ঢাকা, বুধবার ৩০ জুলাই ২০২৫
১৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৪ সফর ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ৩০ জুলাই ২০২৫
১৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৪ সফর ১৪৪৭

জিপিএ ৫-এর ‘পাগলা ঘোড়া’ তবে থামছে

শরীফুল আলম সুমন
শরীফুল আলম সুমন
শেয়ার
জিপিএ ৫-এর ‘পাগলা ঘোড়া’ তবে থামছে

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বিগত বছরগুলোর মতো জিপিএ ৫ পাওয়ার ঢল এ বছর থামতে পারে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যার যতটুকু প্রাপ্য, শিক্ষকদের ততটুকু নম্বরই দিতে বলা হয়েছে, এর বেশি নয়। উত্তর সঠিক না হলে নম্বর দেওয়া যাবে না। এভাবে খাতা দেখা ফিরছে আগের রীতিতে।

এ বছর থেকে জিপিএ ৫ উল্লম্ফন থামানোর এমন উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আন্ত শিক্ষা বোর্ড।

২০০১ সালে দেশে প্রথমবারের মতো এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করা হয়। ওই বছর জিপিএ ৫ পেয়েছিল ৭৬ জন, পাসের হার ছিল ৩৫.৮১ শতাংশ। এরপর ২০০৭ সাল পর্যন্ত মোটামুটি গতিতে জিপিএ ৫ ও পাসের হার বাড়তে থাকে।

এর পর থেকে জিপিএ পাওয়ার হার অনেকটা পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন এবং পাসের হার ছিল ৮৩.০৪ শতাংশ। ২০০৩ সাল থেকে এইচএসসি ও সমমানে গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হলেও সেখানকার অবস্থা একই।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছর তাদের নিজেদের সাফল্য দেখাতে শিক্ষার্থীদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।

যেহেতু দেশের প্রতিটি পরিবারেই শিক্ষার্থী রয়েছে, তাই তারা পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের সাফল্য দেখিয়ে অভিভাবকদের মন জয় করার চেষ্টা করেছে। এতে উদার হাতে নম্বর দেওয়া হয়েছে। কোনো কিছু লিখলেই খাতায় নম্বর দিতে বাধ্য করা হয়েছে শিক্ষকদের। এমনকি বেশি বেশি নম্বর দেওয়ার পরও পাস মার্ক থেকে চার-পাঁচ বা জিপিএ ৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ৮০ নম্বর থেকে তিন-চার নম্বর কম পেলে তা দিয়ে দেওয়া হতো। এতে শিক্ষার মানে বড় ধরনের ধস নামে।
সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করেনি বিগত সরকার।

সূত্র জানায়, গত ১০ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মাদরাসা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষা শেষ হয় গত ১৫ মে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এসব পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।

গত ২৬ জুন থেকে শুরু হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা। এ বছর থেকে জিপিএ ৫-এর উল্লম্ফন থামানোর উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আন্ত শিক্ষা বোর্ড। খাতা দেখা ফিরছে আগের রীতিতে। এরই মধ্যে শিক্ষকদের এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উদার হাতে নম্বর দেওয়া যাবে না। এতে পাসের হার ও জিপিএ ৫ উল্লেখযোগ্য হারে না কমলেও উল্লম্ফনের যে ধারা ছিল তা কমে আসবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।   

আন্ত শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহবায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা শিক্ষকদের খাতা সরবরাহের আগে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছি। তাঁদের বলেছি, একজন শিক্ষার্থী খাতায় যেভাবে লিখবে, সেভাবে মার্ক পাবে। অতিরিক্ত নম্বর বা কম নম্বর দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা খাতা খুব সাবধানে দেখতে বলেছি। শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকটায় লক্ষ রাখতে শিক্ষকদের বলেছি।

শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, এসএসসিতে ২০০১ সালে পাসের হার ছিল ৩৫.২২ শতাংশ। ৭৬ জন শিক্ষার্থী প্রথমবারের মতো জিপিএ ৫ পায়। ২০০২ সালে জিপিএ ৫ পায় ৩২৭ জন, ২০০৩ সালে এক হাজার ৩৮৯ জন, ২০০৪ সালে আট হাজার ৫৯৭ জন, ২০০৫ সালে ১৫ হাজার ৬৪৯ জন, ২০০৬ সালে ২৪ হাজার ৩৮৪ জন, ২০০৭ সালে ২৫ হাজার ৭৩২ জন এবং ২০০৮ সালে পায় ৪১ হাজার ৯১৭ জন।

২০০৯ সালে এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছিল ৪৫ হাজার ৯৩৪ জন, ২০১০ সালে ৫২ হাজার ১৩৪ জন, ২০১১ সালে ৬২ হাজার ২৪৪ জন, ২০১২ সালে ৮২ হাজার ২১২ জন, ২০১৩ সালে ৯১ হাজার ১২২ জন, ২০১৪ সালে এক লাখ ৪২ হাজার ২৭৬ জন, ২০১৫ সালে এক লাখ ১১ হাজার ৯০১ জন, ২০১৬ সালে এক লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন, ২০১৭ সালে এক লাখ চার হাজার ৭৬১ জন, ২০১৮ সালে এক লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন, ২০১৯ সালে এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৯৪ জন, ২০২০ সালে এক লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন, ২০২১ সালে এক লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন, ২০২২ সালে দুই লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন এবং ২০২৩ সালে এক লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন পরীক্ষার্থী।

জানা যায়, ২০০৩ সালে এইচএসসিতে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ শুরু হয়। ওই বছর প্রায় পাঁচ লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ ৫ পায় মাত্র ২০ জন। পাসের হার ছিল ৩৮.৪৩ শতাংশ। এরপর ধারাবাহিকভাবে জিপিএ ৫ ও পাসের হার বাড়তে থাকে। ২০২০ সালে জিপিএ ৫ পায় এক লাখ ৬১ হাজার ১০৭ জন, ২০২১ সালে এক লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন, ২০২২ সালে এক লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। তবে ২০২৩ সালে তা কমে আসে ৯২ হাজারে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে এইচএসসিতে অংশ নেয় ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। পাসের হার ছিল ৭৭.৭৮ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ পায় এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন।

তবে প্রতিবছর জিপিএ ৫ বাড়লেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ৯৪ শতাংশই ফেল করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটেও ৯০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। এক হিসাবে দেখা যায়, এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েও প্রায় সোয়া এক লাখ শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৫ বছর পরীক্ষার খাতা দেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ সব পরীক্ষককে সহানুভূতির সঙ্গে খাতা দেখতে বলে দিত। ফেল করলে শিক্ষার্থীদের মনোবল ভেঙে যাবে। অনেকে পড়ালেখা বাদ দেবে। পরীক্ষকদের এ বিষয়টি মাথায় রাখতে বলা হতো।

জানা যায়, শিক্ষা বোর্ডগুলো পরীক্ষকদের কাছে খাতা বুঝিয়ে দেওয়ার পর প্রধান পরীক্ষকরা তাঁদের আরেক দফা উদারভাবে খাতা মূল্যায়নের জন্য চাপ দিতেন। শিক্ষার্থীরা ফেল করলে পরীক্ষকদের শাস্তি পেতে হবে বলেও হুমকি দেওয়া হতো। ফলে শিক্ষকরা উদার হস্তে নম্বর দিতেন।

জানা যায়, পরীক্ষক হতে না পারলে একজন শিক্ষকের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হয়। এতে তাঁর কোচিং-প্রাইভেটে প্রভাব পড়ে। ফলে সব শিক্ষকই পরীক্ষক হতে চান। এ ছাড়া বেতন-ভাতার বাইরে খাতা দেখা থেকেও পরীক্ষকরা অর্থ পান। ফলে বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে এত দিন উদারভাবে নম্বর দিতে বাধ্য হতেন পরীক্ষকরা।

