<p>বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কার্গো শাখার ১১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের এক মামলায় বিমানের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই দুজন হলেন বিমানের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী আহসান ও সাবেক ব্যবস্থাপক ইফতেখার হোসেন চৌধুরী। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার কাকরাইল এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া একই দিন সওজের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ফিরোজ ইকবালের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।</p> <p>এর আগে গতকাল সকালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার‌্যালয় ঢাকা-১-এ সংস্থার উপপরিচালক নাসির উদ্দিন গ্রেপ্তার হওয়া দুজনসহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘আসামিরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কার্গো শাখায় দায়িত্ব পালনকালে পারস্পরিক যোগসাজশে অবৈধ সুবিধা নিয়ে কার্গো ও মেইল হ্যান্ডলিং চার্জের ১১৮ কোটি চার লাখ ১৭ হাজার ৪৮ টাকা আদায় না করে সরকারের আর্থিক</p> <p>ক্ষতি করেছেন।’ ২০১২ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ওই অর্থ আত্মসাতের ঘটনাগুলো ঘটেছে। ওই অপরাধে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪১৮/১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিমানের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (কার্গো) মো. আরিফ উল্লাহ, সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মো. ফজলুল হক, সাবেক ব্যবস্থাপক এ কে এম মঞ্জুরুল হক (আমদানি), কান্ট্রি ম্যানেজার (সৌদি আরব) মো. শহিদুল ইসলাম, রিজিওনাল ম্যানেজার (রিয়াদ) আমিনুল হক ভূঁইয়া, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মো. লুতফে জামাল, মো. শাহজাহান, মোশাররফ হোসেন তালুকদার, রাজীব হাসান, নাসির উদ্দিন তালুকদার, অনুপ কুমার বড়ুয়া, কে এন আলম, সৈয়দ আহমেদ পাটোওয়ারী ও মনির আহমেদ মজুমদার।</p> <p>অন্যদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থপাচার ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ফিরোজ ইকবালের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করেছেন দুদক উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ। বিভিন্ন ব্যাংকে ফিরোজের নামে এক কোটি ৫৭ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে বলে জানায় দুদক। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ৬৪ লাখ ৬৭ হাজার ৩৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।</p>