ঢাকা, বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
২৫ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
২৫ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ মহররম ১৪৪৭
নবম ও দশম শ্রেণি

অর্থনীতি

তাহেরা খানম, সহকারী শিক্ষক, মিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মিরপুর, ঢাকা
তাহেরা খানম, সহকারী শিক্ষক, মিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মিরপুর, ঢাকা
শেয়ার
অর্থনীতি
যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দরকার দক্ষ জনশক্তি

নবম অধ্যায় : বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রসঙ্গ

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

১। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বলতে কী বোঝো?

উত্তর : অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বলতে একটি দেশের দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনের পরিমাণগত বৃদ্ধিকে বোঝায়। সাধারণত কোনো দেশের মোট দেশজ উৎপাদ বা মোট জাতীয় আয়ের অব্যাহত বৃদ্ধির প্রক্রিয়া দ্বারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পরিমাপ করা হয়।

২।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন বলতে কী বোঝো?

উত্তর : অর্থনৈতিক উন্নয়ন বলতে অর্থনীতির সামগ্রিক পরিবর্তনের মাধ্যমে জনগণের মাথাপিছু আয়ের ক্রমাগত বৃদ্ধিকে বোঝায়। অতএব, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য মোট জাতীয় আয় বৃদ্ধিই যথেষ্ট। আর অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলে বুঝতে হবে প্রবৃদ্ধির সঙ্গে অর্থনৈতিক অবস্থার গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এ জন্য লেখা যায়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন = অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি + অর্থনীতির গুণগত পরিবর্তন।

৩। উন্নত দেশের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তর : উন্নত দেশের দুটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :

ক) মূলধন গঠন অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি প্রাথমিক শর্ত। উন্নত দেশ এ শর্ত পূরণ করে।

অর্থনীতিতে সঞ্চয় বৃদ্ধির দ্বারা মূলধন গঠন করা হয়। এই সঞ্চয় বিনিয়োগ করা হয়।

খ) যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দক্ষ জনশক্তি একান্ত প্রয়োজন। কোনো দেশে প্রাকৃতিক সম্পদ, মূলধন ইত্যাদি পর্যাপ্ত থাকলেও যদি দক্ষ জনশক্তি না থাকে, তাহলে সে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয় না। উন্নত দেশ দক্ষ জনশক্তি গঠনে বিশেষ নজর রাখে।

উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হয়।

৪। অনুন্নত দেশের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তর : অনুন্নত দেশের দুটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :

ক) অনুন্নত দেশের অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক হওয়ায় ছদ্মবেশী ও মৌসুমি বেকারত্ব প্রকটভাবে পরিলক্ষিত হয়।

খ) অনুন্নত দেশে মাথাপিছু আয় ও সঞ্চয় কম। ফলে বিনিয়োগ ও উৎপাদন কম হয়।

৫। উন্নয়নশীল দেশের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তর : উন্নয়নশীল দেশের দুটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :

ক) উন্নয়নশীল দেশে প্রতিবছর রপ্তানির মাধ্যমে যে পরিমাণ আয় আসে তার চেয়ে অনেক বেশি আমদানির মাধ্যমে ব্যয় হয়। ফলে এ দেশকে প্রতিবছর বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতির সম্মুখীন হতে হয়।

খ) উন্নয়নশীল দেশে পণ্যসামগ্রী বেশির ভাগই কৃষি থেকে প্রাপ্ত। এসব পণ্যের মূল্যের উত্থান-পতন হয় বেশি। পণ্যের মূল্য উত্থান-পতন হওয়ার কারণে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তার অভাবে উন্নয়ন ব্যাহত হয়।

৬। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দুটি অন্তরায় লেখো।

উত্তর : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দুটি অন্তরায় নিম্নরূপ :

ক) বাংলাদেশ অধিক জনসংখ্যার দেশ। উৎপাদন ও কর্মক্ষেত্রে এই জনসংখ্যা কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে জাতীয় সঞ্চয়ের বড় অংশ এই জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যয় হয় বিধায় উন্নয়নে বাধা হিসাবে কাজ করছে।

খ) বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম অন্তরায় দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র। অধ্যাপক নার্কসের মতে, একটি দেশ গরিব, কারণ সে দেশ দরিদ্র। দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র হলো উৎপাদন কম, আয় কম, চাহিদা ও সঞ্চয় কম, বিনিয়োগ কম ও মূলধন গঠন কম।

৭। বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে বেসরকারি সংস্থার ভূমিকা কী?

