<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইসলামের প্রথম যুগে সাহাবায়ে কিরাম সরাসরি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সান্নিধ্যে থেকে দ্বিন শিখেছেন। ক্ষুদ্র পরিসরে মদিনায় </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুফফা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেলেও বেশির ভাগ সাহাবি নবী (সা.)-এর সোহবতে ইলমে দ্বিন শিখেছেন। দূর-দূরান্তে বসবাসকারী সাহাবায়ে কিরামের ইলমে দ্বিন অর্জনের একটি পদ্ধতি ছিল</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাঁরা কিছুদিন মদিনায় অবস্থান করে দ্বিন শিখতেন এবং পরে ফিরে গিয়ে নিজ গোত্রের কাছে তা প্রচার করতেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মালিক (রা.) বলেন, আমরা সমবয়সী একদল যুবক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে হাজির হলাম। ২০ দিন ও ২০ রাত আমরা তাঁর কাছে অবস্থান করলাম। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অত্যন্ত দয়ালু ও নম্র স্বভাবের লোক ছিলেন। তিনি যখন বুঝতে পারলেন যে আমরা আমাদের পরিজনের কাছে ফিরে যেতে চাই বা ফিরে যাওয়ার জন্য উত্সুক হয়ে পড়েছি, তখন তিনি আমাদের জিজ্ঞেস করলেন, আমরা আমাদের পেছনে কাদের রেখে এসেছি। (অর্থাৎ পরিবার-পরিজনের বিষয়ে তিনি জানতে চাইলেন) আমরা তাঁকে জানালাম। অতঃপর তিনি বলেন, তোমরা তোমাদের পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে যাও এবং তাদের মধ্যে বসবাস করো। আর তাদের (দ্বিন) শিক্ষা দাও। আর (সৎ কাজের) নির্দেশ দাও। (বর্ণনাকারী বলেন) মালিক (রা.) আরো কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেছিলেন, যা আমার মনে আছে বা মনে নেই। অতঃপর নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন, তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখেছ সেভাবে সালাত আদায় করবে। সালাতের সময় উপস্থিত হলে তোমাদের একজন যেন আজান দেয় এবং যে ব্যক্তি বয়সে বড় সে যেন ইমামতি করে। (বুখারি, হাদিস : ৬৩১)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষা : আলোচ্য হাদিস থেকে জানা যায়</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উল্লিখিত সাহাবিরা ২০ দিন নবীজির দরবারে রাত-দিন অবস্থান করে ইলম শিখেছেন। তাই ইলমে দ্বিন অর্জনের ক্ষেত্রে প্রাজ্ঞ আলেমের সোহবত জরুরি। আর এটাই দ্বিন শেখার পদ্ধতি। ওই যুগে নিয়মতান্ত্রিক কোনো মাদরাসা ছিল না। কলেজ-ভার্সিটি ছিল না। এমনকি কোনো কিতাবও ছিল না। তাই দ্বিন শিখার একটাই পদ্ধতি ছিল। আর তা হলো, যে ব্যক্তি দ্বিন শিখতে চাইতেন, সরাসরি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সোহবতে চলে আসতেন। এখানে এসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখতেন, তিনি কিভাবে জীবন যাপন করেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর কর্মসূচি কী? লোকজনের সঙ্গে তিনি কেমন আচরণ করেন? ঘরোয়া জীবন তিনি কিভাবে কাটান?</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অর্থাৎ সাহাবায়ে কিরাম মুখ থেকে মুখে, অন্তর থেকে অন্তরে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি দেখা থেকে শেখার প্রতিও বিশেষ দৃষ্টি রাখতেন।সুতরাং দ্বিনের গভীর ও সঠিক জ্ঞান আহরণে বিজ্ঞ আলেমের সান্নিধ্যের কোনো বিকল্প নেই।</span></span></span></span></p>