<p><strong>দ্বিতীয় অধ্যায়</strong></p> <p><span style="font-size:20px"><strong>উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন</strong></span></p> <p> </p> <p>১।   আবরণী টিস্যু বলতে কী বোঝায়?</p> <p>উত্তর : যে টিস্যু দেহের খোলা অংশ ঢেকে রাখে এবং দেহের ভেতরের আবরণ তৈরি করে তাকে আবরণী টিস্যু বলে। আমাদের ত্বকের বাইরের আবরণ এবং নাক, কান ও মুখগহ্বরের ভেতরের আবরণ। এগুলো আবরণী টিস্যু দিয়ে গঠিত। দেহের বিভিন্ন গ্রন্থিও আবরণী টিস্যু দিয়ে তৈরি।</p> <p> </p> <p>২।   মাইটোকন্ড্রিয়াকে শক্তিঘর বলা হয় কেন?</p> <p>উত্তর : মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের শ্বসন অঙ্গাণু। এখানেই শ্বসনের সব কাজ সম্পন্ন হয়। আর এ শ্বসনের মাধ্যমেই জীবদেহে শক্তি উৎপন্ন হয়ে থাকে। অর্থাৎ কোষের জৈবিক কাজ পরিচালনার জন্য যে শক্তি প্রয়োজন তার একমাত্র উৎস মাইটোকন্ড্রিয়া। তাই মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তিঘর বলা হয়।</p> <p> </p> <p>৩।   লিউকোপ্লাস্ট বলতে কী বোঝো?</p> <p>উত্তর : নিউকোপ্লাস্ট হলো বর্ণহীন প্লাস্টিড। উদ্ভিদের যেসব অংশে আলো পৌঁছায় না, সেসব অংশের কোষে লিউকোপ্লাস্ট থাকে। যেমন—মূলের কোষের প্লাস্টিড। এ ছাড়া সবুজ দূর্বাঘাস ইট দিয়ে কিছুদিন ঢেকে রাখলে ঘাসগুলো সাদা হয়ে যায়। কারণ বর্ণযুক্ত ক্লোরোপ্লাস্ট বর্ণহীন লিউকোপ্লাস্টে রূপান্তরিত হয়।</p> <p> </p> <p>৪।   নিউক্লিয়াসকে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয় কেন?</p> <p>উত্তর : নিউক্লিয়াস কোষের প্রধান অংশ। প্রতি কোষে সাধারণত একটি নিউক্লিয়াস থাকে। নিউক্লিয়াস কোষের সব জৈবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। সে জন্য নিউক্লিয়াসকে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়।</p> <p> </p> <p>৫।   একই উদ্ভিদের পাতা সবুজ হলেও ফুল রঙিন হয় কেন?</p> <p>উত্তর : উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গের রং নির্ধারিত হয় প্লাস্টিড দ্বারা। বিভিন্ন প্লাস্টিডের মধ্যে উদ্ভিদের পাতায় ক্লোরোফিল নামক রঞ্জক পদার্থ থাকার কারণে পাতা সবুজ হয়। কিন্তু উদ্ভিদের ফুলের পাপড়িতে ক্রোমোপ্লাস্ট নামক রঞ্জক পদার্থ থাকায় এর রং সবুজ না হয়ে রঙিন হয়।</p> <p> </p> <p>৬।   কোষকে ক্ষুদ্র রাসায়নিক কারখানা বলা হয় কেন?</p> <p>উত্তর : কোষ হচ্ছে জীবদেহের যাবতীয় কাজের, যেমন—শ্বসন, পুষ্টি, রেচন, বৃদ্ধি, বংশবিস্তার প্রভৃতির আধার। কারণ প্রতিটি জীবের শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য যে শক্তির দরকার তা তৈরি হয় কোষের ভেতরে রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে। এ কারণেই কোষকে একটি ক্ষুদ্র রাসায়নিক কারখানা বলা হয়।</p> <p> </p> <p>৭।   প্রোটোপ্লাজম বলতে কী বোঝায়?</p> <p>উত্তর : প্রোটোপ্লাজম হলো কোষের অর্ধতরল, জেলির মতো আঠালো ও দানাদার বর্ণহীন সজীব অংশ। প্রোটোপ্লাজমের নানা ধরনের বিক্রিয়ার ফলে জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলো পরিলক্ষিত হয়। এটি বিভিন্ন জৈব ও অজৈব যৌগের সমন্বয়ে গঠিত। প্রোটোপ্লাজমে পানির পরিমাণ শতকরা ৬৭ থেকে ৯০ ভাগ।</p> <p> </p> <p>৮।   প্লাস্টিডকে কোষের বর্ণাধার বলা হয় কেন?</p> <p>উত্তর : প্লাস্টিড উদ্ভিদ কোষের অনন্য বৈশিষ্ট্য। প্লাস্টিডের প্রকারভেদের মধ্যে ক্রোমোপ্লাস্টিডে সবুজ বর্ণের ক্লোরোফিল নামক রঞ্জকবিশিষ্ট ক্লোরোপ্লাস্ট এবং অসবুজ বর্ণবিশিষ্ট ক্রোমোপ্লাস্ট থাকে। এসব রঞ্জক পদার্থের উপস্থিতিতে উদ্ভিদের পাতা, ফুল, ফল ইত্যাদিতে বিভিন্ন বর্ণবৈশিষ্ট্য সৃষ্টি হয়। আর এসব রঞ্জক পদার্থগুলো ধারণ করে বলেই প্লাস্টিডকে কোষের বর্ণাধার বলা হয়।</p> <p> </p> <p>৯।   স্থায়ী টিস্যুর দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।</p> <p>উত্তর : স্থায়ী টিস্যুর দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো—</p> <p>ক) স্থায়ী টিস্যুর কোষগুলো পূর্ণভাবে বিকশিত এবং সঠিক আকৃতিপ্রাপ্ত।</p> <p>খ) কোষপ্রাচীর অপেক্ষাকৃত পুরু।</p> <p> </p> <p>১০। আমরা হাত-পা চালনা করতে পারি কেন?</p> <p>উত্তর : আমাদের দেহে এক ধরনের পেশি আছে, যাকে আমরা ইচ্ছামতো চালনা করতে পারি। এই পেশির নাম ঐচ্ছিক পেশি। অর্থাৎ এই পেশিগুলো আমাদের ইচ্ছাধীন। এই পেশির কারণেই আমরা হাত-পা চালনা করতে পারি।</p>