উত্তর : বেসরকারি সংস্থাগুলো মূলত বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য কাজ করে থাকে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় এদের কার্যক্রমে আরো ব্যাপ্তি ও গতি লাভ করে। বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণে বিভিন্ন বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান (এনজিও) ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করছে। দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন, বিভিন্ন ব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট এনজিও কাজ করছে। বাংলাদেশের কয়েকটি প্রধান এনজিও হচ্ছে ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, শক্তি ফাউন্ডেশন, স্বনির্ভর বাংলাদেশ, টিএমএসএস, কারিতাস, সোসাইটি ফর সোশাল সার্ভিস ও বাংলাদেশ ব্যুরো।

৮। ব্র্যাক কী?

উত্তর : ব্র্যাকের পূর্ণরূপ হচ্ছে বাংলাদেশ রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি। এটি ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি ক্ষুদ্রঋণদানকারী সংস্থা। সংস্থাটি দেশের ৭০ হাজার গ্রাম এবং ২০০০ বস্তিতে কাজ করে থাকে। সংস্থাটি ঋণদান কর্মসূচি ছাড়াও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন, অতি দরিদ্র, চরবাসী, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে। ক্ষুদ্রঋণের সুবিধাভোগী ৮০,৫৪,৪১৫ জনের মধ্যে মহিলার সংখ্যা ৭৬,১৪,৩২৬ জন।

৯। স্বনির্ভর বাংলাদেশ কী?

উত্তর: স্বনির্ভর বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ১৯৭৫ সালে। শুরুতে কৃষি ও বন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি সংযুক্ত সেল হিসেবে কাজ করে। বেসরকারি সমাজ উন্নয়নমূলক সংস্থা হিসেবে তৃণমূল জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ শুরু করে ১৯৮৫ সালে। আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক এবং পিকেএসএফের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় শুরু থেকে ডিসেম্বর ২০১০ পর্যন্ত ১,০৪,৪৬১ কোটি টাকা ১৬,০৬,১৪৪ জন বিত্তহীন ঋণ গ্রহীতাকে ঋণ হিসেবে বিতরণ করেছে এবং ঋণ আদায় হয়েছে ৮৪,২৫৬ কোটি টাকা। এতে প্রায় ৮০,৩০,৭২০ জন লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হয়।

১০। প্রশিকা কী?

উত্তর : প্রশিকা বাংলাদেশের একটি অন্যতম বেসরকারি সংস্থা। ১৯৭৫ সালে ঢাকা ও কুমিল্লা জেলার কয়েকটি গ্রামে কাজ শুরু করে। প্রশিকা সমিতির সদস্যদের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির আওতায় পরিবেশসম্মত কৃষি, সেচ, পশু সম্পদ বৃদ্ধি, মৌমাছি পালন, মৎস্য চাষ, সামাজিক বনায়ন, বসতবাড়িতে বাগান, বীজ উৎপাদন, ক্ষুদ্র ব্যবসা ইত্যাদি খাতে ডিসেম্বর ২০১০ পর্যন্ত ৪,৪৯৫ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা দিয়ে এক কোটি ২৩ লাখ মানুষের জন্য আয় ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে।

১১। আশা কী?

উত্তর : আশা বাংলাদেশের একটি অন্যতম বেসরকারি সংস্থা। ১৯৯২ সাল থেকে এটি ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। ক্ষুদ্রঋণদানকারী সংস্থার মধ্যে আশা হচ্ছে সর্বনিম্ন ব্যয়ে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও সম্প্রসারণের একমাত্র সংস্থা। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের শেষ নাগাদ আশা বাংলাদেশে ৪১,১২১ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে এবং ৩৭,৪৭৯ কোটি টাকা আদায় করে।

১২। শক্তি ফাউন্ডেশন কী?

উত্তর : শক্তি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের একটি অন্যতম বেসরকারি সংস্থা। ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংস্থাটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, কুমিল্লা, বগুড়া, রাজশাহীসহ অন্য বড় বড় শহরের বস্তির দুস্থ মহিলাদের এ সংস্থা ঋণ প্রদান করে। এ ছাড়া এসব মহিলার স্বাস্থ্য, ব্যবসা ও সামাজিক উন্নয়নেও সংস্থাটি কাজ করে থাকে। জুন ২০১০ পর্যন্ত ঋণ বিরতণ করে ৫১৩.৮৯ কোটি টাকা এবং আদায় করে ৪১৩.৯৬ কোটি টাকা।

১৩। টিএমএসএস কী?

