<p>রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশর সেনাবাহিনীর সংখ্যা বাড়ানোর আদেশ দিয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার তিনি সেনাসংখ্যা আরো এক লাখ ৮০ হাজার বাড়িয়ে মোট পাঁচ লাখ সক্রিয় সেনা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর এ নিয়ে তৃতীয় দফায় সেনা বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।</p> <p>পুতিনের ডিক্রি সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ডিক্রিতে ১ ডিসেম্বর এই আদেশ কার্যকর হবে। সেখানে ১৫ লাখ সক্রিয় সেনাসহ রুশ সামরিক কর্মীদের সামগ্রিকসংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারকে প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। </p> <p>২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত পুতিন দুইবার সেনাসংখ্যা বৃদ্ধির আদেশ দিয়েছেন। প্রথমবার এক লাখ ৩৭ হাজার ও দ্বিতীয়বার এক লাখ ৭০ হাজার। এদিকে সামরিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আইআইএসএস) বরাতে রয়টার্স জানায়, সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সক্রিয় সেনাবাহিনীর দিক থেকে চীনের পরই থাকবে রাশিয়া। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম সেনাবাহিনী হবে দেশটির।</p> <p>এ বিষয়ে রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের প্রতিরক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান আন্দ্রেই কার্তাপোলভ বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ও আমাদের সাবেক বিদেশি অংশীদারদের আচরণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সশস্ত্র বাহিনীকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সেনার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের এখন নতুন কাঠামো ও সামরিক ইউনিট গঠন করা দরকার।’</p> <p>এদিকে বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিষ্ঠান কারনিজি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস-এর বিশেষজ্ঞ দারা ম্যাসিকট প্রশ্ন রেখেছেন, বাড়তি সেনা নিয়োগের ব্যয় বহন করার জন্য মস্কো তৈরি কি না।</p> <p>সূত্র : রয়টার্স, আলজাজিরা</p>