অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল বারকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের মামলায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, আবুল বারকাতের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা থাকায় ধানমণ্ডির ৩ নম্বর সড়কের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর তাঁকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার তাঁকে দুদকে সোপর্দ করা হবে।
আবুল বারকাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন। পাশাপাশি তিনি হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অবৈতনিক প্রধান উপদেষ্টা।
টানা দুইবার তিনি বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ছিলেন। তাঁর জন্ম কুষ্টিয়া শহরে। বাবা আবুল কাশেম ছিলেন স্বনামধন্য চিকিত্সক।
অ্যাননটেক্স গ্রুপের নামে ২৮৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল বারকাত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন আদালত।
দুদকের মামলার অন্য আসামিরা হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, সাবেক সহকারী পরিচালক ইসমত আরা বেগম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালাম আজাদ, সাবেক পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দিপু, আর এম দেবনাথ, মো. আবু নাসের, সঙ্গীতা আহমেদ, নিতাই চন্দ্র নাথ এবং অ্যাননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনূস বাদল।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আতিউর রহমান, আবুল বারকাত এবং তাঁর সহযোগীরা বিভিন্ন অনৈতিক উপায়ে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তবে ২০২২ সালে ঋণ অনিয়ম নিয়ে দুদকের তদন্তে পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ায় তখন মামলার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয় আবুল বারকাতকে। ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি পাঁচ বছর এই পদে দায়িত্ব পালন করেন।