কয়েকজন পরীক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে এত দিন বেশ কিছু অলিখিত নিয়ম-কানুন ছিল। কোনো শিক্ষার্থী ২০ নম্বরের বেশি পেলে তাকে পাস করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ৬০-এর বেশি পেলে তাকে ৭০ বানিয়ে গ্রেড, ৫০-এর বেশি পেলে তা ৬০ বানিয়ে এ মাইনাস, ৪০-এর বেশি পেলে ৫০ বানিয়ে বি গ্রেড এবং ৩০-এর বেশি পেলে ৪০ বানিয়ে সি গ্রেড করা হয়েছে। আর ৭০-এর বেশি নম্বর পেলে সব সময় চেষ্টা থাকে তাকে জিপিএ ৫, অর্থাৎ ৮০ নম্বর দেওয়ার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিনুর রশিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রতিটি সরকার চায় পাসের হার ও জিপিএ ৫ বাড়াতে। এ জন্য ওভারমার্কিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বাচ্চারা যা লিখবে তাতেই নম্বর দিতে বলা হয়। ফলে যে এ প্লাস পাওয়ার যোগ্য নয় সে-ও পেয়ে যায়। গত ১৫ বছর এটা বেশি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসে তখন ৯০ শতাংশই পাস করে না। এতে মার্কিংয়ের গলদ বোঝা যায়। অথচ সরকার এই পাসের হার বাড়ানোকে তাদের সফলতা মনে করে। আসলে এটা একটা আত্মঘাতী কাজ, বুমেরাং আইডিয়া। এর লাগাম টানা দরকার।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিনুর রশিদ বলেন, এখন আমাদের কাজ শিক্ষার মান নিশ্চিত করা। তবে প্রথমে ক্লাসে পড়ালেখা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু আমাদের শিক্ষকরা কম বেতন পান। ফলে তাঁরা ক্লাসে না পড়িয়ে প্রাইভেট-কোচিংয়ে পড়ান। আমাদের ভালো শিক্ষক নিতে হবে। কিন্তু তাঁরা তো কম বেতনে আসবেন না। এ জন্য শিক্ষকদের বেতন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষকদের জবাবদিহিও নিশ্চিত করতে হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ

তত্ত্বাবধায়ক ও নারী আসনের নির্বাচন নিয়ে একমত হতে পারেনি দলগুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
তত্ত্বাবধায়ক ও নারী আসনের নির্বাচন নিয়ে একমত হতে পারেনি দলগুলো

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রশ্নে একমত হলেও এই সরকারের কাঠামো কী হবে, সেই প্রশ্নে একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ও নির্বাচন নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। এ ছাড়া মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) এবং ন্যায়পাল নিয়োগে বাছাই কমিটি গঠনের বিষয়ে আপত্তি বহাল রেখেছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। এ তিনটি বিষয়ে আগামী দিনে সিদ্ধান্ত জানাবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ২১তম দিনের আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংলাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কাঠামো, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান নিয়ে আলোচনা করা হয়। সংলাপে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সংলাপের সূচনা বক্তব্যে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শেষ করতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আজ-কালের মধ্যে পাঠানো হবে। সেগুলো সংযুক্ত করে পরশু দিনের মধ্যে সনদের জায়গায় পৌঁছাব। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে যেভাবে হোক সনদের চূড়ান্ত রূপ, অন্ততপক্ষে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলো স্পষ্ট এবং সনদে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

কমিশন সূত্র জানায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান নিয়োগের জন্য প্রস্তাবিত কাঠামো অনুযায়ী, পাঁচ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠিত হবে।

