সঙ্গীরা সফরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। হজের সফরে এই অংশটি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আমি যখন হজের ইচ্ছা প্রকাশ করেছি, তখন আমার স্ত্রীও হজের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাঁর আগ্রহ শুধু মুখেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং নিজের অলংকার বিক্রি করে অর্থের ব্যবস্থাও করেছিলেন।
বিজ্ঞাপন
হজের সফর অত্যন্ত স্পর্শকাতর। অনেক গভীর বন্ধুত্ব, এমনকি আজীবনের বন্ধুত্ব হজের সফরে ভেঙে যেতে দেখেছি। এক ভাই অপর ভাই থেকে, বাবার কাছ থেকে ছেলে, পীরের কাছ থেকে মুরিদ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে জনশ্রুতি আছে। এই ভয়ের কারণে আমি প্রথম থেকেই খুব সতর্ক ছিলাম, যেন কাফেলা বড় হয়ে না যায়। আর যারা সঙ্গী হবে যথাসম্ভব প্রত্যেকের ব্যবস্থাপনা পৃথক হবে। ভবিষ্যতে যাঁরা হজ করার ইচ্ছা রাখেন, তাঁদের প্রতি আমার বিনীত নিবেদন হলো, কোনো বন্ধু বা আপনজনের অসাধারণ ধৈর্য, আত্মবিসর্জনের মানসিকতা ও আনুগত্যের ব্যাপারে পুরোপুরি আশ্বস্ত হওয়ার পরই তাঁকে কাফেলায় অন্তর্ভুক্ত করবেন। নতুবা কখনোই তাঁদের সঙ্গে নেবেন না। আর খাবার ও আবাসন ব্যবস্থা পৃথক হওয়াও আবশ্যক।
সফরে হিজাজ থেকে আতাউর রহমান খসরুর ভাষান্তর