<p>গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। ফলে শহরটি ছেড়ে ইতিমধ্যেই পালিয়ে গেছে এক লাখের বেশি মানুষ। এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডাব্লিউএ)। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে তারা এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এ ছাড়া রাফার বিভিন্ন অংশে ক্রমাগত বোমাবর্ষণের মধ্যে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো শহরের কাছাকাছি এসে জড়ো হচ্ছে বলে জানা গেছে।</p> <p>রাফাহতে জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘অনেক ভয় এবং আতঙ্ক বিরাজ করছে সেখানে। মানুষ গাড়ি, গাধার গাড়ি, ট্রলি, পিকআপ ট্রাক এবং পায়ে হেঁটে পালিয়ে যাচ্ছে। ফলে রাস্তায় দেখা দিয়েছে যানজটে। কেউ কেউ ইতিমধ্যে একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং অনেক জিনিস নিয়ে তাদের আশ্রয়ের সন্ধানে বের হয়েছে, যা সহজ নয়।’</p> <p>পরিবারগুলোর অসহনীয় ক্ষতি সম্পর্কে সতর্ক করে ইউএনআরডাব্লিউএ এক্স-এ জানায়, ৬ মে ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক অভিযান জোরদার হওয়ার পর থেকে, অন্যত্র আশ্রয়ের খোঁজে রাফাহ থেকে পালিয়েছে ১ লাখের বেশি মানুষ। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী অভিযান পরিচালনার জন্য সেখানকার (দক্ষিণ রাফা) বাসিন্দাদের ‘অবিলম্বে সরে যাওয়ার’ নির্দেশ দেয়। এরপর সোমবার থেকে গাজাবাসী পূর্ব রাফা ছাড়তে শুরু করে।</p> <p>ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএর যোগাযোগ কর্মকর্তা লুইস ওয়াটারিজ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাফায় ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, যা ওই এলাকায় গত দুই সপ্তাহে চালানো হামলার সমান। টানা চতুর্থ দিনের মতো গতকালও বন্ধ ছিল গাজার ইসরায়েল সীমান্তবর্তী কারেম সালেম ক্রসিং। জর্দানের পাঠানো ত্রাণবহর আটকে দিয়েছে ইসরায়েলি বিক্ষোভকারীরা। রাফা ও কারেম সালেম ক্রসিং বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাজায় বাইরে থেকে সব ধরনের ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>