<p>বাতাসের ধুলাবালি, পানির খনিজ, অযত্ন-অবহেলাসহ হরমোনের তারতম্যের কারণে চুলে অনেক সময় জট বেঁধে যায়। চুল দুর্বল হয়ে পড়ে। নিয়মিত যত্ন নিলে আবার হারানো চুল ফিরে পাওয়া সম্ভব। এই যত্নেরই একটি ধাপ চুলে আয়রন চালানো। তবে অনেকে কার্লি চুলে লুক বদলাতেও আয়রন করেন। অনেকেই না জেনে, না বুঝে চুলে আয়রন চালিয়ে দেন। যখন-তখন চুলের সাজে আয়রনের ব্যবহার করে থাকেন। মনে রাখতে হবে, কোনো কিছুরই অতিরিক্ত ব্যবহার ভালো নয়। আমাদের চুলের মধ্যেও রাসায়নিক বন্ডিং থাকে। যে কারণে চুল শক্ত এবং সোজা থাকে। চুলে নিয়মিত যত্রতত্র আয়রন চালালে চুলের বন্ডিং ভেঙে যায়। এতে চুলের আরো বেশি ক্ষতি হয়। এ জন্য কখন, কতক্ষণ চুলে আয়রন ব্যবহার করবেন এটা জেনে রাখা জরুরি।</p> <p>যখন প্রয়োজন শুধু তখনই চুলে আয়রন ব্যবহার করুন। এর বাইরে একেবারেই নয়। চেষ্টা করুন কম সময়ে চুলে আয়রন করে সাজ সেরে ফেলার। চুল আয়রনের আগে হেয়ার প্রটেকশন লাগিয়ে নিন। আয়রনের তাপ থেকে বাঁচাতে চুলে প্রটেকট্যান্ট স্প্রে বা সিরাম ব্যবহার করুন। এতে চুল গরম হলে এবং গরমের ফলে শুকিয়ে গেলে চুলের ক্ষতির আশঙ্কা কম হবে। আয়রনের আগে চুলে সিরাম বা প্রটেকট্যান্ট ব্যবহার করলে চুল নরম ও মসৃণ হয়। রুক্ষতা থেকে রক্ষা পায়। যখন চুল আয়রন করবেন তার পাঁচ মিনিট আগে পরিষ্কার ও সামান্য ভেজা চুলে সিরাম স্প্রে করে নিন। চুল আয়রন করার সময় মাথার ত্বকের চুল থেকে তিন ইঞ্চি পর্যন্ত বাদ দিয়ে সিরাম বা প্রটেকশন স্প্রে ব্যবহার করুন। নইলে চুলে তেলতেলে ভাব চলে আসবে। ভেজা চুলে কখনোই আয়রন করবেন না। খেয়াল রাখবেন, চুল সোজা করার সময় চড়চড় শব্দ বা ধোঁয়া বের হলে বুঝতে হবে চুল পুড়ে যাচ্ছে। আয়রনের সময় শুরুতেই তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেবেন না। কম তাপমাত্রা দিয়ে শুরু করুন। এরপর চুলের ঘনত্ব এবং প্রয়োজন অনুসারে তাপমাত্রা বাড়ান। চুল পাতলা হলে ২৫০ থেকে ৩০০, মধ্যম হলে ৩৫০ এবং বেশি ঘন এবং কোঁকড়া হলে ৩৮০ থেকে ৪০০ ফারেনহাইট তাপমাত্রার আয়রন ব্যবহার করতে পারেন। অনেকেই মনে করেন, আয়রনের তাপমাত্রা যত বেশি হবে, চুল তত সোজা আর সুন্দর হবে। এটা আদৌ ঠিক নয়। বরং এতে চুল পুড়ে যাওয়া ও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। একসঙ্গে অনেক চুল আয়রন করবেন না। অল্প অল্প করে চুলগুলো ভাগ করে নিন। এরপর ধীরে ধীরে সময় নিয়ে আয়রন করুন। চুলে আয়রন শেষ হলে কিছুক্ষণ সময় দিন। এরপর চুলে খোঁপা কিংবা বেণি—যে সাজই চান করে নিন।</p>