<p>কোদাল বা কোদালি হচ্ছে হস্তচালিত এমন একটি যন্ত্র, যা দিয়ে মাটি খনন ও তোলা যায়। বাংলাদেশের সর্বত্রই দেখা যায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই যন্ত্রটি গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই আছে। কোদালের দুটি অংশ। মাটি কাটার জন্য ইস্পাত বা লোহার একটি ফলা এবং ধরার জন্য একটি কাঠের বা বাঁশের হাতল। কোদালের ফলার সামনের অংশ ছড়ানো এবং তুলনামূলক পাতলা ও ধারালো থাকে, অনেকটা বেলচার মতো। পেছনের অংশ ভারী ও চ্যাপ্টা প্রকৃতির এবং রিংয়ের মতো একটা অংশ থাকে। ফলার এই রিংয়ের ভেতর দিয়েই কোদালের হাতলের কাঠ বা বাঁশ প্রবেশ <img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2021/04.April/20-04-2021/4-5-9-13/kalerkantho-9-2021-04-19-02a.jpg" style="float:left; height:163px; width:350px" />করানো হয় এবং এমনভাবে আটকানো হয়, যাতে হাতল ও ফলা একে অপরের সঙ্গে শক্তভাবে লেগে থাকে। কোদালের হাতল আড়াই হাতের মতো লম্বা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের কোদাল দেখা যায়। গ্রামাঞ্চলে কামার ও শহরাঞ্চলে ছোট কারখানাগুলো কোদাল তৈরি করে। কৃষকরা বীজতলা তৈরি, আগাছা দমন, মাটি কাটা ও সরানো, বাঁধ নির্মাণ বা খাল খনন এবং অন্যান্য গৃহস্থালির কাজে কোদাল ব্যবহার করে। ফলার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও পুরুত্ব যথাক্রমে ২৫-৩০, ২০-২৫ ও ১-৩ সেন্টিমিটার এবং ওজন ২-৩.২৫ কেজি। দেশি লাঙলে চাষ অসাধ্য খণ্ড জমিতে কোদাল ব্যবহৃত হয়।</p> <p>কোদাল হচ্ছে কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রাচীন হাতিয়ারগুলোর মধ্যে অন্যতম। খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ অব্দে লাঙল আবিষ্কারের আগে মানুষ লাঠির মতো হাতলের সঙ্গে পাথরের ফলক বাঁধা একটি রকম যন্ত্র দিয়ে মাটি আলগা করে জমি চাষ করত। এই যন্ত্রকেই কোদালের আদিরূপ হিসেবে ধরা হয়। সে সময় কোদালের ফলা হিসেবে পাথর, পশুর হাড়, এমনকি শক্ত কাঠের ব্যবহার ছিল। ধাতু আবিষ্কারের পর থেকে কোদালের ফলা হিসেবে ইস্পাত বা লোহার ব্যবহার শুরু হয়।</p> <p>কোদাল সহজপ্রাপ্য ও সাশ্রয়ী মূল্যের হয়ে থাকে। একে সহজে বহন করা যায়। গাছের গোড়ায় মাটি তোলা, আইল ছাঁটা, সেচ ও নিকাশ নালা তৈরি করার কাজেও কোদালের ব্যবহার দেখা যায়।                </p> <p> </p>