কয়লা এক প্রকার জীবাশ্ম জ্বালানী। গাছপালা দীর্ঘদিন ধরে মাটির তলায় চাপা পড়ে থাকার ফলে ধীরে ধীরে তা কালো বা গাঢ় বাদামি বর্ণের খনিজ পদার্থের রূপ ধারণ করে। একে কয়লা (ঈড়ধষ) বলে। এটি এক ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি।
জানা অজানা
কয়লা
- [ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের দ্বাদশ অধ্যায়ে কয়লার উল্লেখ আছে]
অন্যান্য

ভারতবর্ষে প্রথম কয়লা উত্তোলন শুরু হয় ১৭৭৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের রানীগঞ্জ কয়লাক্ষেত্র থেকে। সে সময় শুধু স্থানীয় চাহিদাকে সামনে রেখে কয়লা উত্তোলন করা হতো।
১৮৫৭ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভূতত্ত্ববিদ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ভূভাগের নিচে বিরাট আকারের কয়লাখনির অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে গণ্ডোয়ানা কয়লার সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তান আমলে এ অঞ্চলে খনিজসম্পদ অনুসন্ধানকাজ ছিল অবহেলিত।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে গঠিত বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর বা জিএসবি ১৯৮৫ সালে দিনাজপুর জেলার বড়পুকুরিয়ায়, ১৯৮৯ সালে রংপুর জেলার খালাশপীরে এবং ১৯৯৫ সালে দিনাজপুরের দীঘিপাড়ায় পার্মিয়ান যুগের গণ্ডোয়ানা কয়লাক্ষেত্র আবিষ্কার করে। বড়পুকুরিয়া কয়লা অববাহিকায় ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে জিএসবি সাতটি উত্তোলন কূপ খনন করতে সক্ষম হয়। জিএসবি এই কয়লাক্ষেত্রের মজুদ, গুরুত্ব ও বিস্তার নির্ণয় করতেও সমর্থ হয়। পরবর্তী সময়ে খনির বিস্তৃতি, মজুদ, পুরুত্ব, কয়লাস্তরের অবস্থা, অধিচাপ বৈশিষ্ট্যগুলো এবং জল-ভূতাত্ত্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হওয়ার লক্ষ্যে চীনা ও ব্রিটিশ কম্পানিগুলো আরো ২৫টি কূপ খনন করে। এ ছাড়া জিএসবি খালাশপীর কয়লাক্ষেত্রে চারটি ও দীঘিপাড়া কয়লাক্ষেত্রে একটি উত্তোলন কূপ খনন করে।
২০২১ সালের গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশ ভবিষ্যতে কয়লার ব্যবহার থেকে সরে আসার অঙ্গীকার করে। এর মধ্যে রয়েছে পোল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও চিলি।
কিন্তু বিশ্বের সর্বোচ্চ কয়লা ব্যবহারকারী কিছু দেশ—অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র এই অঙ্গীকারপত্রে সই করেনি। যেসব দেশ ঘোষণাপত্রে সই করেছে তারা অঙ্গীকার করছে, দেশের ভেতরে কিংবা বাইরে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে তারা নতুন কোনো প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগ করবে না। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশও কয়লার ব্যবহার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কয়লাচালিত কয়েকটি বিদ্যুেকন্দ্র বন্ধ করারও ঘোষণা দেন।
► ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল
[আরো বিস্তারিত জানতে বাংলাপিডিয়া, বিবিসি বাংলা ও পত্রপত্রিকায় কয়লা সম্পর্কিত লেখাগুলো পড়তে পারো।]
সম্পর্কিত খবর

নবম ও দশম শ্রেণি : গণিত
- ফারজানা ইয়াসমিন, প্রভাষক, ছাগলনাইয়া মহিলা কলেজ, ছাগলনাইয়া, ফেনী