এই কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, বিরোধীদলীয় ডেপুটি স্পিকার এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দলের একজন প্রতিনিধি। তাঁরা ১২ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্য থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান নির্বাচন করবেন। তাঁরা যদি একমত হতে না পারেন, তাহলে প্রথমে সর্বসম্মতভাবে পরবর্তীকালে ওয়ান চয়েস ভোট এবং তারপর প্রয়োজনে র্যাংক চয়েস ভোটিং পদ্ধতির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে। এই পদ্ধতিতে ভোটার হবেন উল্লিখিত পাঁচজন সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের একজন করে বিচারপতি, অর্থাৎ মোট সাতজন। তাতেও সিদ্ধান্ত না হলে র্যাংকিং পদ্ধতি অনুসরণ করে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে বাছাই করা হবে।
এ ছাড়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নারী আসন ১০০ করার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে নীতিগতভাবে আমরা সবাই একমত। তবে গঠন পদ্ধতি নিয়ে কিছুটা মতভেদ রয়েছে। কমিশনসহ বিভিন্ন দলের পক্ষে একটি বাছাই কমিটির কথা হয়েছে। এখানেও সমাধান না হলে র্যাংক পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। আমরা এ জায়গায় একমত হতে পারিনি। আমরা চাই, এটি সর্বশেষ অপশন হিসেবে সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়া হোক। সংসদে আলোচনা হবে। এ নিয়ে নাগরিকরা মতামত দিতে পারবেন। সভা-সেমিনার হবে। সেখানেও সমাধান না হলে আমরা ত্রয়োদশ সংশোধনীর পক্ষে। তবে এ ক্ষেত্রে সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণের সুযোগ থাকবে না।

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, আমরা সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ আইনের মাধ্যমে করতে চাই। এতে আইনি ত্রুটি থাকলে সংশোধন সহজ হবে। কার্যকর রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটি সক্রিয় নির্বাহী বিভাগ প্রয়োজন। তবে সেই নির্বাহী বিভাগকে চেক অ্যান্ড ব্যালান্সের মধ্যে রাখতে হবে। যত বেশি কিছু সংবিধানে যুক্ত করা হবে, তত বেশি সংশোধন জটিল হয়ে পড়বে। তাই আমরা চাই আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা হোক এবং সেই আইনে প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন আনা সহজ হবে। তিনি আরো বলেন, যেহেতু এখন পর্যন্ত ন্যায়পাল কোনো দিন ফাংশন করেনি, তাই আমরা প্রথমে চাই এটি প্রতিষ্ঠিত হোক। আইন যুগোপযোগী করে, দায়িত্ব ও ক্ষমতা স্পষ্ট করে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন হোক। ন্যায়পালকে শুধু তদন্তের ক্ষমতা না দিয়ে তার প্রতিবেদনের বাস্তব প্রয়োগের জন্য আইন তৈরি করতে হবে।

নারী প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে বিএনপির অবস্থান প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা প্রথম ধাপে প্রস্তাব করেছি, আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৫টি আসনে নারীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। পরবর্তী নির্বাচনে তা ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৩০টি হবে। আমরা চাই নারীরা সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হোক। কিন্তু সমাজের বাস্তবতা বিবেচনায় আমরা ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে চাই।

সংস্কার কমিশনের সাত শর বেশি সুপারিশ সম্পর্কে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ৬৫০টির মতো প্রস্তাবে একমত হয়েছি। বাকিগুলোর বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি বা সংশোধিত প্রস্তাব দিয়েছি। সব প্রস্তাব সনদে আসবে না। তবে যেগুলো মৌলিক, যেমনসংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত, সেগুলো অবশ্যই গুরুত্ব পাবে।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আমরা একমত হয়েছি যে জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই হতে হবে। এখানে কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে প্রায় সবাই একমত, একমাত্র বিএনপি কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। কমিশনের প্রস্তাবে দুজন বিচারপতি যুক্ত করা হয়েছে, যেন এককভাবে তৃতীয় দল বা অন্য কেউ ডিসাইডিং ফ্যাক্টর না হয়ে যায়। আমরা আশা করি, বিচারপতিরা নিরপেক্ষ থাকবেন এবং হর্স ট্রেডিংয়ের আশঙ্কা কমবে। এ ক্ষেত্রে বিএনপির বক্তব্য, যদি ঐকমত্য না হয়, তাহলে বিষয়টি সংসদে পাঠানো হোক। তবে জামায়াতসহ বেশির ভাগ দল মনে করে, সংসদে পাঠালে তা আর সিদ্ধান্তে পৌঁছবে না। সংসদে পাঁচ-ছয়টি দল থাকে, অথচ এখানে ৩০টির বেশি দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।

