<p>ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরই এর প্রথম ধাক্কা আসে শেয়ারবাজারে। দরপতন শুরু হয় ওয়াল স্ট্রিটসহ বিশ্বের শেয়ারবাজারগুলোতে। বিশেষ করে টানা দরপতনে বড় অঙ্কের পুঁজি হারায় এশিয়ার শেয়ারবাজারগুলো। এবার সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পই আশার সঞ্চার করেছেন বাজারে। হোয়াউট হাউসে তাঁর প্রথম ১০০ দিনের কার্যক্রম ঘোষণার পরই রেকর্ড দিন পার করেছে ওয়াল স্ট্রিট। গত মঙ্গলবার আবারও রেকর্ড গড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজার। এরপরই চাঙ্গা হয়ে ওঠে এশিয়ার শেয়ারবাজার।</p> <p>গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো দাও জোন্সের সূচক ১৯ হাজারের ওপরে উঠেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের প্রবৃদ্ধি জোরালো করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। এতে সাময়িক হলেও বিনিয়োগকারীরা অর্থনীতি নিয়ে কিছুটা আশান্বিত হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা আশা করছে ট্রাম্প করপোরেট কর কমাবে, অবকাঠামো বিনিয়োগ বাড়াবে এবং বাণিজ্যিক নিয়ন্ত্রণও কমিয়ে আনবে। এর সব কিছুই দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়াবে। যা ফেডারেল রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়াবে সুদের হার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে।</p> <p>মেলবোর্নে আইজি লিমিটেডের প্রধান বাজার বিশ্লেষক ক্রিস ওয়েস্টন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে সাময়িক কিছু আশা তৈরি হয়েছে। ফলে আগামী কিছুদিন যুক্তরাষ্ট্র ও উন্নত দেশগুলোর শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখীভাব লক্ষ করা যাবে।</p> <p>গতকাল হংকংয়ের হ্যাংগ সেংগ সূচক বাড়ে ০.৫ শতাংশ, সিডনি সূচক বাড়ে ০.৯ শতাংশ, সাংহাই শেয়ারবাজারে সূচক বাড়ে ০.৪ শতাংশ এবং সিঙ্গাপুর শেয়ারবাজারে সূচক বাড়ে ০.৩ শতাংশ। একইভাবে ঊর্ধ্বমুখী ছিল সিঙ্গাপুর, তাইপে এবং ওয়েলিংটন শেয়ারবাজারও। সরকারি ছুটির কারণে টোকিও শেয়ারবাজার বন্ধ ছিল। সুদের হার বাড়বে এমন প্রত্যাশা থেকে গতকাল ইয়েনের বিপরীতে বেড়েছে ডলারের দাম। গত মঙ্গলবার ডলারের দাম বেড়ে সাত মাসে সর্বোচ্চ হয়েছিল। এদিন ডলারের দাম হয় ১১১.৩৬ ইয়েন।</p> <p>আমেরিকার নির্বাচনে ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পর এর প্রভাবে গত এক সপ্তাহের বেশি সময়ে এশিয়ার বাজার থেকে বেরিয়ে গেছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। ট্রাম্পের জয়ের পর থেকে বৈশ্বিক তহবিলগুলো এশিয়ার উদীয়মান বাজার থেকে প্রায় এক হাজার ১০০ কোটি ডলার সমমূল্যের ইক্যুইটি ও বন্ড বিক্রি করেছে। রয়টার্স, এএফপি, ব্লুমবার্গ।</p>