উত্তর : টিএমএসএসের পূর্ণরূপ হচ্ছে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ। এ সংস্থা বাংলাদেশের নারী উন্নয়নের বড় সংগঠন। এই সংগঠন মহিলাদের দারিদ্র্য বিমোচন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও মহিলাদের ক্ষমতায়নে ১৯৮০ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। সমাজের অশিক্ষিত, বঞ্চিত ও অত্যাচারিত এবং ০.৫ একর পর্যন্ত জমির মালিকরা এ সংস্থার সদস্য। জুন ২০১০ পর্যন্ত এ সংস্থা বিতরণ করে ৩৮৮৮.০২ কোটি টাকা এবং আদায় করে ৩৪৫৭.০৮ কোটি টাকা।

১৪। এসএসএস কী?

উত্তর : এসএসএসের পূর্ণরূপ হচ্ছে সোসাইটি ফর সোশাল সার্ভিসেস। সমাজের দরিদ্র, অবহেলিত ও অধিকারবঞ্চিত নারী-পুরুষ ও শিশুদের দারিদ্র্য বিমোচন, অধিকার আদায় ও তাদের শিক্ষা-স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিসহ সমন্বিত সেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে টেকসই সামাজিক উন্নয়ন ঘটাতে ১৯৮৬ সালে এর আত্মপ্রকাশ ঘটে। সমাজের দরিদ্র, অবহেলিত ও অধিকারবঞ্চিত নারী-পুরুষ ও শিশুদের দারিদ্র্য বিমোচন, অধিকার আদায় ও তাদের শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন করাই এ সংস্থার লক্ষ্য।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নবম ও দশম শ্রেণি : গণিত

    ফারজানা ইয়াসমিন, প্রভাষক, ছাগলনাইয়া মহিলা কলেজ, ছাগলনাইয়া, ফেনী
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : গণিত

পরিমিতি

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১। একটি ঘনকের কতটি তল?

  ক. ৪টি   খ. ২টি

  গ. ৩টি   ঘ. ৬টি

২।        সমবৃত্তভূমিক বেলনের বৃত্তাকার অংশের মোট ক্ষেত্রফল কত?

  ক. πr2      খ. 2πr2   
গ. 2πrh          ঘ. 2πr (r+h)

      ৩। সমবৃত্তভূমিক বেলনের আয়তন কত?

  ক. 2πr   খ. πr2  
গ.
πr2h   ঘ. 2πr2h

  নিচের তথ্যের আলোকে ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  ABCD একটি বর্গক্ষেত্রের দুটি কর্ণ ACBD

কর্ণ দুটির ছেদবিন্দু ঙ। বর্গক্ষেত্রটির এক বাহুর দৈর্ঘ্য 4 একক।

৪।        বর্গক্ষেত্রটির কর্ণের দৈর্ঘ্য কত?

  ক. 2√2  খ. 4

  গ. 2√4          ঘ. 4√2

৫।

ΔOAB এর ক্ষেত্রফল কত 

  ক. 4 একক  খ. 6 একক

  গ. 8 একক  ঘ. 2 একক

৬।        একটি সমবাহু ত্রিভুজের কোন ৩টির পরিমাপ
ক. 900, 450, 450       L. 900, 300, 400

  গ. 600, 600, 600       N. 700, 600, 500

৭।        একটি ঘনক আকৃতির পাথরের এক বাহুর দৈর্ঘ্য

৫ সেন্টিমিটার হলে এর সমগ্রতলের ক্ষেত্রফল কত হবে?

  ক. 100 বর্গ সেন্টিমিটার
খ.
150 বর্গ সেন্টিমিটার

  গ. 200 বর্গ সেন্টিমিটার

  ঘ. 250 বর্গ সেন্টিমিটার

 

    উত্তর : ১. ঘ ২. খ ৩. গ
৪. ঘ ৫. ক ৬. গ ৭. খ।

মন্তব্য

সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

    সাধন সরকার, সহকারী শিক্ষক, লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

কবিতা

নতুন দেশ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১।        নতুন দেশ কবিতার উদ্দেশ্য কী?

  ক. ইচ্ছা জাগ্রত করা
খ. পাঠে মনোযোগ বাড়ানো

  গ. শিশুদের মনোবল বাড়ানো        
ঘ. সৃজনশীলতা জাগ্রত করা

২।        রবীন্দ্রনাথের শিশুতোষ গ্রন্থ কোনটি?

  ক. খাপছাড়া খ. খেলনা

  গ. মানসী             ঘ. হ-য-ব-র-ল  

৩।        বাংলা সাহিত্যের কোন শাখা রবীন্দ্রনাথের হাতে প্রতিষ্ঠা লাভ করে?

  ক. কবিতা             খ. নাটক

  গ. ছোটগল্প           ঘ. উপন্যাস

৪।

       নাইতে যখন যাই, দেখি সে-এর পরের চরণ কী?

