ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

কামরুল হাসান

  • [অষ্টম শ্রেণির চারু ও কারুকলা বইয়ের তৃতীয় অধ্যায়ে কামরুল হাসানের উল্লেখ আছে]
শেয়ার
কামরুল হাসান
নিজের আঁকা চিত্রকর্মের পাশে শিল্পী কামরুল হাসান

কামরুল হাসান একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী। সবাই তাঁকে শিল্পী বললেও তিনি নিজে ‘পটুয়া’ নামে পরিচিত হতে পছন্দ করতেন। তাঁর প্রকৃত নাম আবু শরাফ মোহাম্মদ কামরুল হাসান। স্বাধীনতাযুদ্ধকালে জেনারেল ইয়াহিয়ার মুখের ছবি দিয়ে আঁকা ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ পোস্টারটি খুব বিখ্যাত হয়।


কামরুল হাসান ১৯২১ সালের ২ ডিসেম্বর বাবার কর্মস্থল কলকাতায় তিনজিলা গোরস্থান রোডে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার নারেঙ্গা গ্রামে। বাবা মোহাম্মদ হাশিম ছিলেন তিনজিলা গোরস্থানের সুপারিনটেনডেন্ট।
কামরুল হাসানের শিক্ষাজীবন কাটে কলকাতায়।
তিনি কলকাতা মাদরাসায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৩৮ সালে কলকাতার গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টসে ভর্তি হন এবং ১৯৪৭ সালে চিত্রকলায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
দেশ বিভাগের পর কামরুল হাসান ঢাকায় চলে আসেন এবং শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সঙ্গে মিলিত হয়ে ১৯৪৮ সালে ঢাকায় একটি আর্ট স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬০ সালে তিনি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের নকশাকেন্দ্রের প্রধান নকশাবিদ নিযুক্ত হন এবং ১৯৭৮ সালে ওই পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

কামরুল হাসানের চিত্রকলার প্রধান উপাদান নর-নারী, পশুপাখি (প্রধানত গরু ও শৃগাল), সাপ ও প্রকৃতি। এসবের মধ্য দিয়ে তিনি আবহমান বাংলার গ্রামীণ সমাজের সামগ্রিক রূপ, বাংলার নিসর্গ, স্বৈরশাসকদের অত্যাচার, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার চিত্র চমৎকারভাবে তুলে ধরেন। তাঁর অঙ্কিত চিত্রকলা ষাটের দশকে বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের আন্দোলনে, সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে জনসাধারণকে দারুণভাবে উজ্জীবিত করেছে।
চিত্রকলায় অসাধারণ অবদানের জন্য কামরুল হাসান বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হন। সেসবের মধ্যে প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৫), কুমিল্লা ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদক (১৯৭৭), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৭৯), চারুশিল্পী সংসদ সম্মান (১৯৮৪), বাংলা একাডেমির ফেলো (১৯৮৫) উল্লেখযোগ্য।
তাঁর ‘তিনকন্যা’ ও ‘নাইওর’ চিত্রকর্ম অবলম্বনে যথাক্রমে যুগোস্লাভিয়া সরকার (১৯৮৫) ও বাংলাদেশ সরকার (১৯৮৬) দুটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে।
কামরুল হাসান ১৯৮৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় কবিতা পরিষদের উৎসবের সমাপনী দিনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে তিনি ‘দেশ আজ বিশ্ববেহায়ার খপ্পরে’ শিরোনামের স্বৈরাচারবিরোধী রেখাচিত্র আঁকার পর আকস্মিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৬৭ বছর বয়সে মারা যান।
ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল
[আরো জানতে বাংলাপিডিয়া ও পত্রপত্রিকায় কামরুল হাসান সম্পর্কিত লেখাগুলো পড়তে পারো।]

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এইচএসসি স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি

শেয়ার

অষ্টম শ্রেণি : বিজ্ঞান

    সাধন সরকার, সহকারী শিক্ষক, লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
অষ্টম শ্রেণি : বিজ্ঞান

অষ্টম অধ্যায় : রাসায়নিক বিক্রিয়া

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১।        রাসায়নিক বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক বস্তু নতুন এক বা একাধিক বস্তুতে পরিণত হয় তাকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে।

২।        সংযোজন বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একাধিক মৌল বা যৌগ মিলে নতুন এক বা একাধিক যৌগ গঠন করে তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে।

৩।        তুঁতের সংকেত কী?

  উত্তর : তুঁতের সংকেত CuSO4.5H2O।

 

 

৪।        পটাসিয়াম ক্লোরেটের বিযোজনে উৎপন্ন গ্যাসের নাম কী?

  উত্তর : পটাসিয়াম ক্লোরেটের বিযোজনে উৎপন্ন গ্যাসটি হলো অক্সিজেন।

৫।        প্রশমন বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে বিক্রিয়ায় এসিড ও ক্ষার বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে।

৬।        তুঁতে কী?

  উত্তর : পাঁচ অণু পানিযুক্ত কপার সালফেট লবণকে তুঁতে বলে।

৭।        দহন বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো মৌল বা যৌগ অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে তাপ উৎপন্ন করে, তা-ই দহন বিক্রিয়া।

৮।        বিযোজন কী?

  উত্তর : যে বিক্রিয়ায় কোনো যৌগ ভেঙে একাধিক নতুন পদার্থ তৈরি হয়, সেই বিক্রিয়াকে বিযোজন বিক্রিয়া বলে।

৯।

       হাইড্রোজোয়িক এসিডের রাসায়নিক সংকেত কোনটি?

