ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫
২৬ আষাঢ় ১৪৩২, ১৪ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫
২৬ আষাঢ় ১৪৩২, ১৪ মহররম ১৪৪৭

পঞ্চম শ্রেণী : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

  • পাঠ প্রস্তুতি
তাহেরা-বিনতে-রহমান<br />সিনিয়র শিক্ষক<br />ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ<br />বেইলি রোড, ঢাকা
তাহেরা-বিনতে-রহমান<br />সিনিয়র শিক্ষক<br />ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ<br />বেইলি রোড, ঢাকা
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণী : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ

অল্প কথায় উত্তর দাও :

প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষ কিভাবে অংশ নিয়েছিলেন?

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের সময় এ দেশের অগণিত সাধারণ মানুষ নিজেদের জীবন বিপন্ন করে মুক্তিবাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। থাকা, খাওয়া, তথ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাহায্য দিয়ে মুক্তিবাহিনীকে লড়াই চালিয়ে যেতে তাঁরা উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এসব কাজে নারীদেরও বিশেষ ভূমিকা ছিল। সংস্কৃতিক কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

এ দেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীরাও সক্রিয়ভাবে এ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। এভাবে সব বিপদ তুচ্ছ করে মুক্তিবাহিনী ও বাংলার অগণিত মুক্তিকামী জনতা শহরে, গ্রামে যে যেভাবে পেরেছিল রুখে দাঁড়িয়েছিল। সবার মিলিত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই মুক্তিযুদ্ধে বিজয় আসে।

প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী কী ধরনের নির্যাতন চালিয়েছিল?

উত্তর : যুদ্ধের প্রথম থেকেই পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে চরম নিষ্ঠুরতার পথ অবলম্বন করে।

২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে নিরীহ বাঙালিদের ওপর অতর্কিত হামলার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল 'অপারেশন সার্চলাইট'। সেদিন এক রাতেই ঢাকাসহ সারা দেশে হাজার হাজার নিরস্ত্র বাঙালিকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়। পরবর্তী ৯ মাস ধরেই পাকিস্তানি বাহিনীর এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড অব্যাহত থাকে।
পাশাপাশি তারা নির্বিচারে লুটতরাজ ও ধরপাকড় চালায়। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ কাউকেই রেহাই দেয়নি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারা লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করে সারা দেশের অগণিত স্থানকে বধ্যভূমিতে পরিণত করে। পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যা, লুণ্ঠন ও অত্যাচারের মুখে প্রাণভয়ে মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করে।
এ সময় প্রায় এক কোটিরও বেশি মানুষ ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয়।

প্রশ্ন : ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয় কেন?

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা দেশকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা করে। ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে তারা এ দেশের অনেক জ্ঞানী-গুণী শিল্পী, সাহিত্যিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিককে ধরে নিয়ে হত্যা করে। তাদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক গোবিন্দচন্দ্র দেব, অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক জোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক রাশীদুল হাসান, সেলিনা পারভিন, ডা. আলীম চৌধুরী, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. গোলাম মর্তুজা, ডা. আজহারুল হক এবং আরো অনেকে। এসব বুদ্ধিজীবীর স্মরণে আমরা প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর 'শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস' পালন করি।

প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য বর্ণনা করো।

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই আমরা আমাদের এই দেশটি পেয়েছি। এর ফলেই পৃথিবীর বুকে আজ আমরা একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমরা পেয়েছি নিজস্ব একটা ভূ-খণ্ড, একটা নিজস্ব পতাকা। জাতি-ধর্ম-বর্ণ, নারী, পুরুষ নির্বিশেষে সকলে এই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ তাই সবার। এই স্বাধীন দেশে তাই সবার রয়েছে সমান অধিকার। এই দেশটাকে সুন্দর করে গড়ার দায়িত্বও আমাদের সবার।

সেই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, মুক্তিযুদ্ধে বহু মানুষের আত্মত্যাগের কথা। সেসব লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধার কথা ভুললে চলবে না, যারা জীবনপণ করে যুদ্ধ করেছিলেন। তাদের অনেকেই শহীদ হয়েছেন, আহত হয়ে বেঁচে আছেন অনেকে। যেসব সাধারণ মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছেন, তাঁদের অবদানও অনেক। মুক্তিযোদ্ধাদের মতো আমরাও সব সময় দেশকে ভালোবাসব।

প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধে কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল?