নারী আসন বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. তাহের বলেন, পিআর হলে সরাসরি নারী ১০০ আসনের পক্ষে জামায়াত। আর আগের নিয়মে হলে সংরক্ষিত ৫০ আসন ঠিক আছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নিয়ে বেশির ভাগ দল একমত। আর বিএনপিসহ কয়েকটি দল দ্বিমত জানিয়েছে। বিএনপি চায়, সর্বশেষ অপশন হিসেবে সংসদে সমাধান করতে হবে। আমরা এ বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বিএনপিকে আহবান জানাই। তিনি আরো বলেন, মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে না হলে জুলাই সনদে আমরা স্বাক্ষর করব না। এর আইনি ভিত্তি দিতে হবে; যেন পরবর্তী সরকার এর মূল চেতনা থেকে বিচ্যুত না হতে পারে। ন্যায়পাল নিয়োগে কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে তিনি বলেন, নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন হতে হবে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী বলেন, জুলাই সনদের এখনো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। সেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু, উচ্চকক্ষ, পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হলেও আমরা ঐকমত্য হতে পারিনি। আবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছি। আশা করছি, আমরা যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছি, কমিশন জুলাই সনদে সেই বিষয়গুলো যুক্ত করবে। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে চার দিন আলোচনা হলেও এখনো ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি। প্রথম জায়গাটি ছিল বাছাই কমিটি করা। বাছাই কমিটি যদি সর্বসম্মত হতে না পারে র্যাংক চয়েস পদ্ধতি করা। সেখানে গণসংহতি আন্দোলনের নতুন প্রস্তাব, পাঁচ সদস্যের যে বাছাই হবে, সেখানে বিচার বিভাগ থেকে একজন প্রতিনিধি রাখা।

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, বিতর্কমুক্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্র্যাকটিস করতে না পারলে গণতন্ত্র আবারও হুমকিতে পড়বে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে কমিশনের প্রস্তাবে বিচার বিভাগের সংশ্লিষ্টতা ত্রয়োদশ সংশোধনীর প্রত্যাবর্তনের প্রাথমিক ধাপ আকারে রূপ নিতে পারে। সে ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বাছাইয়ে ক্রমভিত্তিক ভোটিং পদ্ধতির প্রবর্তন হবে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে একটি সুস্পষ্ট ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি। এটি পার্লামেন্টে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য পাঠালে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার যে ঐকান্তিক প্রয়াস চলছে, তা অর্থহীন হয়ে পড়বে।

বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (বিএলডিপি) চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাৎ হোসেন সেলিম বলেন, তত্ত্বাবধায়কের প্রধান উপদেষ্টা বাছাইয়ে পাঁচ সদস্যের কমিটি হয়েছে, সেই কমিটি নিয়ে আমাদের ঐকমত্য আছে। কিন্তু বাছাই কমিটি যে নাম সংগ্রহ করবে বিভিন্ন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল থেকে, সেখানে আমাদের আপত্তি। অনেক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নেই, আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের কোনো অবদান নেই। তাই এখানে শুধু সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দল থেকে নাম সংগ্রহ করা যেতে পারে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কাঠামো নিয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। আর চলমান নারী ৫০ আসনে আনুপাতিক হারে নির্বাচনের প্রস্তাব করেছি। সরাসরি নির্বাচনে নারী ১০০ আসনে নির্বাচন করা বিষয়ে বেশির ভাগ দলই একমত।

বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, নারী ১০০ আসন চাই এবং সরাসরি নির্বাচন চাই। ইউপি বা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো তিনটা ওয়ার্ড মিলে সরাসরি নির্বাচন দেওয়া হোক।

 

মন্তব্য
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান

মারণাস্ত্র ব্যবহার নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক আইজিপি মামুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মারণাস্ত্র ব্যবহার নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক আইজিপি মামুন
আবদুল্লাহ আল মামুন