পরিমিতি
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
১। একটি ঘনকের কতটি তল?
ক. ৪টি খ. ২টি
গ. ৩টি ঘ. ৬টি
২। সমবৃত্তভূমিক বেলনের বৃত্তাকার অংশের মোট ক্ষেত্রফল কত?
ক. πr2 খ. 2πr2
গ. 2πrh ঘ. 2πr (r+h)
৩। সমবৃত্তভূমিক বেলনের আয়তন কত?
ক. 2πr খ. πr2
গ. πr2h ঘ. 2πr2h
নিচের তথ্যের আলোকে ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
ABCD একটি বর্গক্ষেত্রের দুটি কর্ণ AC ও BD।
৪। বর্গক্ষেত্রটির কর্ণের দৈর্ঘ্য কত?
ক. 2√2 খ. 4
গ. 2√4 ঘ. 4√2
৫।
ক. 4 একক খ. 6 একক
গ. 8 একক ঘ. 2 একক
৬। একটি সমবাহু ত্রিভুজের কোন ৩টির পরিমাপ—
ক. 900, 450, 450 L. 900, 300, 400
গ. 600, 600, 600 N. 700, 600, 500
৭। একটি ঘনক আকৃতির পাথরের এক বাহুর দৈর্ঘ্য
৫ সেন্টিমিটার হলে এর সমগ্রতলের ক্ষেত্রফল কত হবে?
ক. 100 বর্গ সেন্টিমিটার
খ. 150 বর্গ সেন্টিমিটার
গ. 200 বর্গ সেন্টিমিটার
ঘ. 250 বর্গ সেন্টিমিটার
উত্তর : ১. ঘ ২. খ ৩. গ
৪. ঘ ৫. ক ৬. গ ৭. খ।

সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র
- সাধন সরকার, সহকারী শিক্ষক, লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ

কবিতা
নতুন দেশ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
১। ‘নতুন দেশ’ কবিতার উদ্দেশ্য কী?
ক. ইচ্ছা জাগ্রত করা
খ. পাঠে মনোযোগ বাড়ানো
গ. শিশুদের মনোবল বাড়ানো
ঘ. সৃজনশীলতা জাগ্রত করা
২। রবীন্দ্রনাথের শিশুতোষ গ্রন্থ কোনটি?
ক. খাপছাড়া খ. খেলনা
গ. মানসী ঘ. হ-য-ব-র-ল
৩। বাংলা সাহিত্যের কোন শাখা রবীন্দ্রনাথের হাতে প্রতিষ্ঠা লাভ করে?
ক. কবিতা খ. নাটক
গ. ছোটগল্প ঘ. উপন্যাস
৪।
ক. ডুবতে পারলে দেখি কে
খ. থাকে কেমন বেশে
গ. জলের ঢেউয়ে নাচে
ঘ. দাঁড়িয়ে নদীর তীরে
৫। ‘নতুন দেশ’ কবিতায় যে বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে—
i. প্রকৃতির রহস্য উন্মোচনের আকাঙ্ক্ষা
ii. শিশুর অভিমান
iii. অপার বিস্ময়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৬। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কী অভিধায় অভিহিত?
ক. পল্লীকবি খ. বিশ্বকবি
গ. জাতীয় কবি ঘ. বিদ্রোহী কবি
৭। শিশুটি প্রথম দিন কোথায় নৌকা দেখেছিল?
ক. মাঝ নদীতে খ. ঘাটের কাছে
গ. খালের পাশে ঘ. সমুদ্রে
৮।
ক. শহর খ. পাহাড়
গ. বাঘের ছানা ঘ. নারিকেল বন
৯। নৌকা চলে কিসের টানে?
ক. দাঁড়ের বলে খ. ভাটার টানে
গ. মাঝির শক্তিতে ঘ. পালের টানে
১০। ভাটার সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে—
i. সূর্য ii. চন্দ্র
iii. পৃথিবী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১১ ও ১২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে, দেখব এবার জগত্টাকে’
১১। উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে তোমার পঠিত কবিতা কোনটি?
ক. সবার আমি ছাত্র খ. কুলি-মজুর
গ. নতুন দেশ ঘ. আমার বাড়ি
১২।
i. শিশুসুলভ আচরণ
ii. শিশুর মনের সাধ
iii. নতুনকে জানার ইচ্ছা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
১৩। ‘সোনার তরী’—কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
ক. কাজী নজরুল ইসলাম
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ. জসীমউদ্দীন ঘ. মহাদেব সাহা
১৪। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন?
ক. ১৯১১ খ. ১৯১২
গ. ১৯১৩ ঘ. ১৯১৪
১৫। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
ক. বনফুল খ. গীতাঞ্জলি
গ. নতুন দেশ ঘ. খাপছাড়া
১৬। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুবরণ করেন কত সালে?
ক. ১৮৯৯ খ. ১৯২০
গ. ১৯৪৩ ঘ. ১৯৪১
১৭।
ক. বলাকা খ. ক্ষণিকা
গ. সহজ পাঠ ঘ. তৃণাঙ্কুর
১৮। ‘ভাটা’ শব্দের অর্থ কী?
ক. জলের আগমন
খ. ভাটার গান
গ. বর্ধিত জল কমে যাওয়া
ঘ. জলের পতন
১৯। ‘নাইতে যখন যাই, দেখি সে/জলের টেউয়ে নাচে’—এখানে কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?
ক. চেতনা খ. সৌন্দর্য চেতনা
গ. দৃষ্টিভঙ্গি ঘ. শিল্পবোধ
২০। জলের ঢেউয়ে কী নাচে?
ক. নৌকা খ. মাঠ
গ. শস্য ঘ. মাছ
উত্তর : ১. ঘ ২. ক ৩. গ ৪. গ ৫. খ
৬. খ ৭. খ ৮. ঘ ৯. খ ১০. ঘ ১১. গ
১২. গ ১৩. খ ১৪. গ ১৫. ক ১৬. ঘ
১৭. গ ১৮. গ ১৯. খ ২০. ক।