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। মাত্র ৯ মাস যুদ্ধের মাধ্যমে একটি দেশের স্বাধীন হওয়ার ঘটনা পৃথিবীতে বিরল। কিন্তু সময় অল্প হলেও এই যুদ্ধ ছিল রক্তক্ষয়ী। সম্পদহানি ও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি ছিল সীমাহীন ও অপূরণীয়। প্রায় ৩০ লাখ মানুষ এতে প্রাণ হারায়, আহত হয় আরো কয়েক লাখ মানুষ। এক কোটির অধিক মানুষ ঘরছাড়া হয়। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীরা অগণিত বাড়ি-ঘর, দোকান-পাট পুড়িয়ে দেয়। ধ্বংস করে রাস্তাঘাট, সেতু ও বন্দর। বন্ধ হয়ে যায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংক, অফিস, কারখানা ইত্যাদি।

প্রশ্ন : মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় উপাধিগুলো কী কী?

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব ও সাহসিকতার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকার কতগুলো বীরত্বসূচক রাষ্ট্রীয় উপাধি প্রদান করেছে। এগুলো হলো-

১. বীরশ্রেষ্ঠ : একটি সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক পুরস্কার। মুক্তিযুদ্ধে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, এটি তাঁদের দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত সাতজন এ খেতাবে ভূষিত হয়েছেন।

২. বীর-উত্তম : মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও ত্যাগের জন্য দেওয়া এটি দ্বিতীয় বীরত্বসূচক পুরস্কার।

৩. বীর-বিক্রম : মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও ত্যাগের জন্য দেওয়া এটি তৃতীয় বীরত্বসূচক পুরস্কার।

৪. বীর-প্রতীক : মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও ত্যাগের জন্য এটি চতুর্থ বীরত্বসূচক পুরস্কার।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য মানুষ অবদান রেখেছেন। আমরা তাঁদের সকলকে শ্রদ্ধা করি।

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নবম ও দশম শ্রেণি : গণিত

    ফারজানা ইয়াসমিন, প্রভাষক, ছাগলনাইয়া মহিলা কলেজ, ছাগলনাইয়া, ফেনী
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : গণিত

পরিমিতি

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১। একটি ঘনকের কতটি তল?

  ক. ৪টি   খ. ২টি

  গ. ৩টি   ঘ. ৬টি

২।        সমবৃত্তভূমিক বেলনের বৃত্তাকার অংশের মোট ক্ষেত্রফল কত?

  ক. πr2      খ. 2πr2   
গ. 2πrh          ঘ. 2πr (r+h)

      ৩। সমবৃত্তভূমিক বেলনের আয়তন কত?

  ক. 2πr   খ. πr2  
গ.
πr2h   ঘ. 2πr2h

  নিচের তথ্যের আলোকে ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  ABCD একটি বর্গক্ষেত্রের দুটি কর্ণ ACBD

কর্ণ দুটির ছেদবিন্দু ঙ। বর্গক্ষেত্রটির এক বাহুর দৈর্ঘ্য 4 একক।

৪।        বর্গক্ষেত্রটির কর্ণের দৈর্ঘ্য কত?

  ক. 2√2  খ. 4

  গ. 2√4          ঘ. 4√2

৫।

ΔOAB এর ক্ষেত্রফল কত 

  ক. 4 একক  খ. 6 একক

  গ. 8 একক  ঘ. 2 একক

৬।        একটি সমবাহু ত্রিভুজের কোন ৩টির পরিমাপ
ক. 900, 450, 450       L. 900, 300, 400

  গ. 600, 600, 600       N. 700, 600, 500

৭।        একটি ঘনক আকৃতির পাথরের এক বাহুর দৈর্ঘ্য

৫ সেন্টিমিটার হলে এর সমগ্রতলের ক্ষেত্রফল কত হবে?

  ক. 100 বর্গ সেন্টিমিটার
খ.
150 বর্গ সেন্টিমিটার

  গ. 200 বর্গ সেন্টিমিটার

  ঘ. 250 বর্গ সেন্টিমিটার

 

    উত্তর : ১. ঘ ২. খ ৩. গ
৪. ঘ ৫. ক ৬. গ ৭. খ।

মন্তব্য

সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

    সাধন সরকার, সহকারী শিক্ষক, লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

কবিতা

নতুন দেশ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১।        নতুন দেশ কবিতার উদ্দেশ্য কী?

  ক. ইচ্ছা জাগ্রত করা
খ. পাঠে মনোযোগ বাড়ানো

  গ. শিশুদের মনোবল বাড়ানো        
ঘ. সৃজনশীলতা জাগ্রত করা

২।        রবীন্দ্রনাথের শিশুতোষ গ্রন্থ কোনটি?

  ক. খাপছাড়া খ. খেলনা

  গ. মানসী             ঘ. হ-য-ব-র-ল  

৩।        বাংলা সাহিত্যের কোন শাখা রবীন্দ্রনাথের হাতে প্রতিষ্ঠা লাভ করে?