জুলাই আন্দোলন দমন করতে মারণাস্ত্র ব্যবহার, হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানো এবং ব্লক রেইডের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবেই হয়েছিল বলে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। সম্প্রতি আদালতে দেওয়া তাঁর পাঁচ পৃষ্ঠার জবানবন্দির নথিতে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

জবানবন্দিতে মামুন দাবি করেন, প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তৎকালীন কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিব ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ ছিলেন অতি-উৎসাহী।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ২৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

টেলিভিশন   চ্যানেল নিউজটোয়েন্টিফোরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের অনিয়ম, গুম, খুন এবং জুলাইয়ের আন্দোলন দমন নিয়ে নিজের ভূমিকা ও অভিজ্ঞতার বিবরণ দেন সাবেক এই পুলিশপ্রধান।

তিনি বলেন, ১৯ জুলাই থেকে প্রায় প্রতিদিন রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় নিয়মিত বৈঠক হতো। সেখানে অংশ নিতেন দুজন সচিব, স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিবির হারুন অর রশীদ, র‌্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক, আনসার ও ভিডিপির ডিজি, এনটিএমসির জিয়াউল আহসানসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা। ওই বৈঠকগুলো থেকেই মূলত আন্দোলন দমনসংক্রান্ত সব ধরনের সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ হতো।

মামুন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, কোর কমিটির এক বৈঠকে আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়ককে আটক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী তাঁদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে মানসিক চাপ ও নির্যাতনের মাধ্যমে আন্দোলন প্রত্যাহারে বাধ্য করার চেষ্টা করা হয়। এ ছাড়া গণমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়।

তাঁর ভাষ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান ডিবির তৎকালীন প্রধান হারুনকে জনাব হারুন সম্বোধন করতেন।

কেননা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে তাঁকে কার্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

সাবেক আইজিপি বলেন, আন্দোলনকারীদের নজরদারিতে রাখা, ভয়ভীতি ছড়াতে গুলি চালানোর গোপন পরিকল্পনা হয়। তৎকালীন র‌্যাব মহাপরিচালক হারুন অর রশীদের নেতৃত্বেই হেলিকপ্টার মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়। আন্দোলন দমনে মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশনাও ছিল রাজনৈতিক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই আমাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে লেথাল উইপন ব্যবহারের নির্দেশ এসেছে।

সেই নির্দেশ বাস্তবায়নে হাবিব ও হারুন ছিলেন অতি-উৎসাহী।

জবানবন্দিতে মামুন আরো দাবি করেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা মারণাস্ত্র ব্যবহারে পরামর্শ ও উসকানি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট বিকেলে একটি হেলিকপ্টার এসে পৌঁছায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে। আমি ওই হেলিকপ্টারে তেজগাঁও বিমানবন্দরে যাই এবং সেখান থেকে সেনানিবাসে আশ্রয় নিই।

সাবেক পুলিশপ্রধান হিসেবে আন্দোলন দমনে গুলি চালিয়ে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনায় অনুতপ্ত বলেও জানান মামুন। তাঁর ভাষ্য, আমি দুঃখিত, অনুতপ্ত। আমি চাই সত্য প্রকাশ হোক।

আদালতের নথিতে বলা হয়, সম্প্রতি সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশের শর্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামুনকে রাজসাক্ষী হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশে রাজনৈতিক পালাবদলের ধারাবাহিকতায় অনেক নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। মামুনই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তা, যিনি আদালতে এমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

 

মন্তব্য

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত

শেয়ার
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত
রাজধানীর বাসাবো এলাকার ১০ বছর বয়সী মিম ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সপ্তাহখানেক চিকিৎসাধীন ছিল মুগদা হাসপাতালে। তখন তার সেবা করেন মা। সুস্থ হয়ে গতকাল বাবার সঙ্গে সে বাড়ি ফিরেছে হাসিমুখে। ছবি : মঞ্জুরুল করিম
মন্তব্য

শোভাযাত্রা

শেয়ার
শোভাযাত্রা
মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা মানববন্ধন শেষে শোভাযাত্রা করেন। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