  ক. ডুবতে পারলে দেখি কে        
খ. থাকে কেমন বেশে

  গ. জলের ঢেউয়ে নাচে             
ঘ. দাঁড়িয়ে নদীর তীরে

৫।        নতুন দেশ কবিতায় যে বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে

i. প্রকৃতির রহস্য উন্মোচনের আকাঙ্ক্ষা

  ii. শিশুর অভিমান

  iii. অপার বিস্ময়   

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii           

  গ. iiiii       ঘ. i, iiiii

৬।        রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কী অভিধায় অভিহিত?

  ক. পল্লীকবি   খ. বিশ্বকবি

  গ. জাতীয় কবি    ঘ. বিদ্রোহী কবি  

৭।        শিশুটি প্রথম দিন কোথায় নৌকা দেখেছিল?

  ক. মাঝ নদীতে    খ. ঘাটের কাছে

  গ. খালের পাশে   ঘ. সমুদ্রে

৮।

       জলের ধারে কী দাঁড়িয়ে আছে?

  ক. শহর         খ. পাহাড়

  গ. বাঘের ছানা         ঘ. নারিকেল বন

৯।        নৌকা চলে কিসের টানে?

  ক. দাঁড়ের বলে    খ. ভাটার টানে

  গ. মাঝির শক্তিতে       ঘ. পালের টানে

১০। ভাটার সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে

  i. সূর্য    ii. চন্দ্র

  iii. পৃথিবী

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii        খ. iiii           

  গ. iiiii       ঘ. i, iiiii

  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১১ ও ১২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে, দেখব এবার জগত্টাকে

১১।       উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে তোমার পঠিত কবিতা কোনটি?

  ক. সবার আমি ছাত্র  খ. কুলি-মজুর

  গ. নতুন দেশ      ঘ. আমার বাড়ি

১২।

       কবিতাংশে ফুটে উঠেছে

  i. শিশুসুলভ আচরণ

  ii. শিশুর মনের সাধ

  iii. নতুনকে জানার ইচ্ছা  

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii           

  গ. iiiii       ঘ. i, iiiii

১৩।       সোনার তরী’—কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?

  ক. কাজী নজরুল ইসলাম      
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  গ. জসীমউদ্দীন     ঘ. মহাদেব সাহা

১৪।       রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন?

  ক. ১৯১১             খ. ১৯১২

  গ. ১৯১৩        ঘ. ১৯১৪

১৫।       রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?

  ক. বনফুল        খ. গীতাঞ্জলি

  গ. নতুন দেশ          ঘ. খাপছাড়া

১৬।       রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুবরণ করেন কত সালে?

  ক. ১৮৯৯        খ. ১৯২০ 

  গ. ১৯৪৩        ঘ. ১৯৪১

১৭।

       রবীন্দ্রনাথের কোন গ্রন্থ থেকে নতুন দেশ কবিতাটি নেওয়া হয়েছে?

  ক. বলাকা    খ. ক্ষণিকা

  গ. সহজ পাঠ      ঘ. তৃণাঙ্কুর

১৮।       ভাটা শব্দের অর্থ কী?

  ক. জলের আগমন  
খ. ভাটার গান

  গ. বর্ধিত জল কমে যাওয়া   
ঘ. জলের পতন

১৯।       নাইতে যখন যাই, দেখি সে/জলের টেউয়ে নাচে’—এখানে কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?

  ক. চেতনা   খ. সৌন্দর্য চেতনা

  গ. দৃষ্টিভঙ্গি            ঘ. শিল্পবোধ

২০।       জলের ঢেউয়ে কী নাচে?

  ক. নৌকা    খ. মাঠ

  গ. শস্য          ঘ. মাছ

 

  উত্তর : ১. ঘ ২. ক ৩. গ ৪. গ ৫. খ
৬. খ ৭. খ ৮. ঘ ৯. খ ১০. ঘ ১১. গ
১২. গ ১৩. খ ১৪. গ ১৫. ক ১৬. ঘ
১৭. গ ১৮. গ ১৯. খ  ২০. ক।

 

 

 

মন্তব্য

এইচএসসির প্রস্তুতি : পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র

    বিশ্বজিৎ দাস, সহযোগী অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর
শেয়ার
এইচএসসির প্রস্তুতি : পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র

বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ

  তোমাদের অনেকের কাছে পদার্থবিজ্ঞান অনেক কঠিন লাগে। ভয়ের কিছুই নেই। এ বিষয়ে রয়েছে দুটি অংশ। ২৫ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৫০ নম্বরের সিকিউ।