এইচএসসির প্রস্তুতি : পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র
- বিশ্বজিৎ দাস, সহযোগী অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর

বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ
তোমাদের অনেকের কাছে পদার্থবিজ্ঞান অনেক কঠিন লাগে। ভয়ের কিছুই নেই। এ বিষয়ে রয়েছে দুটি অংশ। ২৫ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৫০ নম্বরের সিকিউ।
এমসিকিউ অংশে সাধারণত বিভিন্ন রাশির মান, একক ও মাত্রা সম্পর্কে প্রশ্ন থাকে।
পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রে ভৌত জগত ও পরিমাপ, ভেক্টর, নিউটনিয়ান বলবিদ্যা, মহাকর্ষ, কাজ, শক্তি ও ক্ষমতা, পদার্থের গাঠনিক ধর্ম (আংশিক), পর্যায়বৃত্ত গতি এবং আদর্শ গ্যাস ও গ্যাসের গতিতত্ত্ব—এই আটটি অধ্যায় রয়েছে।
পদার্থবিজ্ঞানের একটা সুবিধা হলো—প্রতিটি অধ্যায় থেকে সাধারণত একটি করে সিকিউয়ের উত্তর দিতে হয়। যেহেতু তোমাকে আটটি মধ্যে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, সেহেতু তুমি অল্প কয়েকটি অধ্যায় ভালোমতো পড়লেই সিকিউয়ের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে পারবে।
স্পষ্টভাবে উত্তর লিখবে। কাটাকাটি এড়িয়ে চলবে। গাণিতিক সমস্যার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে একক লিখবে। উচ্চতর দক্ষতাভিত্তিক সমাধানের ক্ষেত্রে সাধারণত তোমার কাছে একটি সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়। সেটি লিখতে ভুলবে না। খাতা জমা দেওয়ার আগে অবশ্যই রিভিশন দেবে।

ভর্তির খোঁজখবর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইএমপিএ)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোক প্রশাসন বিভাগে সামার-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অধিকারীদের জন্য শতকরা ২০ ভাগ বৃত্তি ও সেমিস্টারসেরাদের উপবৃত্তি দেওয়া হবে।
কোর্স
হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, ইনোভেশন অ্যান্ড চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, পাবলিক পলিসি অ্যানালিসিস।
যোগ্যতা
আগ্রহী প্রার্থীকে ইউজিসি অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী হতে হবে।
আবেদন
এরই মধ্যে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের ১১ তলার লোক প্রশাসন বিভাগের কার্যালয় থেকে আবেদন ফরম উত্তোলন করা যাবে। আবেদনের শেষ সময় ১৭ জুলাই।
যোগাযোগ
সামাজিক বিজ্ঞান ভবন (১১ তলা)
লোক প্রশাসন বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭১১৯৮৫১৮৬, ০১৪০০৯৮৫১৮৬
ওয়েবসাইট
www.dupublicad.com