ড করতে সকাল থেকে গোপালগঞ্জ শহরে আসার সব সড়কের পাশে থাকা গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে। সেই সঙ্গে কর্তব্যরত সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের মারপিট, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে জনমনে ভীতির সৃষ্টি করে। এ ছাড়া সরকারি স্থাপনায় হামলা, ও ভাঙচুর করে এবং গোপালগঞ্জ জেলা সদরে থাকা বিএনপি নেতাদের বেশ কয়েকটি তোরণ ভাঙচুর করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট কাজী আবুল খায়ের, বিএনপি নেতা ডা. কে এম বাবর, অ্যাডভোকেট তৌফিকুল ইসলামসহ বিএনপি ও সহযোয়ী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

উত্তরার হাসপাতালগুলোতে ছুটছিলেন অভিভাবকরা

    রক্ত দিতে আগ্রহীদের ভিড়ও ছিল
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
উত্তরার হাসপাতালগুলোতে ছুটছিলেন অভিভাবকরা

অনাথ নাতনিকে খুঁজতে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটছিলেন ৬৫ বছর বয়সী দাদা হারুন। তাঁর নাতনি শারমিন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। শারমিনের মা-বাবা ছোটবেলায় মারা যান। তার পর থেকে নাতনিকে নিজের কাছে রেখে স্নেহ-মায়ায় বড় করছিলেন হারুন।

কিন্তু হঠাৎ করে সেই মায়ায় যেন ছেদ পড়েছে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বেলা ১টা ৬ মিনিটে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলের একটি ভবনে আছড়ে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এতে স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী হতাহত হয়। তাদের অনেকেই ওই আগুনে পুড়ে যায়।
আহতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে উত্তরার বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে আশঙ্কাজনক রোগীদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

সন্তানদের খোঁজে অভিভাবকরা উত্তরার বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটে যান। মোবাইলে ছবি নিয়ে সন্তানের খোঁজ করছিলেন তাঁরা।

তাঁদেরই একজন গাজীপুরের বাসিন্দা হারুন। উত্তরার কয়েকটি হাসপাতালে নাতনিকে খুঁজে না পেয়ে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে এসে স্তব্ধ হয়ে যান। এক পর্যায়ে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে কাঁদতে শুরু করেন। অস্পষ্ট সুরে বলতে থাকেন, আমার নাতনিটা এতিম, তার কষ্টের শেষ নেই। তার সঙ্গেই কেন এ রকম হলো।
নাতনিকে ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায় তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নেন। পকেটে টাকা কম থাকায় সহায়তা চান আশপাশের লোকজনের কাছে। শুধু হারুন নন, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে মাইলস্টোন স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ভাতিজা রিজভীকে খুঁজতে প্রতিটি তলায় দৌড়াচ্ছিলেন এক যুবক। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ভাতিজা স্কুলে গিয়েছিল আজ। দুর্ঘটনার কথা শুনে আমরা সবাই স্কুলে গিয়ে দেখি, বাচ্চাদের সবাইকে নাকি হাসপাতালে নিয়ে গেছে। কিন্তু কোন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে সেটা কেউ নিশ্চিত বলতে পারছে না। আমরা দুপুর দেড়টা থেকে হাসপাতালগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমরা চাই অন্তত আমাদের রিজভী বেঁচে থাকুক। বোন সায়মাকে খুঁজতে হাসপাতালে এসেছিলেন আরো দুই বোন পারভীন ও মুক্তি। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নিধিকে খুঁজতে এসে বাকরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছিলেন বাবা মো. ফারুক।

এদিকে শিক্ষার্থী জাহেরাকে স্কুল থেকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন মা লামিয়া আক্তার। সামান্য আহত অবস্থায় জাহেরাকে পাওয়া গেলেও মায়ের খোঁজে হাসপাতালগুলোতে যাচ্ছেন স্বজনরা। হাসপাতালের প্রত্যক্ষদর্শী স্টাফরা জানান, গুরুতর দগ্ধ হওয়া রোগীদের দৃশ্য দেখার মতো না। তাঁরা জানান, আহতদের সবাই আগুনে পোড়া। কারো কারো শরীরের চামড়া একেবারে পুড়ে গেছে। মাইলস্টোন স্কুলের কোনো কোনো শিক্ষার্থী এতটাই গভীরভাবে পুড়েছে যে শরীরের মাংস খসে পড়ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা ও স্যালাইন দিয়ে তাদের প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।

এদিকে উত্তরার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে রোগীদের নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের দিকে একের পর এক অ্যাম্বুল্যান্স ছুটছিল। রোগী পৌঁছে দিয়ে ফেরত আসা এক অ্যাম্বুল্যান্সচালক জাহাঙ্গীর জানান, তিনি তিনজন রোগী নিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে যান, পথে একজন মারা গেছে। বিকেল ৪টার দিকে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক এস এম রাকিবুল ইসলাম বলেন, দুপুরের পর থেকে এই হাসপাতালে ১৬০ জন চিকিৎসা নিয়েছে, যাদের মধ্যে ৪০ থেকে ৪৫ জনের অবস্থা ছিল গুরুতর। সবার শরীর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। এখন ২৩ জন উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি আছে। তবে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল। 

হাসপাতালগুলোতে রক্তদাতার ভিড় :  রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন হাসপাতালে আগত রোগীদের রক্ত দিতে ভিড় জমান কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। তাঁরা নিজেদের রক্তের গ্রুপ ও ফোন নম্বর কাগজে লিখে হাত উঁচিয়ে রাখেন। আবার কোনো কোনো স্বেচ্ছাসেবক আগত ডোনারদের কাছ থেকে তাঁদের ফোন নম্বর ও রক্তের গ্রুপ লিখে তালিকা করে রাখছিলেন জরুরি প্রয়োজনের জন্য। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছার জন্য সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। তবে রক্তদাতার সংখ্যা বেশি হওয়ায় স্বেচ্ছাসেবকরা হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা করছিলেন, রক্ত দিতে আগ্রহীরা যেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। পরে অনেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং এর কাছের বার্ন ইনস্টিটিউটে যান।

উত্তরার আধুনিক হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি আহতদের নিয়ে আসা হয়েছিল।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