  ক. কবিতা             খ. নাটক

  গ. ছোটগল্প           ঘ. উপন্যাস

৪।

       নাইতে যখন যাই, দেখি সে-এর পরের চরণ কী?

  ক. ডুবতে পারলে দেখি কে        
খ. থাকে কেমন বেশে

  গ. জলের ঢেউয়ে নাচে             
ঘ. দাঁড়িয়ে নদীর তীরে

৫।        নতুন দেশ কবিতায় যে বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে

i. প্রকৃতির রহস্য উন্মোচনের আকাঙ্ক্ষা

  ii. শিশুর অভিমান

  iii. অপার বিস্ময়   

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii           

  গ. iiiii       ঘ. i, iiiii

৬।        রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কী অভিধায় অভিহিত?

  ক. পল্লীকবি   খ. বিশ্বকবি

  গ. জাতীয় কবি    ঘ. বিদ্রোহী কবি  

৭।        শিশুটি প্রথম দিন কোথায় নৌকা দেখেছিল?

  ক. মাঝ নদীতে    খ. ঘাটের কাছে

  গ. খালের পাশে   ঘ. সমুদ্রে

৮।

       জলের ধারে কী দাঁড়িয়ে আছে?

  ক. শহর         খ. পাহাড়

  গ. বাঘের ছানা         ঘ. নারিকেল বন

৯।        নৌকা চলে কিসের টানে?

  ক. দাঁড়ের বলে    খ. ভাটার টানে

  গ. মাঝির শক্তিতে       ঘ. পালের টানে

১০। ভাটার সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে

  i. সূর্য    ii. চন্দ্র

  iii. পৃথিবী

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii        খ. iiii           

  গ. iiiii       ঘ. i, iiiii

  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১১ ও ১২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে, দেখব এবার জগত্টাকে

১১।       উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে তোমার পঠিত কবিতা কোনটি?

  ক. সবার আমি ছাত্র  খ. কুলি-মজুর

  গ. নতুন দেশ      ঘ. আমার বাড়ি

১২।

       কবিতাংশে ফুটে উঠেছে

  i. শিশুসুলভ আচরণ

  ii. শিশুর মনের সাধ

  iii. নতুনকে জানার ইচ্ছা  

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii           

  গ. iiiii       ঘ. i, iiiii

১৩।       সোনার তরী’—কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?

  ক. কাজী নজরুল ইসলাম      
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  গ. জসীমউদ্দীন     ঘ. মহাদেব সাহা

১৪।       রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন?

  ক. ১৯১১             খ. ১৯১২

  গ. ১৯১৩        ঘ. ১৯১৪

১৫।       রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?

  ক. বনফুল        খ. গীতাঞ্জলি

  গ. নতুন দেশ          ঘ. খাপছাড়া

১৬।       রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুবরণ করেন কত সালে?

  ক. ১৮৯৯        খ. ১৯২০ 

  গ. ১৯৪৩        ঘ. ১৯৪১

১৭।

       রবীন্দ্রনাথের কোন গ্রন্থ থেকে নতুন দেশ কবিতাটি নেওয়া হয়েছে?

  ক. বলাকা    খ. ক্ষণিকা

  গ. সহজ পাঠ      ঘ. তৃণাঙ্কুর

১৮।       ভাটা শব্দের অর্থ কী?

  ক. জলের আগমন  
খ. ভাটার গান

  গ. বর্ধিত জল কমে যাওয়া   
ঘ. জলের পতন

১৯।       নাইতে যখন যাই, দেখি সে/জলের টেউয়ে নাচে’—এখানে কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?

  ক. চেতনা   খ. সৌন্দর্য চেতনা

  গ. দৃষ্টিভঙ্গি            ঘ. শিল্পবোধ

২০।       জলের ঢেউয়ে কী নাচে?

  ক. নৌকা    খ. মাঠ

  গ. শস্য          ঘ. মাছ

 

  উত্তর : ১. ঘ ২. ক ৩. গ ৪. গ ৫. খ
৬. খ ৭. খ ৮. ঘ ৯. খ ১০. ঘ ১১. গ
১২. গ ১৩. খ ১৪. গ ১৫. ক ১৬. ঘ
১৭. গ ১৮. গ ১৯. খ  ২০. ক।

 

 

 

মন্তব্য

এইচএসসির প্রস্তুতি : পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র

    বিশ্বজিৎ দাস, সহযোগী অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর
শেয়ার
এইচএসসির প্রস্তুতি : পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র

বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ

  তোমাদের অনেকের কাছে পদার্থবিজ্ঞান অনেক কঠিন লাগে। ভয়ের কিছুই নেই। এ বিষয়ে রয়েছে দুটি অংশ। ২৫ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৫০ নম্বরের সিকিউ।

