<p><strong>ভিটামিন </strong><strong>‘</strong><strong>সি</strong><strong>’</strong></p> <p>ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করা, কোলাজেন তৈরি বৃদ্ধি করা, ক্ষত বা ফাঙ্গাস নিরাময়, কোষ পুনরুদ্ধার এবং টিস্যু তৈরিতে ভিটামিন ‘সি’র ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। এটা খাদ্য থেকে লোহা পরিশোষণ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। বিশেষ করে কালো ফাঙ্গাস প্রতিরোধক হিসেবে ভিটামিন ‘সি’ বেশ কার্যকর।</p> <p>এ জন্য বেশি করে খাওয়া উচিত লেবু, কমলা, জাম্বুরা, জাম, আমলকী, পেয়ারা, জলপাই, কাঁচা আম, আঙুর, আপেল, পাকা পেঁপে, গাজর, লাউ, ফুলকপি, ব্রোকলি, পালংশাক, লালশাক, কলমিশাক ইত্যাদি।</p> <p> </p> <p><strong>কালিজিরা</strong></p> <p>এতে জিংক, আয়রন, ফলিক এসিড ও ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। কালিজিরায় থাইমোকুইনন নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ছত্রাকজনিত সমস্যা রোধে কাজ করে।</p> <p> </p> <p><strong>পুদিনাপাতা</strong></p> <p>এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যা যেকোনো ধরনের সংক্রমণ রোধে অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। মুখে ক্ষত বা ফাঙ্গাল ইনফেকশনে পুদিনাপাতা সিদ্ধ করে দিনে দুইবার চায়ের মতো পান করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।</p> <p> </p> <p><strong>দারচিনি </strong></p> <p>এতে প্রচুর পরিমাণ খনিজ লবণ, খাদ্য আঁশ এবং অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। কেপরিলিক এসিড নামে এক ধরনের উপাদান দারচিনিতে রয়েছে, যা ক্ষতিকারক ফাঙ্গাস প্রতিরোধে কাজ করে। এ ছাড়া মুখগহ্বরের ঘা, ফুসফুসের প্রদাহজনিত সমস্যায় দারচিনি গুঁড়ো এক কাপ পানিতে এক চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ মিশিয়ে পান করলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়।</p> <p> </p> <p><strong>রসুন-পেঁয়াজ</strong></p> <p>এতে ভিটামিন ‘সি’, ‘বি’, খনিজ লবণ ও এলিসিন নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা মানবদেহের পাচনতন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া বজায় রাখতে এবং ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।</p> <p> </p> <p><strong>দই</strong></p> <p>ছত্রাকজনিত সমস্যায় দই খুব কার্যকর উপাদান। এতে প্রোবায়োটিক নামের ব্যাকটেরিয়া রয়েছে, যা মানবদেহে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘বি’ শোষণ করতে এবং শ্বাসনালিতে ছত্রাকের সংক্রমণ রোধে সাহায্য করে।</p> <p> </p> <p><strong>গাজর</strong></p> <p>এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, লুটিন জিজানথেন, সব ধরনের ভিটামিন ‘বি’ ও খনিজ লবণ। গাজরের উপকারী উপাদানগুলো চোখ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও শ্বাসনালির প্রদাহ রোধ করতে সাহায্য করে। এর খাদ্য আঁশ গ্লুকোজ মেটাবলিজমে কাজ করে এবং এর রস ছত্রাক সংক্রমণ রোধে ভালো কাজ করে।</p> <p> </p> <p><strong>যে খাবারগুলো বর্জনীয়</strong></p> <p>সাদা চিনি, মিষ্টিজাতীয় খাবার, অ্যালকোহল, প্রক্রিয়াজাত ও টিনজাত খাবার, কোমল পানীয়, অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার ইত্যাদি।</p>