এমসিকিউ ২৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ভুল হলে কোনো নম্বর কাটা যাবে না। উত্তর দিতে হবে ২৫ মিনিটে। সময় নির্দিষ্ট, তাই অপেক্ষাকৃত সহজ প্রশ্নগুলোর উত্তর আগে দেওয়া ভালো।
অনেক সময় জটিল অঙ্কের এমসিকিউ দেওয়া থাকে। শর্টকাট পদ্ধতি জানা না থাকলে সেই সব অঙ্কের সমাধান দ্রুত বের করা কঠিন। তাই সহজ ও জানা উত্তরগুলো আগে দেওয়া জরুরি।
এমসিকিউ অংশে সাধারণত বিভিন্ন রাশির মান, একক ও মাত্রা সম্পর্কে প্রশ্ন থাকে।
গ্রাফ সম্পর্কিত একটি বা দুটি এমসিকিউ থাকে। জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর হিসেবে সাধারণত সংজ্ঞা থেকে কুইজ টাইপ প্রশ্ন করা হয়। এসব তথ্য পদার্থবিজ্ঞানের মূল বইগুলোতেই পাবে। বিভিন্ন বোর্ডে আসা বিগত পাঁচ বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে এমসিকিউ অংশে ভালো করতে পারবে।

  পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রে ভৌত জগত ও পরিমাপ, ভেক্টর, নিউটনিয়ান বলবিদ্যা, মহাকর্ষ, কাজ, শক্তি ও ক্ষমতা, পদার্থের গাঠনিক ধর্ম (আংশিক), পর্যায়বৃত্ত গতি এবং আদর্শ গ্যাস ও গ্যাসের গতিতত্ত্বএই আটটি অধ্যায় রয়েছে।

প্রথম পত্রের সিকিউ অংশে আটটি করে প্রশ্ন থাকবে। পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতি সিকিউতে চারটি অংশ থাকবে। জ্ঞানমূলক-১, অনুধাবনমূলক-২, প্রয়োগমূলক-৩ এবং উচ্চতর দক্ষতামূলক-৪, মোট ১০ নম্বর। একই প্রশ্নের উত্তর ধারাবাহিকভাবে লেখা ভালো। 

  পদার্থবিজ্ঞানের একটা সুবিধা হলোপ্রতিটি অধ্যায় থেকে সাধারণত একটি করে সিকিউয়ের উত্তর দিতে হয়। যেহেতু তোমাকে আটটি মধ্যে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, সেহেতু তুমি অল্প কয়েকটি অধ্যায় ভালোমতো পড়লেই সিকিউয়ের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে পারবে। 

  স্পষ্টভাবে উত্তর লিখবে। কাটাকাটি এড়িয়ে চলবে। গাণিতিক সমস্যার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে একক লিখবে। উচ্চতর দক্ষতাভিত্তিক সমাধানের ক্ষেত্রে সাধারণত তোমার কাছে একটি সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়। সেটি লিখতে ভুলবে না। খাতা জমা দেওয়ার আগে অবশ্যই রিভিশন দেবে।

মন্তব্য

ভর্তির খোঁজখবর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার
ভর্তির খোঁজখবর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ। ছবি : সংগৃহীত

এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইএমপিএ)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোক প্রশাসন বিভাগে সামার-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অধিকারীদের জন্য শতকরা ২০ ভাগ বৃত্তি ও সেমিস্টারসেরাদের উপবৃত্তি দেওয়া হবে।

 

কোর্স

হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, ইনোভেশন অ্যান্ড চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, পাবলিক পলিসি অ্যানালিসিস।

 

যোগ্যতা

আগ্রহী প্রার্থীকে ইউজিসি অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী হতে হবে।

ব্যাচেলর পরীক্ষায় সর্বনিম্ন সিজিপিএ ২.৫০ (৪.০০ এর মধ্যে) এবং এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় সর্বনিম্ন জিপিএ ৩.৫০ (৫.০০ এর মধ্যে) থাকতে হবে।

 

আবেদন

এরই মধ্যে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের ১১ তলার লোক প্রশাসন বিভাগের কার্যালয় থেকে আবেদন ফরম উত্তোলন করা যাবে। আবেদনের শেষ সময় ১৭ জুলাই।

ভর্তি পরীক্ষা ২৫ জুলাই।

 

যোগাযোগ

সামাজিক বিজ্ঞান ভবন (১১ তলা)

লোক প্রশাসন বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

মোবাইল : ০১৭১১৯৮৫১৮৬, ০১৪০০৯৮৫১৮৬

 

ওয়েবসাইট
www.dupublicad.com

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