এমসিকিউ ২৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ভুল হলে কোনো নম্বর কাটা যাবে না। উত্তর দিতে হবে ২৫ মিনিটে। সময় নির্দিষ্ট, তাই অপেক্ষাকৃত সহজ প্রশ্নগুলোর উত্তর আগে দেওয়া ভালো।
অনেক সময় জটিল অঙ্কের এমসিকিউ দেওয়া থাকে। শর্টকাট পদ্ধতি জানা না থাকলে সেই সব অঙ্কের সমাধান দ্রুত বের করা কঠিন। তাই সহজ ও জানা উত্তরগুলো আগে দেওয়া জরুরি।
এমসিকিউ অংশে সাধারণত বিভিন্ন রাশির মান, একক ও মাত্রা সম্পর্কে প্রশ্ন থাকে।
গ্রাফ সম্পর্কিত একটি বা দুটি এমসিকিউ থাকে। জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর হিসেবে সাধারণত সংজ্ঞা থেকে কুইজ টাইপ প্রশ্ন করা হয়। এসব তথ্য পদার্থবিজ্ঞানের মূল বইগুলোতেই পাবে। বিভিন্ন বোর্ডে আসা বিগত পাঁচ বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে এমসিকিউ অংশে ভালো করতে পারবে।

  পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রে ভৌত জগত ও পরিমাপ, ভেক্টর, নিউটনিয়ান বলবিদ্যা, মহাকর্ষ, কাজ, শক্তি ও ক্ষমতা, পদার্থের গাঠনিক ধর্ম (আংশিক), পর্যায়বৃত্ত গতি এবং আদর্শ গ্যাস ও গ্যাসের গতিতত্ত্বএই আটটি অধ্যায় রয়েছে।

প্রথম পত্রের সিকিউ অংশে আটটি করে প্রশ্ন থাকবে। পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতি সিকিউতে চারটি অংশ থাকবে। জ্ঞানমূলক-১, অনুধাবনমূলক-২, প্রয়োগমূলক-৩ এবং উচ্চতর দক্ষতামূলক-৪, মোট ১০ নম্বর। একই প্রশ্নের উত্তর ধারাবাহিকভাবে লেখা ভালো। 

  পদার্থবিজ্ঞানের একটা সুবিধা হলোপ্রতিটি অধ্যায় থেকে সাধারণত একটি করে সিকিউয়ের উত্তর দিতে হয়। যেহেতু তোমাকে আটটি মধ্যে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, সেহেতু তুমি অল্প কয়েকটি অধ্যায় ভালোমতো পড়লেই সিকিউয়ের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে পারবে। 

  স্পষ্টভাবে উত্তর লিখবে। কাটাকাটি এড়িয়ে চলবে। গাণিতিক সমস্যার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে একক লিখবে। উচ্চতর দক্ষতাভিত্তিক সমাধানের ক্ষেত্রে সাধারণত তোমার কাছে একটি সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়। সেটি লিখতে ভুলবে না। খাতা জমা দেওয়ার আগে অবশ্যই রিভিশন দেবে।

মন্তব্য

ভর্তির খোঁজখবর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার
ভর্তির খোঁজখবর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ। ছবি : সংগৃহীত

এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইএমপিএ)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোক প্রশাসন বিভাগে সামার-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অধিকারীদের জন্য শতকরা ২০ ভাগ বৃত্তি ও সেমিস্টারসেরাদের উপবৃত্তি দেওয়া হবে।

 

কোর্স

হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, ইনোভেশন অ্যান্ড চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, পাবলিক পলিসি অ্যানালিসিস।

 

যোগ্যতা

আগ্রহী প্রার্থীকে ইউজিসি অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী হতে হবে।

ব্যাচেলর পরীক্ষায় সর্বনিম্ন সিজিপিএ ২.৫০ (৪.০০ এর মধ্যে) এবং এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় সর্বনিম্ন জিপিএ ৩.৫০ (৫.০০ এর মধ্যে) থাকতে হবে।

 

আবেদন

এরই মধ্যে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের ১১ তলার লোক প্রশাসন বিভাগের কার্যালয় থেকে আবেদন ফরম উত্তোলন করা যাবে। আবেদনের শেষ সময় ১৭ জুলাই।

ভর্তি পরীক্ষা ২৫ জুলাই।

 

যোগাযোগ

সামাজিক বিজ্ঞান ভবন (১১ তলা)

লোক প্রশাসন বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

মোবাইল : ০১৭১১৯৮৫১৮৬, ০১৪০০৯৮৫১৮৬

 

ওয়েবসাইট
www.dupublicad.com

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