    উত্তর : হাইড্রোজোয়িক এসিডের রাসায়নিক সংকেত HN3।

 

মন্তব্য

পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

    অনামিকা মণ্ডল, সহকারী শিক্ষক, পাজরাপাড়া, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাজিরপুর, পিরোজপুর
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

অষ্টম অধ্যায় : নারী-পুরুষ সমতা

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১। নারী নির্যাতন দমনে কত সালে নারী উন্নয়ন নীতি প্রবর্তন করা হয়েছে?

  উত্তর : নারী নির্যাতন দমনে ২০১২ সালে নারী উন্নয়ন নীতি প্রবর্তন করা হয়েছে।

২।        যৌতুক কী?

  উত্তর : বিয়ের সময় কিংবা বিয়ের আগে বা পরে বরপক্ষ অন্যায়ভাবে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে কনেপক্ষের কাছ থেকে যে অর্থসম্পদ আদায় করে নেয় তাকে যৌতুক বলে।

৩।        তুমি বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে দেখতে পেলে তোমার বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে রাস্তায় উচ্ছৃঙ্খল ছেলেরা বিরক্ত করছে। তুমি কী করবে?

  উত্তর : আমি নির্যাতন বন্ধের জন্য আশপাশের মানুষের সাহায্য নেব।

৪।

       ন্যায্য মজুরির দাবিতে কোথায় নারী শ্রমিকরা প্রথম রাজপথে নেমে আসে?

  উত্তর : ন্যায্য মজুরির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের একটি সেলাইয়ের কারখানায় নারীরা প্রথম রাজপথে নেমে আসে।

৫।        মায়েরা নির্যাতনের শিকার হলে শিশুদের কী সমস্যা হতে পারে?

  উত্তর : যেসব পরিবারে মায়েরা নির্যাতনের শিকার হয়, সেই পরিবারে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।

৬।

       কিসের জন্য নারী নির্যাতন ক্ষতিকর?

  উত্তর : সমাজের জন্য নারী নির্যাতন ক্ষতিকর।

৭।        কত সালে ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন?

  উত্তর : ১৯১০ সালে ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন।

৮।        নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের কোন মন্ত্রণালয় কাজ করছে?

  উত্তর : নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

৯।        স্কুলে নারী দিবস উপলক্ষে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এই দিবসের তাৎপর্য কী?

  উত্তর : এই দিবসের তাৎপর্য হচ্ছে নারী-পুরুষ সমতা।

১০। কে নারীদের ভোটাধিকার এবং নারী দিবস ঘোষণার দাবি জানান?

  উত্তর : ক্লারা জেটকিন নারীদের ভোটাধিকার এবং নারী দিবস ঘোষণার দাবি জানান।

১১।       ৮ মার্চ সারা বিশ্বে একটি দিবস পালিত হয়। এখানে কোন দিবসের কথা বলা হয়েছে?

  উত্তর : এখানে নারী দিবসের কথা বলা হয়েছে।

১২।       রাশেদা বেগমের মতে, নারী-পুরুষের মধ্যে বিভাজন নয়, বরং সহযোগিতা প্রয়োজন। তাঁর মনোভাবের সঙ্গে কোন মহীয়সী নারীর মিল আছে?

  উত্তর : তাঁর মনোভাবের সঙ্গে বেগম রোকেয়ার মিল আছে।

১৩।       নারী-পুরুষের সমতার বিষয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কী বলেছেন?

  উত্তর : নারী-পুরুষের সমতার বিষয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কাব্যিক ভাষায় বলেছেন, ‘বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’

 

 

মন্তব্য

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

    সুনির্মল চন্দ্র বসু, সহকারী অধ্যাপক, সখীপুর সরকারি কলেজ, সখীপুর, টাঙ্গাইল
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

একাদশ অধ্যায় :  জীবের প্রজনন

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

[পূর্বপ্রকাশের পর]

  উদ্দীপকের আলোকে ২০ ও ২১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

২০।  নিষেকের ফলে চিত্র X অংশটি কিসে পরিণত হয়?

  ক. শস্যকলায় খ. বীজে
গ. গর্ভপত্রে   ঘ. ভ্রূণে

২১।  চিত্রে  Y অংশটি যা সৃষ্টি করে তা হলো

  i. শস্যকলা   ii. ৩হ নিউক্লিয়াস
iii. বীজপত্র

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. i. ii I iii

  উদ্দীপকের আলোকে ২২ ও ২৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

২২।  নিচের  P অংশটি নিষেকের পর পরিণত হয়

  ক. জাইগোটে খ. শস্যকোষে
গ. ডিম্বকে    ঘ. ভ্রুণে

২৩।

  চিত্র  XY-এর ক্ষেত্রে

  i. MN মিলিত হয়ে শস্যকোষ তৈরি করে

  ii. MP-এর সঙ্গে ঘ-এর মিলনে দ্বিনিষেক ঘটে

  iii. PN মিলিত হলে চারাগাছ হতে পারে

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. i. iiiii

  উদ্দীপকের আলোকে ২৪ ও ২৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

২৪।  নিষেকের পর ‘P’ হতে তৈরি হয়

  i. জাইগোট    ii. ভ্রূণ   iii. শস্যকলা

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. i. iiiii

 

  উত্তর : ২০. ঘ ২১. ক ২২. ক ২৩. ঘ ২৪. ক। 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