'রমজান মাস, যে মাসে পবিত্র কোরআন নাজিল করা হয়েছে। এটি মানুষের জন্য পথনির্দেশনার প্রমাণপঞ্জি ও সত্য মিথ্যার মানদণ্ড।' (সুরা বাকারা : ১৮৫) হাঁ, বাস্তবিকই সত্য-মিথ্যার পার্থক্যের এক মহা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন আখেরি নবী (সা.)-এর নেতৃত্বে সাহাবায়ে কেরাম ঐতিহাসিক বদর প্রান্তরে। তাই সেদিনকে ইয়াওমুল ফুরকান বা সত্য মিথ্যার পার্থক্যের দিন বলা হয়।
বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবাদের সম্মান ও ফজিলত

বদরী সাহাবাদের ফজিলত : বদরী সাহাবাদের সবচেয়ে বড় ফজিলত হলো, আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় নবীর জবানে তাদের জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'হে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী আমার সাহাবারা, তোমাদের জন্য জান্নাত অবধারিত।
নামেই বরকত : আল্লাহ তায়ালা বদরী সাহাবাদের নাম এবং তাঁদের আলোচনার মধ্যে অসংখ্য বরকত রেখেছেন। যেমন বুরহান হলবী এবং দাওয়ানী বর্ণনা করেন, তাঁদের নামের উসিলা ধরে যে দোয়া করা হয়, তা কবুল করা হয়। এটা অভিজ্ঞতার দ্বারা প্রমাণিত।
কিভাবে দোয়া করবেন : যারা বদরী সাহাবাদের নামের উসিলায় নিজের মাগফিরাত ও প্রয়োজন পূরণের দোয়া করবে তাদের জন্য উত্তম হলো, তাঁদের প্রত্যেকের নামের পরে 'রাজিয়াল্ল্লাহু আনহু' পড়া। এভাবে পড়বে, 'মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম', আবু বকর (রা.), উমর বিন খাত্তাব (রা.) এভাবেই শেষ পর্যন্ত।
বদরী সাহাবাদের নামের সম্মান করে সাফল্য অর্জনের তাওফিক মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি।
লেখক : পরিচালক, ফতোয়া সংকলন প্রকল্প (মা.ফি.ই.বা)
সম্পর্কিত খবর